জুন ১৮, ২০২৫

আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর

তুলে নিয়ে গিয়ে রাখা হলো আমাকে
এক অন্ধকার কুঠুরীতে।
লোহার নলের ফাঁকে
দেখছি- গুলি অথবা মৃত্যু!
হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় মাথায় সজোরে আঘাত,
এরপর আর কিছু মনে নেই।
জ্ঞান হারাবার আগে শুধু মনে হল
একগাদা চাপ কিংবা সংসারের হিসাবের পাহাড়;
সব পড়ে আছে- বোকা বউটা সামলাবে কীভাবে?

শূন্য মাথায় কিংবা মানসিক চাপেই হয়তোবা
শুনছি এখনো কথা বলতে না পারা আমার মেয়েটার
অনর্গল বোকার মতো হাসি। হাসতে হাসতেই গড়াগড়ি খাচ্ছে!
সম্বিৎ ফিরে পেতেই মেয়ের হাসি মিলিয়ে যায় হাওয়ায়,
আগ্নেয়াস্ত্রসমেত কিছু ঠান্ডা মাথার খুনির অশ্লীল হাসি ভাসে বাতাসে
আমাকে তারা বলছে- দৌড়া শূয়োরের বাচ্চা, দৌড়া
আমি ভাবছি দৌড়ে আর কী হবে- দৌড়াচ্ছি তো জন্মের পর থেকেই!
আমার, আমাদের জীবন মানেই তো দৌড়।
কিছুক্ষণ থেমে থেকে দিলাম দৌড়-
যদি মেয়েটার হাতের আঙ্গুলগুলো ছুঁয়ে দেয়া যায়
যদি বোকা বউটার অভিমানী মুখটা আবার দেখা যায়
কিংবা হিসেব মেলে সংসারের অথবা জীবনের।
খানিকবাদে গুলির শব্দ-
মরে যাওয়ার আগে টের পাই,
মাটি ভিজে গেছে আমারই রক্তে- মানুষের রক্তে।

তারপর…
তোমাদের মুখস্থ প্রেসনোট
অথবা লোক দেখানো পরিসংখ্যান;
অথবা আজীবন বাবা ডেকে বাবার দেখা না পাওয়া
একটা দুঃখী মেয়ের বেদনার্ত মুখ।

সেশন: ২০০৭ - ২০০৮

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp

আরও লেখা সমূহ