জুলাই ১০, ২০২৫

যাযাবরের কথন

এক পশলা বৃষ্টি শেষে মাঘের শীত নামে জ্যৈষ্ঠের ভরদুপুরে
বুনোলতার শীতল ছুরিতে দগ্ধ হয় উত্তপ্ত শরীর
পিচঢালা রাস্তাগুলো নবযৌবনের হাওয়ায় ঝলসে ওঠে শেষ বিকেলে
ডাইনোসরের থাবায় বিক্ষত রাস্তার গর্ত গুলোতে দুধ-চা এর বান ডাকে-
কাকভেজা হয়ে চুপসে ওঠে ক্ষণিক আগের তামাটে দেহখানা।
যে মেঘের ডাকে কৈ-এরা কান মেলে নৃত্য করে কোনো এক ভরপুকুরে
কোথাও সেই ডাকে হারায় কোনো প্রাণ!
রোদের আঁচে ভেজে ওঠা ছন আর গোলপাতার ছাউনিগুলো লজ্জাবতীর মতো চুপসে যায় নতুন জলের ধারায়
টিনের ঢেউগুলোর প্রান্তে তরল মুক্তা ঠিকরে ওঠে
অগোচরেই আবার মিলিয়ে যায় জলকাদায়।
অলক্ষ্যে জন্মানো কচুর পাতায় পারদ-এরা ছোঁয়াছুঁয়িতে মাতে ঠিক আমাদের সেই দিনগুলোর মত
হারিয়েছে যা বয়সের ডুবসাগরে!
ক্ষণিকের স্থবির জনপদে প্রাণের খেলায় দাপিয়ে ক্লান্ত হয়ে থমকে দাড়ায় লম্বাটে তরুর সারি
নীল রঙের পর্দা মাড়িয়ে আকাশটা সাদায় লেপ্টে দিয়েছে যাযাবর বাতাস
পশলা বৃষ্টির ভেলকি শেষে আবার কোথায়ও ছুটবে ;
কোনো তপ্ত সমীরণের পানে
সাদায় মোড়া নতুন ক্যানভাসে
মঙ্গোল কিংবা ইউরাল পর্বতের যায়াবরদের সাথে কোনো মেরুতে মিলবে ওরা
ঝরঝর ধারার অনুনাদে
এমন কোনো তপ্ত নয়তো শীতল কোনো প্রান্তে ।

jagannath pal
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েট
Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp