fbpx

জানুয়ারি ২১, ২০২৫

নিরবতার আড়ালে সরবতা

আজি গাহিতে গিয়েও পারিলাম না গাহিতে, 
কন্ঠে মোর বিষাদের সুর, না পারি সহিতে, 
ধরণীর বুকে নির্দয়া পদচারণ,
অত্যাচারিত আমি নির্যাতিত  দুমুঠো অন্ন চাহিতে।
বিশ্ব বিধাতার করুণা মুগ্ধতা ছড়িয়েছিল হৃদয়ে,
রবির কিরণ অবগাহন করিয়াছি প্রয়োজন হইলেই
বৃষ্টির বারিধারায় সিক্ত করিয়াছিনু তপ্ত তনু খানি,
কেন মোরে এত মারিলি ওরে দুমুঠো ভাত  চাহিতেই।
পূবালী হাওয়ায় কেশ মোর দুলিয়াছি  বহুবার,
কোন কড়ি সে তো চাহেনাই বিনিময়ে কোনবার,
নদীর জলে সাঁতার কাটিয়াছি বার বার শতবার,
জীবন বাঁচাতে আকুতি শুনিলি না কেন একবার।
মন কান্না ভুলিতে নক্ষত্রের সনে কথা কহিয়াছি,
দুঃখ ভুলিতে আকাশের পানে চাহিয়াছি,
নিশিযাপনে জোনাকির আলো লাভিয়াছি,
কেন  জীবনের লাগি মনুষ্য পশুর তরে কাঁদিয়াছি?
বাবা মা হারিয়েছি অনেক আগেই নেই আপন কেহ,
পথশিশু,পথের কুকুর, বেড়াল আপন জন সেইতো,
হানিলে আঘাত করিনা প্রতিবাদ করিবার কেহ নাই,
বাঁচাবে মোরে আদরে আদরে এমন কেহ নেইতো!
তৃষ্ণা মিটাইবার লাগি নদীতে নামি,
বাগানে ঘুরি ক্ষুধার লাগি, খেয়েছিলামও সে ফল,
বলেনি সে বৃক্ষরাজি চোর তো মোরে একটিবারও,
তবে মোরে বানাইলো চোর ওরে নিঠুর মানব দল!
এক মানবি সর্পদংশিনী আসিয়াছিল জীবনে মোর,
বুঝিতে পারিনাই ছলনায় তাঁহার কাঁদিব আবার,
হৃদয়ে মোর দুখেরি দহন জ্বালিয়েছিল সেই জনা,
নয়নে তাই ঝরিলে নোনা পানি এইবার।
এ পৃথিবী অনেকটায় কাঁদিয়েছে;হাসিয়াছে কিছুটা,
অনাহারি পাগল হয়ে ঘুরিয়াছি তোদেরই পিছুটা,
শত নির্যাতন সহিয়াছি দুমুঠো খাবারেরও লাগি,
তবে লাথি গালি ঘুষি কিল সবেরই আমি ভাগী।
নিরব হয়ে নিরবতায় ভীষণ ডুবিয়েছি জীবন মোর,
নিরবতার আড়ালে সরব প্রতিবাদ করিব বার বার,
সভ্য সমাজের অসভ্য জীব তোরাই নিলি এ জীবন,
তব শিক্ষার চেয়ে মূর্খতায় আমি ডুবিব হাজার বার।
হাসিব না আর কাঁদিব না,  চাহিব না কোন কিছুই,
একবুক অভিমান লইয়া আকাশের নিয়েছি পিছু,
বাঁচিয়া থাকুক শিক্ষিত এ ঘুনে ধরা সমাজ খানি,
ভুলিয়া যাইবে সবাই মোরে জানি সবই জানি!