অনেক প্রতীক্ষার প্রহর পেরিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্যাপিরাস’ এর প্রথম সংখ্যা বের হল। বিভাগের ছাত্ররা এ ব্যাপারে প্রথম উৎসাহী হয় ১৯৯৮ সালে। তবে, ১৯৯৯ সালে কিছু উদ্যোগী ছাত্রের প্রশংসনীয় ভূমিকা দীর্ঘদিনের এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপলাভ করল। যদিও ‘প্যাপিরাসে’র ১ম সংখ্যা বের হবার কথা ছিল আগস্ট ’৯৯ এর তৃতীয় সপ্তাহের ভিতর, কিন্তু নানাবিধ সমস্যার কারণে পত্রিকাটি আলোর মুখ দেখেনি। তবে, ইংরেজীতে একটা কথা আছে, Better late Than never. তাই, দেরীতে হলেও পত্রিকাটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
প্রথমেই আসা যাক পত্রিকাটির নামকরণের ব্যাপারে। ‘প্যাপিরাস’ কে বলা হয় আমাদের পূর্বসূরিদের ব্যবহৃত প্রথম কাগজ যাতে তারা মনের ভাব লিখে প্রকাশ করত। আমারাও আমাদের অর্থাৎ এ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের যাবতীয় সুখ দুঃখের পাঁচালী আমাদের মুখপত্র প্যাপিরাসের মাধ্যমে সর্বপ্রথম জানাব। এ নামকরণে আমাদের সহযোগীতা করেছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এম. এ. জলিল।
এ পত্রিকায় নিয়মিত বিভাগ হিসেবে থাকছেঃ
শিক্ষকদের নিয়মিত কলাম, কম্পিউটার বিভাগ, গল্প, কবিতা ও ভ্রমণকাহিনী।
পরবর্তীতে নিয়মিত বিভাগ সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছা রইল।
যারা না থাকলে পত্রিকাটি প্রকাশ করা সম্ভবপর হত না তাঁদের ভিতর আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এম. এ. জলিল এবং স্নেহাস্পদ আপেল, মিনার ও নিশানের নামোল্লেখ না করলেই নয়। বিভাগীয় অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং যথাযথ উৎসাহ দিয়ে পত্রিকা প্রকাশের পথকে সুগম করেছেন। এছাড়াও, যারা লেখা দিয়ে এবং অন্যান্যভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন- ইতিহাসের সাক্ষ্যপরম্পরা বাক্যটিকে ধ্রুব সত্যে পরিণত করেছে। ইতোপূর্বে পরিসংখ্যান বিভাগ হতে প্রকাশিত পত্রিকা পরিসংখ্যান সমীক্ষা এবং কার্জন হল হতে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা কার্জন হল’ এর অপমৃত্যুই এর জাজ্বল্যমান প্রমাণ। এই পত্রিকাটিও যাতে অংকুরে মারা না যায় সে ব্যাপারে ছাত্র-শিক্ষক সকলেরই আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
পরিশেষে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের সৃতির প্রতি উৎসর্গ করে এবং সকলের মঙ্গলের কামনা করে শেষ করছি। -নাজমুল হাসান শিবলী