fbpx

অক্টোবর ১৬, ২০২৪

বসন্তের আক্ষেপ

অবশেষে বসন্ত হলো, আমার জীবনেও এলো
কিন্তু এমন বসন্ত কি আমি চেয়েছিলাম?
যার স্থায়িত্ব এত ক্ষীণ,
আমি তো এমন ক্ষণস্থায়ী বসন্ত চাইনি!
বসন্তের স্নিগ্ধ স্পর্শে প্রকৃতি যেন ফিরে পেল তার চিরচেনা যৌবন,
আকাশে বাতাসে সে কি মিষ্টি এক স্নিগ্ধতা।
আমি তো এমনই এক মাতাল বসন্ত চেয়েছিলাম!
ফাগুনের মুখরিত দমকা হাওয়ার কোমল স্পর্শ তো আমিও চেয়েছিলাম।
আমি তো কোলাহলে নিমজ্জিত কোনো ফাগুন চাইনি,
আমি তো চেয়েছিলাম কোনো এক স্তব্ধ ফাগুন,
যে ফাগুনের গল্পে থাকবে শুধু তোমার আর আমার চরিত্র।
চোখে চোখ রেখে মুখোমুখি বসব দুজন, কোনো বার্তালাপ হবে না!
না, না হবে। তবে কোনো শব্দ হবে না।
কথা হবে চোখে চোখে, শুধুই চোখে চোখে!
কোকিলের কুহু কুহু সুর আমাদের এই মুহুর্ত গুলো করে তুলবে আরো রঙিন,
এমনি এক মহুয়া মাতাল বসন্তই তো আমি চেয়েছিলাম!
কিন্তু আদৌ কি এমন কল্পনায় রাঙানো বসন্ত,
কল্পনায় রাঙানো হিমেল বিকেল পেয়েছি?
ইচ্ছে তো ছিল হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াব কার্জনের প্রতিটি ইটের দেয়ালে,
যেখানে কতশত গল্প রচায়িত, কতশত আবেগ
কত স্মৃতি গেথে আছে প্রতিটা দেয়ালের গায়ে।
আমরাও না হয় এই বসন্তে স্মৃতির পাল্লাখানি আরো একটু ভারী করে তুলতাম,
রাঙিয়ে দিতাম আরো কত শত স্মৃতি দিয়ে।
প্রতিটি দেয়াল যেন অজান্তেই সাক্ষ্য দেয় হাজারো রুপকথার, হাজারো প্রেম কাহিনির
যেন বলে, দেখ তোমরা চলে গিয়েছ! ভুলে গেছো তোমাদের দেয়া কথা, প্রতিশ্রুতি
কিন্তু আমি যে ছিলাম, আমি যে আছি, আমি যে থাকবই।
আমাকে যে থাকতে হবেই হে ক্যামিলিয়া।
হয়ত ভাবছ হঠাৎ এই বসন্ত নিয়ে কেন এত মাতামাতি করছি!
যে বসন্ত হারিয়ে গেছে জীবন থেকে, সেই বসন্ত কি ফিরে পাবো আর হে ক্যামিলিয়া।