fbpx

অগ্নি স্নাত ভূমি

শব্দগুলো আটকে পড়েছে চিলেকোঠার অন্তপুরে;
ধোয়াসা হয়ে ভেসে ওঠে আর্তচিৎকার।
তীব্র দহনে জ্বলতে থাকা মাংসপিন্ড
বদ্ধ ঘরের মাঝে শব্দহীন অশ্রু
পুড়ে হয় ভস্ম!
সদ্যজাতের চোখে নরকসম অগ্নি
আচ ফেলে তার নিশ্বাসের ঘুম ঘোরে
সূর্যের মিষ্টি আলো সে পায়নি,
পেয়েছে অনল প্রবাহ।
আরাম কেদারায় বসে থাকা দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ
ভেতরে তার তীব্র জিজ্ঞাসু মন
কী হয়েছে আজ?
বোঝেনি সে, বোঝবার সময় দেওয়া হয়নি।
সন্তানসম্ভবা বুঝেছে সব, দেখেছে সব!
কিন্তু
পারেনি সে, পারিনি তার সহচরও।
আলো ফুটবার আগেই তীব্র আলোর ঝলকানি!
স্বপ্নের ঘরে বাস করা মেয়েটি
শেষ করতে পারেনি-
অনন্ত কালের স্বপ্নে ভেসে রয়েছে দৃষ্টির অসীমে।
এলার্ম দিয়ে রাখা ঘড়িটি আজ ক্লান্ত,
আর আওয়াজ তোলেনি!
সবাই আজ মৌনব্রত পালনে উবে গিয়েছে
কোন পূর্নিমার রাতের শেষ প্রহর
জেগে উঠবে সবাই
আস্ফালন তুলবে,
ঘরমুখী হবে।
নতুন প্রানের সঞ্চালন দেখে ওরাও নস্টালজিক হবে
সেদিন বৃষ্টি নামবে, খুব।
শেষ রাতের পাখিটা ভিজে ভিজে ওদের কান্না শুনবে।
কুকুর গুলো ডুকরে ডুকরে কেঁদে পালাবে
রাতের তারাগুলোও একসময় ঘুমাতে যাবে।
অদৃষ্ট ওদের আলপনাকে সুচারু করবে
দিনের আলোতে।

(০২-৩-২০১৯)

প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েট