fbpx

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

সম্পাদকীয় – জানুয়ারি ২০২৫

আরও একটি অমূল্য প্রাণ অকালে ঝরে গেল!

অধ্যাপক মুরশীদা খানম ছিলেন পরিসংখ্যান পরিবারের একটি প্রিয় মুখ। শিক্ষকতার কাজে নিবেদিত-প্রাণ ছিলেন তিনি। অনেক ছাত্র/ছাত্রী দূর থেকে তাঁকে কঠোর স্বভাবের মনে করলেও রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের সময় বিভাগের সবাই তাঁর কোমল মনের পরিচয় পেয়েছে। আন্দোলনের সময় পরিসংখ্যান বিভাগের প্রত্যেক আহত ছাত্র/ছাত্রীকে কয়েকবার করে কল দিয়ে তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন, যা ছাত্র-ছাত্রীরা আজও স্মরণ করে।

বিভাগের যে কোনও কাজে অধ্যাপক মুরশীদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। যে কাজ অন্য কোনও শিক্ষক করতে রাজি হতেন না– ব্যস্ততার কারণে, বা ঝামেলার কাজ বলে, বা মজ্জাগত ফাঁকিবাজি স্বভাবের কারণে– সেই কাজ করতে সব সময়ই হাসিমুখে এগিয়ে আসতেন তিনি। এক কথায় বলা যায়, অধ্যাপক মুরশীদা খানম ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ‘গার্ল ফ্রাইডে’। (‘রবিনসন ক্রুশো’ উপন্যাসের মূল চরিত্র রবিনসন ক্রুশো তার বিশ্বস্ত সহযোগীর নাম দিয়েছিলো ‘ফ্রাইডে’। রবিনসন ক্রুশো প্রায়ই তাকে বলতো ‘মাই ম্যান ফ্রাইডে’। তখন থেকে ইংরেজি ভাষায় ‘ম্যান ফ্রাইডে’ কথাটি বিশ্বস্ত সহযোগী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে বিশ্বস্ত নারী সহযোগী বোঝাতে ‘গার্ল ফ্রাইডে’ কথাটির ব্যবহার শুরু হয়।)

পরিসংখ্যান পরিবারে অধ্যাপক মুরশীদার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

IMG 6678

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশনঃ ১৯৮৩ - ৮৪