“তোমার অনেক কিছুই দেখছি আগের মতোই আছে”
দীর্ঘ নৈঃশব্দের দেয়াল ভেঙে শুরুটা করলো মেয়েটিই।
যদিও বিশ বছর আগে শুরুটা করেছিলো ছেলেটিই।
তখন মেয়েটি ছিলো লাজুক, আর ছেলেটা চঞ্চল।
আর এখন..
শ্রোতা মন্ডলী, আপনাদের কী মনে হয়?
বিশ বছর কি অনেক সময়?
মানে সবকিছু বদলে দেবার জন্য যথেষ্ট সময়?
বলছেন?
বরং ছেলেটা আর মেয়েটার সংলাপ থেকেই বোঝার চেষ্টা করা যাক।
মেয়েটা বলছিলো,”সেই ঢিলে শার্ট, ঢিলে প্যান্ট,ঝাঁকড়া চুল,
আজও শার্টটা ইস্ত্রী করোনি। সেই আগের মতো।”
ছেলেটা মুচকি হাসলো শুধু। অবশ্য সেটাকে যদি হাসি বলা হয়।
মেয়েটা বলে চললো,”চুলে অবশ্য হালকা পাক ধরেছে।
আর হ্যাঁ, চশমার.. “
বলে মেয়েটা নিজেই হেসে দিলো।
“স্কুল কলেজে পড়া সব গল্প উপন্যাসে দেখতাম বয়স বাড়লে নায়ক ইয়া মোটা চশমা নেয়।
সময় অনেক কিছু বদলে দেয় তাইনা?
যৌবনে তুমি চওড়া ফ্রেমের চশমা পরে ঘুরে বেড়াতে।
অবশ্য সেই চশমা তোমার চাপল্যকে আড়াল করতে পারতো না একটুও।”
“তোমার হাসিটা সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। মনে হয় শব্দহীন বৃষ্টি।”
এই প্রথম কথা বললো ছেলেটি।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখছি, ছেলেটা কিন্তু মেয়েটার হাসিতেই প্রথম প্রেমে পড়েছিলো।
আর মেয়েটি চুপ থাকলেও “না” বলেনি কখনো।
যাই হোক ছেলেটার কথায় থেমে গিয়েছিলো মেয়েটা। একটু কি লজ্জা পেলো?
অবশ্য সেটা ক্ষণিকের জন্য। তারপরই আবার শুরু করলো,
“আজকে কিন্তু সরু চশমায় তোমাকে বেশ গম্ভীর লাগছে।
গাম্ভীর্যে তোমাকে মানিয়েছে কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না।
অথচ কী মারাত্মক হেঁয়ালিপনা ছিলো তোমার,..
মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতাম আমি।
যদিও,..”
“থাক আর বলতে হবে না।” থামিয়ে দিলো ছেলেটি।
থেমেও মেয়েটি থামলো না।
“থিয়েটারে সবসময় তোমাকে হেঁয়ালি চরিত্র দেয়া হতো,
এজন্য একবার তুমি রাগ করে থিয়েটার ছেড়ে এলে।
তারপর শাফি ভাই নিতান্ত অখুশিমনে তোমাকে একবার নুরুলদীন চরিত্রটা দিলো।
কিন্তু কী আশ্চর্য! তুমি মঞ্চ কাঁপিয়ে দিলে। নুরুলদীন স্টেজ ছাড়ার পর ঠিক কতক্ষণ দর্শকরা ঘোরের মধ্যে ছিলো, তুমি যদি দেখতে!
এখন তোমাকে কেমন জানি ঐ চরিত্রটার মতো লাগছে।
মনে হচ্ছে তুমি এখনই গম গম করে বলে উঠবে,”শুনুন ভাইসব…”
মেয়েটা এবার শব্দ করে হাসলো।
এবং অনাবশ্যক দীর্ঘ সময় নিয়ে হাসলো।
একটু কি বিদ্রুপ ছিলো সেই হাসিতে?
আর সেই হাসি দেখে ছেলেটা মুগ্ধ হয়েছিলো নাকি বিরক্ত?
ঠিক বোঝা গেল না।
তবে ছেলেটার চেহারায় কিছু একটা প্রকাশ পেল।
শ্রোতামন্ডলী আপনারা কি কিছু বুঝলেন?
কেনইবা ছেলেটা চুপ থাকলো, কেনইবা মেয়েটা অনর্গল বলে গেলো।?
সবকিছু কি সত্যিই বদলে গেছে?
- নাজিয়া তাসনিমhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae/বৃহস্পতিবার, জুন ১১, ২০২০
- নাজিয়া তাসনিমhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae/বৃহস্পতিবার, জুলাই ৯, ২০২০
- নাজিয়া তাসনিমhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae/বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৩, ২০২০
- নাজিয়া তাসনিমhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae/বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৮, ২০২০
- নাজিয়া তাসনিমhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae/বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১২, ২০২০