কয়েদি খানার মত ঝুপড়ি একটা ঘর,
জানালাটাও ভেন্টিলেটর এর মতো,
সূর্যের আলো আসতেও কষ্ট পায়।
মাথার উপর জং ধরা সিলিং ফ্যানের
আওয়াজ মনটা বিষিয়ে তোলে।
কেবিন নং-৩৩৩
এখন এটাই আমার ঠিকানা।
সঙ্গী বলতে নোনাধরা দেওয়ালের
পুরনো ঘড়িটা সাথে তীব্র যন্ত্রণা।
কোথাও কোথাও মাকড়সা জাল বুনছে
মধ্য রাতে চলে ইঁদুর বিড়ালের লড়াই।
কাঁচা ঘুমটা যায় উবে,
একটু পর পর সিস্টারের দেখা মিলে
এইতো, কিছুক্ষণ আগে সবাই এসেছিল
কিন্তু কাঁচের এপারে কেউ এলো না ।
আসবে কেন? আমি অসুস্থ কি না!
সেকেন্ডের বেগে চলা হৃৎপিণ্ড টাও
এখন ঘন্টার কাটার বেগ ধরেছে।
সময় বুঝি হয়েই এলো!
ভোরের সূর্যটা আর বুঝি দেখা হবে না!
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ বুঝি আর শোনা হবে না!
বুকে ব্যথা আবারো বেড়েছে।
বললাম না আর কাউকে।
আর কত? পনেরো বসন্ত তো এখানেই কাটলো
এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষা।
ওপারে যে প্রিয়তমা অপেক্ষমান।
যেতে তো হবেই!
হঠাৎ দেখি ঘড়িটা বন্ধ হয়ে গেল,
একি! আমার হৃৎপিণ্ডও তো চলছে না!
তবে কি অপেক্ষার অবসান ঘটল?
সবাই বলছে আমি নাকি নেই। কোথায় নেই?
আছি তো কেবিন নং-৩৩৩ জুড়েই।
- This author does not have any more posts.