fbpx

আষাঢ়ে গল্প

স্কুলের টিনের চালে ঝমঝম শব্দ হচ্ছে। বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। বৃষ্টিতে আজ অংক ক্লাস ফেঁসে গেছে। স্যার যখন ক্লাস নিতে আসবেন আসবেন ভাব তখনই আকাশ কালো হয়ে সব অন্ধকারে ছেয়ে গেল। স্যার তার বিরাশি মন ওজনের বেতের লাঠিটা নিয়ে আসার জন্য সবেমাত্র তৈরি হচ্ছিলেন। তার ইচ্ছে ছিল কঠিন কঠিন অংক দিয়ে সবার পিঠে বিরাশি মন ওজনের বেত দিয়ে কাঁঠাল পাকাবেন। সে বোধহয় আর হয়ে উঠল না। স্যারের তাই মন খারাপ। প্রতিদিন বেতের ব্যবহার না করতে পারলে তার বাতের ব্যথা বেড়ে উঠে। এদিকে ঝন্টুর মন ভয়াবহরকম ভালো। আজ আর ক্লাস হবে না, ভাবতেই মনটা কেমন কেমন করে। কিন্তু এই বৃষ্টিতে বেরও হওয়া যাচ্ছে না। তার উপর ঝন্টুর ব্যাগ নেই। বই খাতাতো ভিজে যাবে। ঝন্টু তার বন্ধু মন্টুর দিকে তাকায়। দোস্ত কি করা যায়? মন্টু একটা জবা ফুল মার্কা হাসি দেয়। আমার কাছে একটা পলিথিন আছে। বইগুলো পলিথিনে বাইন্ধা ল। ঝন্টু খুশি হয়। পলিথিনে বই বেঁধে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি যাবে সে। যেই ভাবা সেই কাজ। বৃষ্টির মধ্যেই সে বের হয়ে পড়ে। মূল সড়ক পার হয়ে একটা ক্ষেতের আল ধরে হাটতে থাকে । আকাশ যেন আজ তার ঝাঁপি খোলে দিয়েছে। চারদিক কেমন নির্জন, নিরব, নিস্তব্ধ। চারদিকে শুধু ছন্দময় বৃষ্টি। পাটের পাতার উপর বৃষ্টির ফোঁটারা অবিরাম ঝরছে। ঝন্টুর কেমন ভয় ভয় করে। একটা বিশাল বিল। সে বিলের মাঝখান দিয়ে সে একাকি হেঁটে যাচ্ছে। আকাশে থোক থোক মেঘ। চারদিকে অন্ধকার। এমনো দিনে, এমনো বরষের বর্ষণে ভিজে ভিজে একাকি আনমনে মন কোথায় যেন ছুটে চলে। পাট ক্ষেতের এদিকটায় আরো বেশি নির্জন৷ পাটগুলোও লম্বা লম্বা। কেমন যেন গা ছম ছম করে। ঝন্টুর কয়েক হাত পাশে পাটগুলো হঠাৎ নড়ে উঠে। একটা মেছো বাঘ কোথা থেকে যেন উদয় হয়। ক্ষণিকের আতংকে ঝন্টু বিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই ঝন্টু কোথায় যাস? মানে কি মেছো বাঘটা কথা বলছে! কি কিরে কথা বলিস না কেন? দেব নাকি ঘাড় মটকে। ঝন্টু আর ভাবতে পারে না। হঠাৎ সে পাটক্ষেতের মাঝ দিয়ে দৌড় দেয়। মনে হচ্ছে মেছো বাঘটা তাকে ধরে ফেলবে। সে দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে। একসময় সে দ্রিম শব্দ করে পড়ে যায়। কাদা আর জলে একদম মাখামাখি অবস্থা। সে তাকিয়ে দেখে পাটক্ষেত নেই। একটা বিশাল খোলা মাঠে সে এসে পড়েছে। মাঠের পরে বাড়ি। আচ্ছা ঝন্টু কি পথ ভুলে গেছে? এরকম মাঠতো এখানে থাকার কথা না। আর এসব বাড়ি ঘরই বা আসল কোথা থেকে। এ পথতো তার চেনা। তবে কি সে অন্য পথে এসেছে? সে ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকায়। মেছো বাঘটা আছে কিনা দেখার জন্য। কিন্তু একি মেছো বাঘ কোথায় একটি বালিকা তাকে দেখে খিল খিল করে হাসছে। এই তুমি এই বৃষ্টিতে কোথা থেকে এলে। কোথা থেকে এলাম মানে? আমার স্কুল থেকে? এখন বাড়ি যাচ্ছি। স্কুল, বাড়ি। কিসব বলছ? তোমার গ্রামের নাম? সোহাগপুর। সোহাগপুর! কি জানি এমন গ্রামের কথাতো শোনিনি। এটা কোন গ্রাম? এটা পলাশ পুর। পলাশপুর! এগ্রামের নামতো আমি শোনিনি। আচ্ছা তুমি এখানে কি করছ? আমি বৃষ্টিতে কৈ মাছ ধরছি। কৈ মাছ! হুম দেখ মাঠে কত্তো কৈ মাছ। কেমন কিলবিল করছে। আমি একা পারছি না। তুমি আমায় সাহায্য করবে? ঝন্টু সত্যি দেখে বৃষ্টিতে অনেক কৈ মাছ নেমে এসেছে। তারা কানের উপর ভর দিয়ে হাঁটছে। মেয়েটির পাশে একটা বড় ঝাঁপি। ঝাঁপিটা দেখতে দেখতে ভরে গেছে। আচ্ছা তোমার নাম কি? আমার নাম বৃষ্টি। মেয়েটির ছোট্ট জবাব। তোমাদের গ্রামতো সোহাগপুর কিন্তু এটা কোন জেলা? এটা নাটোর। ঝন্টুর যেন ভীরমি খাওয়ার যোগাড়। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের এক ছোট্ট গ্রাম পলাশপুর। মেয়েটি কি তবে মিথ্যে বলছে? বৃষ্টি তুমি মিথ্যে বলছ কেন? আমি কেন মিথ্যে বলব। চল আমারদের বাসায় চল। এই বৃষ্টিতে তুমি আবার পথ হারাবে তারপর আবোলতাবোল বকবে। ঝন্টু আনমনে বলে চল।

বৃষ্টির বাবা মা খুব ভালো মানুষ। ঝন্টুকে অনেক আদর করে খেতে দিয়েছে। কৈ মাছ ভাজা, মুরগির মাংস আর মশুরির ডাল। খেয়ে ঢেকুর তোলছে ঝন্টু। তা বাবা তুমি বলে চাচ্ছ তোমার বাড়ি মাদারীপুর। সেখান থেকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তুমি এখানে এসে পড়েছ? এটাতো বিশ্বাসযোগ্য কথা না। দেখেন আমি সত্যি বলছি। মিথ্যা বলে আমার কি লাভ? বৃষ্টির বাবাকে কিছুটা চিন্তিত মনে হয়। সে মাথা চুলকায়। আচ্ছা তুমি এখন ঘুমাও। বৃষ্টিতে ভিজে ক্লান্ত হয়ে গেছ। কোন একটা ঝামেলা হইসে। ঝামেলাটা আমি ধরতে পারছি না। ঝন্টুরও সব কিছু এলোমেলো লাগছে। কোথায় মাদারীপুর আর কোথায় নাটোর? কি হচ্ছে এসব?

ঝন্টুর ঘুম আসছে না। সে একটা অস্থিরতার মধ্যে আছে। কোথা থেকে এসে কোথায় এলো? টিনের চালে এখনো টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে আছে কিন্তু ঝন্টু জেগে আছে। তার কাছে পুরো বিষয়টা এখনো স্বপ্ন মনে হচ্ছে। সে বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। বারান্দায় বৃষ্টি দাঁড়িয়ে আছে। বৃষ্টি তুমি এখনো ঘুমাও নি? নাহ্, ঘুম আসছে না। আচ্ছা তোমার বাড়ি কি সত্যি ই মাদারীপুর? হ্যা। তাহলে তুমি নাটোরে কিভাবে এলে? আমারও সেটাই প্রশ্ন? কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে ব্যাপারটা। অথচ তুমি আমি দুজনেই বাস্তবে কথা বলছি কিন্তু মনে হচ্ছে আমরা পর বাস্তব জগতের বাসিন্দা। আচ্ছা তোমাদের মাদারীপুর কোথায়? ঢাকার পাশে তবে নদী পার হতে হয়। বিশাল পদ্মা পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টির চোখে চিন্তার ছাপ। সব কিছু কেমন যেন খাপছাড়া খাপছাড়া লাগছে। তুমি কিসে পড়? ক্লাস নাইনে। তুমি? আমি এইটে। তবে মজার ব্যাপার কি জানো আমি অংকে খুব ভালো। অংক আমার এত প্রিয় যে নবম দশম শ্রেণির সব অংকও আমি করে ফেলেছি। বল কি? আমিতো অংকে কাঁচা। অংক স্যারকে দেখলেই আমার সর্ট সার্কিট লুজ হয়ে যায়। ভিতরের কলকব্জা কাজ করে না। বৃষ্টি হাসছে। তার হাসির সাথে যেন বাইরের বৃষ্টি আরও বাড়ছে। আচ্ছা আমি আজ তোমাকে অংক শিখাব। অংকের কিছু বেসিক নিয়ম আছে যা শিখলে অংক নিয়ে তোমার আর কোন ভীতি থাকবে না। অংক হচ্ছে একটা ধাঁধার মত। ধর, তোমার বন্ধুরা মিলে ধাঁধা ধাঁধা খেলো না মাঝে মাঝে অনেকটা তেমন। তো তোমার সামনে একটা ধাঁধা এলে তুমি কি কর, সেটা নিয়ে তুমি অনেক চিন্তা কর,তারপর বিভিন্নভাবে তা সমাধানের চেষ্টা কর। তুমি যদি ধাঁধা সমাধান করে মজা পেতে থাক তখন যত কঠিন ধাঁধাই হোক তোমার আর ভয় কাজ করবে না বরং একটা কৌতূহল কাজ করবে। এ কৌতূহল তোমাকে ধাঁধা সমাধানে সাহায্য করবে। ঝন্টু মজা পাচ্ছে বৃষ্টির কথা শোনে। সে কোনদিন এমনভাবে ভাবেনি। অংকতো আসলে ধাঁধাই। ধাঁধা যেমন সমাধান করতে হয় অংকও তেমনি সমাধান করতে হয়। আরেকটা বিষয় তোমাকে বলি, তুমি অন্য বিষয় যত ভালোই পার অংকে ভালো না হলে তুমি ভালো ছাত্র হতে পারবে না। তাই অংককে ভয় না পেয়ে ভালোবাসতে শিখ, এর পিছনে সময় দাও দেখবে অংক তেমন কঠিন নয়। কিন্তু ভয়ে যদি তুমি অংক না কর তবে শিখবে কি করে? জানো আমাদের একজন অংক স্যার আছেন, ইয়া বড় একটা বেত নিয়ে তিনি ক্লাসে আসেন। স্যারের বেত দেখলেই আমি অংক ভুলে যাই। স্যারের ক্লাসে এমন কোন দিন নেই যে আমি মার খাইনি। কি যে করি। আমি মনে হয় মার খেতে খেতে আমার জীবন শেষ করব। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। নিজে অংক করো না আর দোষ স্যারের বেতের। স্যারের কি দায় পড়েছে শুধু শুধু তোমাকে মারবে? আচ্ছা আসো আমি তোমাকে অংক শিখিয়ে দিচ্ছি। তুমি এখন থেকে অংকের জাহাজ হয়ে যাবে। সারারাত ওরা অংক করে। বৃষ্টি অংকের বেসিক কিছু বিষয় ঝন্টুকে বুঝিয়ে দেয়। ঝন্টু খুব সহজেই বিষয়গুলো বুঝে নেয়। আচ্ছা আমার ঘুম পাচ্ছে আমি এখন যাই, তুমি ঘুমাও। সকালে কথা হবে। বৃষ্টি চলে যায়। ঝন্টুর বাথরুমে যাওয়া দরকার। বাথরুমটা বাড়ির বাইরে। একা একা কেমন ভয় করছে। কিন্তু কিছু করার নেই। প্রকৃতির ডাক এলে সাড়া না দিয়ে উপায় নেই। গ্রামের বাথরুম এর পাশে একটা বাঁশঝাড় থাকে। বৃষ্টিদের এখানেও তাই। সে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যায়। কিন্তু একি! বাথরুমের পাশেই সেই মেছো বাঘ। কিরে তুই এইখানে কি করস? বৃষ্টি শেষ। তোর ক্লাস আবার শুরু হইসে। দৌড়া। ঝন্টু মেছোবাঘ দেখেই আবার ভয় পেয়ে যায়। চোখ মুখ বুজে রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ায়। সে ঘরে ঢুকার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে যত দৌড়াচ্ছে বৃষ্টিদের ঘর তত দূরে সরে যাচ্ছে! আস্তে সব কিছু অস্পষ্ট হয়ে আসছে। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে যায় সে৷ ঘোর কেটে যেতে সে নিজেকে স্কুলের গেটে আবিষ্কার করে। মন্টু ডাকছে। এই ঝন্টু যাইস না ফিরে আয়। ক্লাস হইব। ঝন্টু দেখে বৃষ্টি নেই। আকাশে ঝকঝকে রোদ। অংক স্যার ক্লাসে ঢুকছে। হাতে লম্বা বেত। ঝন্টু হন্তদন্ত হয়ে ক্লাসে ঢোকে। ঝন্টু তোর বই কই? ব..ই। ব..ই তো নাটোরে। বৃষ্টিদের বাসায়। তোর মাথা খারাপ হইসে। দশ মিনিট হয় নাই স্কুল থেকে বাইর হইছস এর মধ্যেই বই হারায় ফালালি? না মানে। কি মানে মানে করতাছস। এই ঝন্টু তোর বই কই? স্যারের প্রশ্ন। সে বেত উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঝন্টুকে না পিটালে স্যারের বেতে জম ধরে যায়। ঝন্টু ভয়ে ভয়ে বলে স্যার ভুলে বাসায় রাইখা আসছি। তবে রে..ফের মিথ্যে কথা। স্যার মারেন সমস্যা নাই, তার আগে এ বইয়ের সবচেয়ে কঠিন একটা অংক আমারে করতে দেন যদি না পারি তবে মারেন কাটেন যা করার করেন। স্যার যেন শক খেলেন। বলে কি ছোকরা! পুরো ক্লাস যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। ক্লাসের ভালো ছাত্ররা যারা ফেল্টুস ঝন্টুকে পাত্তা দেয় না তারা বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে। নে এ অংকটা কর। মন্টুর বই থেকে একটা অংক করে দেয়৷ ঝন্টু ঝটপট অংকটা করে ফেলে। স্যারতো অবাক! নে এটা কর। সেটাও ঝন্টু করে। এভাবে অনেকগুলো অংক স্যার করতে দেয়। ঝন্টু একে একে সব করে দেয়। স্যার বিড়বিড় করে বলে ইটস মিরাকল রিয়েলি মিরাকল। সে এই প্রথমবারের মত তার বেতের ব্যবহার না করে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। সব ছাত্ররা তাকে ঘিরে ধরে। ঝন্টু এতো অংক তুই শিখলি কার কাছে? বৃষ্টি শিখিয়েছে। বৃষ্টি কোন বৃষ্টি? নাটোরের। নাটোরের? তুই নাটোর গেলি কখন? আরে না না আকাশের বৃষ্টি। দেখছিস না বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। সত্যি স্যার চলে যাওয়ার পরে পুরো আকাশ কালো করে আবার বৃষ্টি হচ্ছে। অঝোর ধারায় বৃষ্টি।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য | বাংলাদেশ কবিসভা(বাকস)

জন্ম ০৩ জুলাই, ১৯৮৬ সালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চরআত্রা গ্রামে নানার বাড়িতে। বাবা- মো: আবদুল লতিফ, মা- সাহিদা বেগম। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চরজুজিরা ও সাহেবেরচর গ্রামে। লেখকের পৈত্রিক বাড়ি তিন বার পদ্মার প্রবল নদি ভাঙ্গনের শিকার  হয়েছে। বর্তমানে লেখকের বাড়ি নড়িয়া পৌরসভার পশ্চিম লোনসিং গ্রামের বাংলাবাজারে। তিনি ব্যবস্থাপনা ও ইংরেজী সাহিত্যে পৃথকভাবে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক সংগঠন “আবৃত্তি একাডেমির” সদস্য ও বাংলাদেশ কবিসভা(বাকস) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দেশবরেণ্য গবেষক ও ছিটমহল আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব জনাব এ এস এম ইউনুছের “পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন ও সংগ্রাম” বইতে লেখককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের প্রকাশিত বইসমূহ:

বনফুল(ছোট গল্প)

কান্নার সমুদ্রে এক চিলতে হাসি(কাব্য গ্রন্থ)

রক্ত নদে লাল গোলাপ(ছোট গল্প)

নিস্তব্ধ  শ্রাবণ(কাব্য গ্রন্থ)

চাঁদের দেশে তপু(উপন্যাস)

বরফকুমারী(ছোট গল্প)

বিড়ালের ভবিষ্যৎ ( ছোট গল্প)

সুলতান মাহমুদ

জন্ম ০৩ জুলাই, ১৯৮৬ সালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চরআত্রা গ্রামে নানার বাড়িতে। বাবা- মো: আবদুল লতিফ, মা- সাহিদা বেগম। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চরজুজিরা ও সাহেবেরচর গ্রামে। লেখকের পৈত্রিক বাড়ি তিন বার পদ্মার প্রবল নদি ভাঙ্গনের শিকার  হয়েছে। বর্তমানে লেখকের বাড়ি নড়িয়া পৌরসভার পশ্চিম লোনসিং গ্রামের বাংলাবাজারে। তিনি ব্যবস্থাপনা ও ইংরেজী সাহিত্যে পৃথকভাবে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক সংগঠন “আবৃত্তি একাডেমির” সদস্য ও বাংলাদেশ কবিসভা(বাকস) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দেশবরেণ্য গবেষক ও ছিটমহল আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব জনাব এ এস এম ইউনুছের “পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন ও সংগ্রাম” বইতে লেখককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের প্রকাশিত বইসমূহ:

বনফুল(ছোট গল্প)

কান্নার সমুদ্রে এক চিলতে হাসি(কাব্য গ্রন্থ)

রক্ত নদে লাল গোলাপ(ছোট গল্প)

নিস্তব্ধ  শ্রাবণ(কাব্য গ্রন্থ)

চাঁদের দেশে তপু(উপন্যাস)

বরফকুমারী(ছোট গল্প)

বিড়ালের ভবিষ্যৎ ( ছোট গল্প)