fbpx

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

একটি দীপ্তিমান নক্ষত্রনামা

ভার্সিটি লাইফে মায়ের অন্য নাম ছিল মুরশীদা ম্যাডাম । ম্যাডামের ফার্স্ট ইয়ারে সাধারণত ক্লাস থাকে না, কিন্তু কিন্তু…! খোদা আমাদের উপর সম্ভবত প্রসন্ন হয়েছিলেন, আর ভাগ্যে মুরশীদা ম্যাডামের স্নেহ লিখেছিলেন। তাই তো , নানান ঘটনার চিত্র তিনি চিত্রায়ণ করে ম্যাডামের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ দিলেন আমাদের।

“ম্যাডাম  তো ছিল ফুলের সেই সুবাস, যে কিনা তোমার নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে মিশে থাকে। তুমি ফুলকে অগ্রাহ্য করতে পারো, শ্বাসকে করবে কি করে!”

১০১ কোর্স যা কিনা আমাদের সবচেয়ে বেসিক, যার ভিত্তি দিয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ গড়া হবে, সেই কোর্স নানান কারণে খেই হারিয়ে ফেলছিল(টিচার বদল,রুটিন…)। মুরশীদা ম্যাডাম  সেই তাঁত আবার বুনতে শুরু করলেন, তাঁর হাত ধরেই লিখা হচ্ছিলো আমাদের নকশীকাঁথার গল্প।

জানি না, খোদা আমার আওয়াজ ম্যাডামের কাছে ডাকবাহকের মত দিবেন কি না? ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, “ছেড়েই যখন যাবেন, স্বল্প সময়ে মায়ার বাঁধনে বাঁধলেন কেন?”

” আগুন তো সূর্য তে জ্বলছে, তবুও মাটিকেই পুড়তে হয়!  মহব্বত তো হৃদয়ে হৃদয়ে হয়েছিল, তবুও দিনশেষে দহন হতে হয় “।

শুনেছি, “পৃথিবীতে ভালো মানুষ বেশিদিন থাকে না।” মুরশীদা ম্যাডামের ক্ষেত্রে এই ক্ষণিকের মূহুর্ত, আরো ক্ষুদ্র ছিল।

একটাই দোয়া, “ম্যাডাম যেখানে থাকুক, আদরে সোহাগে রঙিন হয়ে থাকুক।”

“ম্যাডামকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করায়, নালিশ তো ঐ খোদার কাছে করেছিলাম।হয়তো ঐ খোদাও ম্যাডামের আশিক, তাই সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।”

0611 আকাশ আহমেদ Writer profile
শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়