মার্চ ১৯, ২০২৫

উপসম্পাদকীয় – ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের পরে দেশ এক ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গুণগত পরিবর্তন কতটা হয়েছে তা নিয়ে মতবিরোধ নিশ্চয়ই আছে। অনেকে হয়তো আরেকটু বেশি আশা করেছিলেন। কিন্তু যেভাবে দাবি—দাওয়া আদায়ের আন্দোলন চলছে তাতে গুণগত পরিবর্তন করার জন্য যে মনোযোগ দেয়া দরকার তা দায়িত্বপ্রাপ্তরা দিতে পারছে বলে মনে করি না। আন্দোলনের সংখ্যা ও বিষয় দেখে মনে হচ্ছে দেশে এখন আন্দোলনের উৎসব চলছে। এখনই যেন সব দাবি—দাওয়া আদায় করে নিতে হবে। সবার মধ্যে এক ধরনের তাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে দাবি—দাওয়া আদায়ে একটু দেরি করলে লস হয়ে যাবে!

যাইহোক, এই বাস্তবতায় দেশে প্রতি বছরের মত আবার বইমেলা শুরু হয়েছে। বইমেলা প্রকৃত আর্থেই আমাদের জন্য এক উৎসব। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মেতে উঠে এ উৎসবে। ছুটির দিনে এ উৎসব আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। সারাদিন স্টল ঘুরে ঘুরে চলে নতুন বইয়ের খোজ।

বই মেলাকে কেন্দ্র করে অনেকে লেখক—প্রকাশক বই লেখা বা ছাপিয়ে থাকেন। অনেক সময় তাড়াহুড়োর কারণে মানহীন বই মেলায় চলে আসে। স্পষ্ট ছাপার, টেকসই বাধাইয়ের গুণগতমান সম্পন্ন বইয়ে সমৃদ্ধ হবে এবারের বইমেলা এই আশা করতেই পারি।

গতবারের অভিজ্ঞতায় দেখেছি অধিকাংশ তরুণ—তরুণী বই কেনার চেয়ে বইয়ের সাথে ছবি তোলা এবং সামাজিক মাধ্যমে চেক ইন দেয়া নিয়ে ব্যাস্ত। ছবি তোলা বা ভিডিও বানানো দোষের কিছু নয়, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বইমেলার উদ্দেশ্যকে ব্যহত না করে এবং অন্যান্য দর্শনার্থীদের বিরক্তির কারণ না হয়।

আরেকটা ব্যাপার, অনেক শিশু—কিশোর এবং বয়সে প্রবীণরা আসেন বইমেলায়। বইমেলায় ঘোরাঘুরির আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে যায় প্রচন্ড ধুলোবালির কারনে। বইমেলাকে ধুলাবালিমুক্ত বা নিয়ন্ত্রিত রাখা খুব কঠিন বা খরুচে কাজ বলে মনে করি না। এ ব্যপারে আয়োজক কতৃর্পক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Azad Bhai

সদস‍্য, সম্পাদনা পর্ষদ, প‍্যাপাইরাস

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশন:১৯৯৯-২০০০