fbpx
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

সম্পাদকীয় – অগাস্ট ২০২৪

সম্পাদকীয় – অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলন পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনা নিজেই। আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ শত শত ছাত্র ও সাধারণ মানুষ হত্যা, শিশুহত্যা, কিশোরহত্যা – কী হয়নি রক্তাক্ত জুলাইয়ে! এসব নির্বিচার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তামাশাও হয়েছে ৩০ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অপচেষ্টার মাধ্যমে, যদিও ছাত্র-জনতা তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ প্রসঙ্গে নিচের কবিতাটি লেখা।

স্বৈরাচার :

“চারদিকে সব লালের আঁচড়,
করছে না ‘শোক’ কেউ যে!
শোকের কালো ফেললো ঢেকে
রক্ত-লালের ঢেউ যে!”

ছাত্র/ছাত্রী :

“তোমার কাছে হার মেনেছে
বচ্চন আর খান্না।
কয়খানি কান থাকলে শুনবে
জুলাই মাসের কান্না?
তোমরা সবাই ‘মহান নেতা’ –
ভাইটা আমার তুচ্ছ?
আমার ভাইয়ের রক্তে রঙিন
কৃষ্ণচূড়ার গুচ্ছ।”

এই কবিতাটি সম্পাদকীয় হিসেবে প্রকাশের ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু, তার আগেই পট পরিবর্তন হয়েছে।

হাসিনা সরকার পতনের পর যখন ছাত্র-জনতার বিজয় উদযাপন চলছে, ঠিক তখনই একদল সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতকারী লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি ও মন্দিরে হামলাসহ নানা অরাজকতায় লিপ্ত হয়েছে। যারা বলছেন ‘এগুলো দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ’ বা ‘একটু-আধটু তো হতেই পারে’ তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, ১৫ বছর আগে হাসিনা সরকারও একটু-আধটু করেই স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলো।

সত্যিকারের পরিবর্তন আনা সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, বিপ্লবের সময় অতিবিপ্লবীদের কর্মকাণ্ডে প্রতিবিপ্লবের বীজ অংকুরিত হয়।

সবাইকে সম্প্রীতি ও বৈষম্যহীনতার আহ্বান জানাই। এই ঐতিহাসিক বিজয়ের সুফল সবাই ভোগ করুক।

IMG 6678

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশনঃ ১৯৮৩ - ৮৪