fbpx

জানুয়ারি ২১, ২০২৫

শীতে শীতল পরশ

আগমনী গান শুনতে পেলাম পাখিদের কলরবমূখর পরিবেশে,
কার আগমন ঘটলো এ প্রকৃতির লীলা-লাস্যে?
কুয়াশার বুকে চপেটাঘাত করে জাগরণের বীজ সূর্য,
তবুও অলসতা কাটেনি ছিম মাচার শীতল শয্যার।
জীর্ন অবয়বে উন্মুক্ত পুকুরের এক পাশে রোগাটে বটবৃক্ষ,
দেহের উপর বয়সের ছাপ শীতের পরশে পাতাগুলো নিস্তব্ধ।

রবি কিরণ অবগাহনে মুখোমুখি ঘাস ফড়িং আর প্রজাপতি
শীতের সকালে উঠানে দাঁড়িয়ে ছোট্ট মেয়েটি বিষন্নতায় আবদ্ধ।
দুরুদুরু বুকে দুষ্ট বালকদের শীতার্ত রাত্রি যাত্রা,
মনে পড়ে সেই ছেলেবেলা ও শীত রাত্রে
খেজুর রসের প্রতি বাধা হীন ভালোবাসার কথা,
যেসময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই,
তবুও তা স্মৃতি হয়ে সদা বিরাজমান আমাতে হেথা।
শীতলতাপ্রীয় চড়ুই ঝাঁক উড়ে এসে বসে আমার বাড়ির ছাদে,
মিষ্টি সুরে গান শোনাত চায় আদর মাখা প্রাতে।

ভোরের হাওয়া সোনালী রোদের খেলা, কচি ঘাসে শিশির বিন্দু,
সব কিছুই যেন ভালোলাগার বিহ্বলতায় মুগ্ধ।
এ সকল সীমানা হৃদয়েই গ্রথিত থাক হাজার বছর ধরে,
শীতল পরশ তুমি বার বার খেয়ালি করে দাও আমাকে
মায়ের হাতের শীতের পিঠা আর স্নেহ মাখা তাতে।
শীতের আগমনী গান গেয়ে চলো পাখিদল প্রকৃতিতে
আমি বিভোর হয়ে শুনবো সে গান যুগে যুগে বারে বারে।