গ্রীষ্মের উষ্ণতা আর বর্ষার প্লাবনের পর,
যখন শীত তার আগমনী হাওয়ায়
আমার চিত্তে ছোঁয়া লাগিয়েছিল তখন,
তখন আমি ভুলে গিয়েছিলাম
বর্ষার প্লাবনে প্লাবিত হওয়ার কথা,
ভুলে গিয়েছিলাম গ্রীষ্মের তাপদাহে
আমার গা পুড়ে যাওয়া।
শীতের আগমনে, আমার নয়ন দুটি দেখছিল এক সুন্দর হাস্যোজ্জ্বল আগামী,
হৃদয়ের আয়নায় ভেসে উঠছিল কতই-না সুখের কল্পনা।
ভেবেছিলাম, আমার মত শীতও বুঝি আমার অতীত এর কালমেঘের কথা স্মরণ করবে না আর,
তবে এ কথাও যে অসত্য নয়-
‘স্মরণে আসিলে সরিয়া রাখা যায় না!’
সেই কালমেঘের স্মরণে শীত নিয়ে এলো শৈত্যপ্রবাহ!
শীতের তীব্র প্রকোপ যখন আমার দেহ কাঁপিয়ে জ্বর নিয়ে এলো,
তখনও আমার মন বসন্তের আগমন আকাঙ্ক্ষা করেনি!
এ কেমন শীত তুমি!
কেনো আজ গ্রীষ্ম আর বর্ষার মতো তোমায়ও বিদায় জানাতে পারছি না আমি?
কেনো তোমার প্রস্থানের ভাবনা আমায় এতো ব্যাকুল করে তুলছে?
সময়ে সময়ে বসন্ত আমায় তার আগমনী বার্তা পাঠাচ্ছে,
আমি ফিরিয়ে দিচ্ছি তাঁকেও!
শীতের প্রচণ্ড প্রকোপে যেমন আমার দেহের উষ্ণতা আজ অসহ্য সীমায় পৌঁছেছে
তেমনি এই তীব্র যন্ত্রণায় আমায় স্বস্তি দিচ্ছে শীতেরই কুয়াশার চাদর।
শীতের দেওয়া তীব্র জ্বরে আজ আমার কপাল পুড়লেও
এই পোড়া কপালে আমি শীতকেই চাই!
শীত, তুমি থেকে যাও আমার জীবনে স্থায়ী হয়ে,
তোমার প্রকোপ সইতে পারি, তোমার বিদায় নয়!
- This author does not have any more posts.