তুমি হয়তো আমায় রোজই দেখো,
আড়মোড়া ভাঙা ভোরের আলোয় অট্টালিকার ভীড়ে।
জানতে কি তোমার ইচ্ছে হয়না?
কত ক্ষত চাপা পড়ে আছে, পিচঢালা পথ চিড়ে।
সত্যি বলতো, অবাক লাগেনা?
যান্ত্রিক এই গোলকধাঁধায় ধনী হওয়ার খেলা।
একদল পথে মরছে ধুঁকে,
আরেক দিকে চাকচিক্য, অলীক অর্থের ভেলা।
তুমি দেখেছো? আমার শরীরে
রঙিন ক্যানভাস, ঠিক অপর পাশেই ধুলিমাখা হাত রিক্ত
যে পথে তুমি উল্লাসে মাতো,
তোমার কষ্টে, সে পথেই নামে অঝোর বর্ষা, ক্রন্দনে করে সিক্ত।
এখানে সবাই বড্ড ব্যস্ত,
স্থবির শুধু, বুদবুদ ওঠা ভাতের মাড়ে আটকে থাকা চোখ।
আমার আঙিনা ব্যর্থ ভীষণ
ঘোচাতে পারেনা পিষে যাওয়া প্রাণ হারিয়ে ফেলার শোক।
রাত নামলেও নির্ঘুম আমি,
ভয় বুঝি কেউ ছিনিয়ে নিলো, যত্নে গড়া আশা।
সোডিয়াম আলোয় লালচে শরীর
অদ্ভুত এক হতাশার মাঝেও খুঁজে চলি ভালোবাসা।
আমি আজো জানো
পথ চেয়ে থাকি, বসন্ত আসবে, প্রেমিকের হাতে লাল গোলাপ হয়ে
উঠোন আমার পূর্ণ হবে
ঠিকরে পড়বে প্রেমিকার হাসি, দমকা হাওয়ায় অভিমান যাবে সয়ে।
এখানে ধোঁয়া ওঠা চায়ে
উষ্ণতা ছড়ায়, মিটে যায় যত দিন শেষে জমা ক্লান্তি,
বেঁচে থাকার তীব্র নেশা
টিকিয়ে রাখে প্রাচীন বুকে এক চিলতে শান্তি।
লাখো মানুষের আনাগোনা
চিত্রনাট্যে সরব আমার পাওয়া না পাওয়ার ঝুলি,
কত দিন গেলো
আজো জেগে আছি, হৃদয়ের এই আদিম জানালা খুলি।
একবার শুধু কাছে এসে দেখো
রঙিন চশমা খুলে দেখো শুধু, যত্নে রাখো খেয়াল
বাঁচিয়ে রাখার আঁকুতি জানাই
ভালো থেকে তুমি, ইতি তোমার নগরীর নোনা দেয়াল।
- This author does not have any more posts.