জুন ২০, ২০২৫

সমাবর্তনে পরিবর্তনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ই ডিসেম্বর ২০১৯, রোজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দুপুর ১২.০০ টায় সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।  

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ ড. তাকাকি কাজিতার হাতে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ ডিগ্রি তুলে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদ নিবন্ধন খাতায় তাঁর নাম নিবন্ধিত করেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃক মুজিববর্ষ-২০২০ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি (মরণোত্তর) প্রদানের সিদ্ধান্তকে  সাধুবাদ জানান এবং ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান কে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান সান্ধ্যকালীন কোর্স ব্যবস্থাটি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার মূল লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন হলেও তা একমাত্র লক্ষ্য নয়। কারণ কর্মবিমুখ শিক্ষা মূল্যহীন। শিক্ষাকে কার্যকর করতে হলে এর সাথে কর্মের সংযোগ ঘটাতে হবে।“ এসময় তিনি যুবসমাজকে ‘Change Maker’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এবছর সমাবর্তনে রেকর্ডসংখ্যক  মোট ২০ হাজার ৭৯৬ জন গ্রাজুয়েট অংশ নেন যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৪ জন অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থী। অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে  ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে  মোট ৫১ জন গ্রাজুয়েট সমাবর্তনে অংশ নেন।

এবছর সমাবর্তনে ৭৯ জন কৃতি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮ টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ৬ জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এদিকে সমাবর্তনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র ছিল উৎসবের আমেজ। পুরো ক্যাম্পাস সেজেছিলো নতুন রূপে। গায়ে গাউন জড়িয়ে, মাথায় হ্যাট লাগিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন গ্রাজুয়েটরা। তাদের পদচারণা আর ফটোসেশনে  মুখরিত ছিলো ঐতিহাসিক কার্জন হল, শহীদুল্লাহ হল পুকুরপাড়, শহিদ মিনার, টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য, বটতলা, অপরাজেয় বাংলা, মল চত্বর এবং কলাভবন। তাদের বাবা-মায়ের উপস্থিতি এই আনন্দে যোগ করেছিল বাড়তি মাত্রা। 

প্রতিবেদক: মোঃ হুমায়ন কবির, প্রথম বর্ষ

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp