অব্যক্ত
এই ডিসেম্বরেই মাস্টার্সের ক্লাস শেষ
সেই সাথে শেষ তোমাকে নিয়মিত দেখারও
নিয়মিত দেখা— হাসছে নিয়তি।
নিয়মিত দেখা মানে,
ইকোনোমেট্রিক্স লেকচার তোলার ফাঁকে
পাশের বেঞ্চের পরের বেঞ্চে খুব সতর্কে
লুকিয়ে একবার তাকানো— এই বা কম কী!
তুমি হাস্যরত; বান্ধবীদের সঙ্গে দুষ্টামিতে ব্যস্ত
ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে কড়া শিক্ষক ক্লাসে,
সেদিকে তোমার হুঁশ নেই, তোয়াক্কা নেই
যেন কোনো যুবতী নয়, বয়ঃসন্ধি চলা এক কিশোরী তুমি!
অথচ আমাদের দেখা হতে পারত
শাহবাগের পাঠক সমাবেশেও
ছুটির দিনের কোনো এক অলস বিকেলে
তুমি সুনীলে মগ্ন; তোমাতে মগ্ন আমি।
কুশল বিনিময় শেষে দুজনেই চুপ
হৃদয়ে থরে থরে সাজানো হরেক রকম বাক্য
যে বাক্য মুখ দিয়ে বের হবে না কখনোই!
চায়ের উদ্দেশ্যে টিএসসি যাত্রা
আর আমার মনে সে পথ অনন্ত হবার দুর্বার প্রার্থনা।
যে ভাবনাটিকে তুমি জোর করে মন থেকে
সরিয়ে দাও বারংবার, সেটি শতভাগ সত্য
আমার কবিতাগুলো সত্যিই তোমাকে নিয়ে লেখা।
তুমি ফুল ভালোবাসো, তরুলতা ভালোবাসো,
ভালোবাসো মানুষকে
তাই আমি লিখলাম— “আমি তারেই ভালোবাসি
যেজন মানুষ ভালোবাসে
ভালোবাসে ফুল-পাখিরে
মন আঁকিরে মনের মাঝে
মন যে ও তার
যেজন মানুষ ভালোবাসে।”
এরপর একদিন
তোমার দু’কপোল বিস্তৃত হাসিমুখ অন্তর জুড়িয়ে দিল
যে অন্তর ছিল ক্লাসের চাপে পিষ্ট আর ভাদ্রের তপ্ততায় দগ্ধ
কোনো এক জাত কবির আত্মা ভর করলো সেদিন আমাতে;
লিখলাম— “হাসি মুখ, কী যে সুখ, ভরে বুক তাই হেরে
হৃদে বাস, প্রেম ত্রাস, থাক কাছে কিবা দূরে।”
প্রথমবার বই পাঠালাম বলে তুমি এত খুশি হলে
দ্বিতীয়বার আর পাঠানোর লোভ সামলাতে পারলাম না।
সেবার তুমি রেগে গেলে
কিংবা অভিনয় করলে রাগার।
আমি লিখলাম— “তাকে ভালোবাসবো বলে
বাড়িয়ে দিলাম দুটি বাহু
কণ্টাকীর্ণ পথে বিছিয়ে দিলাম হৃদয়…”
বাকিটুকু তুমি জানো!
তোমার করা আমার কবিতার প্রশংসা
আমাকে পুলকিত করে বটে
তবে সেইসাথে ভীতিরও সৃষ্টি করে।
তাই লিখলাম, “নই আমি তত গুণী
যতখানি ভাব তুমি
নই আমি ততটা মহান।”
আমি তোমার প্রেমে পড়েছি
কী তীব্র গতিতে পুড়ে যাচ্ছে হৃদয়
সে পোড়ার গন্ধ পাচ্ছ তুমি?
আমি তোমার প্রেমে পড়েছি
বিনা কারণে নয়;
তোমার প্রেমে পড়বার মতো একশো আটটি কারণ
আমি দেখাতে পারি অকপটে!
তোমাকে ভালোবাসবার মতো প্রচন্ড প্রেম এই বুকে
সে প্রেমের বেগ হৃদয়কে দেয় দুমরে-মুচরে
কিন্তু ভালোবাসতে পারি না।
একশো আটটি বাধা আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখে আমাকে।
পারো না তো তুমিও; সহস্র বাধা চারিধারে
কিংবা প্রশ্রয় দাও না।
আর কত লিখি!
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে বসলে হয়ে যায় মহাকাব্য;
ছোটগল্প রূপ নেয় উপন্যাসের—
তাই আজ আর নয়; ভালো থেকো।
প্যাপাইরাসের অনলাইন সংস্করণের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কবিতা লিখাতে দ্বিতীয়
হরিপদ শীল
- হরিপদ শীলhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2/বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০১৯
- হরিপদ শীলhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2/বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০১৯
- হরিপদ শীলhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2/শনিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২০
- হরিপদ শীলhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2/শনিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২০
- হরিপদ শীলhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2/বৃহস্পতিবার, মে ১৪, ২০২০