অনুশোচনা!
কখনো নাড়া দেয় তখনো হারানোর কথা জানিয়ে দেয়। মানুষ বুঝে, প্রকাশ করে, কখনো গোপনে নিজেকে ছাপিয়ে যায়। কিছু ঘটনা ভোলা যায়, কিছু ঘটনায় নিজেকে আবিষ্কার করতে করতেই বিপর্যয় ঘটে যায়। যাইকিছু হয়ে যাক না কেনো আমি বারংবার ভুলেছি। বেশি ভুলতে যেয়ে স্মৃতি আকড়ে ধরে, এমনভাবে আটকায় যেন তা কখনো না হলে ভালোই হতো।
তারপর অনুশোচনার চরম বিষাদ অসহায় করে তোলে। কখনো না কখনো অসহায় হওয়া, আর অসহায়ত্বের দুর্দিনে নিজেই নিজেকে টেনে নিয়ে যাওয়ায় বিস্তর তফাৎ। হাসছি বিষাদের স্বাদে, ভাবছি, তবুও অনুশোচনায় দ্বগ্ধ হচ্ছি। এভাবেই ঘটে গেলো চরম অসুখ। উন্মাদ উন্মুক্ত হয়েছে তার সাহজিক বৈশিষ্ট্যে, পেয়েছে বাঁচার নিজস্বতা যেখানে সে বাধ্য।
২য় ফ্লোর, যতগুলো লাইট সব নিভানো। বাহিরের ল্যাম্পপোস্টের আলোয় যতটুকু আলো হয়। ১ম তলায় জ্বালানো লাল বাতির ঝলক সিড়ি কোঠায়, অদ্ভুত সুন্দর। দুষ্ট বাচ্চারা সব বাহিরে, খালি জায়গাটুকুতে দৌড়াচ্ছে। এইখানে আসা বারণ। বলা যায় আমার মতো বিশ্রী উন্মাদ বসে বসে দৃষ্টি বুলাচ্ছে। মোটরসাইকেলের হেডলাইটে পিউপিল কুচকে যায়, আরো লাইট ওয়ালা ত আছেই। যাই, লিখার সময় ত হয়ে এলো। রক্তবর্ণের প্রতিটা সিড়িতে লিখতে লিখতে নামছি আমার অসুখ নেই। কেউ কি শোনে! উদাস মনে আবারো পায়ের তলায় ঘষে মুছে দেই একটি করে শব্দ। রয়ে যায় কিছু লিখা,”আমার অসুখ”।
- This author does not have any more posts.