মে ১৯, ২০২৫

ছাপা অক্ষরে আসছে প্যাপাইরাসের রজতজয়ন্তী বিশেষ সংখ্যা

হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রতিষ্ঠার পঁচিশ বছর পূর্ণ করলো প্যাপাইরাস। ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের উদ্যোগে যাত্রা শুরু হয় সাহিত্য পত্রিকা প্যাপিরাসের। পরবর্তীতে প্যাপিরাসের নাম বদলে প্যাপাইরাস রাখা হলেও পত্রিকার উদ্দেশ্য এবং চাহিদার পরিবর্তন হয় নি। গত পঁচিশ বছর যাবৎ পরিসংখ্যান বিভাগের গুমোট গাণিতিক আবহাওয়ায় মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসের পরশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মন ও মননের ভাবরস অটুট রাখতে প্যাপাইরাস কাজ করে গেছে অবিরাম।

কালের পরিক্রমায় ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল যাত্রা শুরু হয় প্যাপাইরাস ওয়েবসাইটের (www.thepapyrus.org)। কাগজের পাতায় গোটা হরফে লেখা পত্রিকা থেকে প্যাপাইরাস উঠে আসে কম্পিউটার এবং মুঠোফোনের পর্দায়, ছড়িয়ে যায় দেশ-বিদেশের প্রতিটি প্রান্তে। ত্রৈমাসিক পত্রিকা থেকে হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মাসিক অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা। যদিও জন্মলগ্ন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্যাপাইরাসের যাত্রা মসৃণ ছিলো না, তবে ২০১৯ সাল এর পর থেকে এ পর্যন্ত প্যাপাইরাস প্রতিমাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার নিরবচ্ছিন্নভাবে এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিমাসে প্যাপাইরাস পত্রিকাটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বার পঠিত হয়ে আসছে। ওয়েবসাইটে পাঠকদের আনুমানিক ৮৫% বাংলাদেশ থেকে, ১০% আমেরিকা ও কানাডা থেকে এবং বাকি ৫% পাঠক বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে নিয়মিত প্যাপাইরাসের সাথে যুক্ত আছেন।

প্যাপাইরাসকে যতই ডিজিটাল পর্দায় নিয়মিত পড়া হোক না কেনো কাগজের পাতায় টাটকা কালির গন্ধে মোড়ানো একটি সাহিত্য পত্রিকার আকাঙ্ক্ষা সকলের মধ্যেই কাজ করে গেছে। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতেই ২০২৪ সালের জুন মাসে প্যাপাইরাসের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হবে, ওয়েবসাইটে নয় বরং ছাপা অক্ষরে। গত পাঁচ বছরে ওয়েবসাইটে যত লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে নির্বাচিত কিছু গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি এবং বিশেষ সংখ্যাকে কেন্দ্র করে কিছু অনন্য রচনা নিয়ে সাজানো হবে প্যাপাইরাসের বিশেষ সংখ্যা। ২০১৫ সালের পর প্যাপাইরাসের বর্ণিল মুদ্রিত সংখ্যা ২০২৪ সালে হাতে ধরে, দেখে, পড়ে অনুভব করার অপেক্ষায় আছে প্যাপাইরাসের লেখক, পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা। 

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp

আরও লেখা সমূহ