সম্প্রতি, সুইস গবেষণা সংস্থা আইকিউএয়ারের গবেষণা তথ্যমতে জানা গেছে, ঢাকা শহরে নিঃশ্বাস নেওয়া প্রতিদিন প্রায় ২৩টি সিগারেট খাওয়ার সমান। যার মানে দাঁড়ায়- সিগারেট না খেয়েও ধূমপায়ী ঢাকাবাসীর প্রত্যেকেই! বিষয়টি একইসাথে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার।
শীতকাল আসা মাত্রই শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা তার রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় প্রতিবার। জাদুর শহর ঢাকার ঝুলিতে ওঠে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দূষিত শহরের খেতাব। আমরাও পাল্লা দিয়ে উন্নয়নের নামে গাছের উপর আঘাত হানি, ময়লা কমানোর নামে ময়লার ভাগাড়ে আগুন ধরাই। এভাবেই নিজ হাতে ঘরের ভেতর-বাহিরকে বানাই মৃত্যুপুরী।
চলমান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যেই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে বিজ্ঞপ্তি। তবে সরকারপক্ষ থেকে অবিলম্বে পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন না করলে আর জনসাধারণ প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে সজাগ না হলে মেগাসিটি ঢাকার এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়া দুষ্কর।
ঘরের বাইরে পা রেখে বিশুদ্ধ কুয়াশায় মোড়া শীতের নগরীর হাতছানি চাই, নাকি ধোঁয়াশায় নিমজ্জিত গোটা শহরের চোখরাঙানি, তা নির্ধারণ করার দায়ভার বর্তায় প্রত্যেক নাগরিকের উপর।
না হলে, এক জীবদ্দশায় সিগারেটে ফুঁক না দিয়েও ধূমপানের দোষে দুষ্ট হয়ে কমতে থাকবে আমাদের গড় আয়ু!