জুন ১৮, ২০২৫

একজন প্রকৃত শিক্ষক

“একজন প্রকৃত শিক্ষকের পরিচয় মেলে কীসে?

তাহার ডিগ্রি কিংবা অধ্যাপনায়!

না…না…কখনোই নয়।

পুঁথিগত শিক্ষার দাম্ভিকতায়

শিক্ষিত সে যে

মনের ঘরে নেই যে আলো

কীভাবে জ্বালিবে প্রদীপ শিখা

হাজারো শিক্ষার্থীর অন্তরে।”

প্রফেসর ড. তসলিম সাজ্জাদ মল্লিক; আমার একজন অন্যতম প্রিয় শিক্ষক। যার শিক্ষকতার আলো ও আর্দশের স্পর্শে ধন্য হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, এমনকি সাধারণ কর্মচারীরাও। স্যারের ব্যবহার সর্বস্তরের সবার সাথে এতটাই মার্জিত ছিল, মানুষ হিসেবে তিনি এতটাই অমায়িক ছিলেন যে প্রথম দেখাতেই স্যারের ফ্যান হবে না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ; যার মাঝে ছিল না  দাম্ভিকতার ছিটেফোঁটাও। ছিল না কোনো গর্ব কিংবা  অহংকারের ছোঁয়া। সব ছাত্রছাত্রীর জন্যই উনি ছিলেন এক আশ্রয়স্থল।

আমার নিজেকে সত্যি খুব ভাগ্যবান মনে হয় যে স্যারের মতো একজন অসাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছিলাম। যখনি স্যারের সাথে দেখা হতো, কথা হতো; উনার হাসিমুখ আর সাবলীল ভাষার মাধুর্যে মনটাই ভাল হয়ে যেত। কোনো সমস্যাই স্যারের কাছে গেলে আর সমস্যা মনে হতো না। স্যার যেন ছিলেন এক অদম্য প্রাণশক্তির আধার যার স্পর্শে আসা মাত্রই আমরা সব ছাত্রছাত্রীরা নতুন করে উদ্দীপনা পেতাম, জীবনে কিছু করার অনুপ্রেরণা পেতাম।

মানুষের জীবনে সবকিছু মন মতো হয় না। খুব ইচ্ছে ছিলো  যতটা দিন ডিপার্টমেন্টে থাকি স্যারের সান্নিধ্যে থেকে, উনার ব্যক্তিত্বের ছিটেফোঁটা হলেও নিজের মাঝে ধারণ করবো। কিন্তু সকল ইচ্ছে তো আর পূরণ হয় না। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে স্যার পরকালের পথে পাড়ি জমিয়েছেন আমাদেরকে শোকের অথৈ সাগরে ভাসিয়ে।

আল্লাহপাক আমাদের প্রিয় স্যারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন এবং আমাদেরকে স্যার এর দেখানো পথে; এবং উনার প্রিয় কিউএমএইচ স্ট্যাটিস্টিক্স ক্লাব-কে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp

আরও লেখা সমূহ