মে ১৩, ২০২৫

অপরাধের শূন্যতা

মিতুল, রাক্ষস দেখেছো কভু?
পিছু ফিরে দেখি, ঠোঁটে রক্তহাসি উপচে পড়ে তার।
“তুমি কি কখনো ধর্ষক দেখেছো? আমি দেখেছি, শুনেছি—
আঁধারের গর্ভে লুটিয়ে পড়া কত কুমারির আর্তনাদ,
ছিন্নভিন্ন শরীর, ছিন্নভিন্ন পোশাক, ছিন্নভিন্ন আত্মা।
পাপের মহাযজ্ঞ শেষে পড়ে থাকা একখণ্ড অস্থি—
ধর্ষকের চেয়ে বড় রাক্ষস আর কেবা আছে বলো!”

“চুপ! চুপ! বলিস না কাউকে,”—পাশে কেউ যেন বলে উঠে।
অতঃপর শহর, নগর, পৃথিবী বোবা হয়ে গেলো।
সত্য, ন্যায়, সভ্যতা মুছে গেলো দানবের হাতে।
নক্ষত্ররা থমকে গেলো।
নরক কি দূরে?—না, এখানেই;
যেখানে মানবতা রক্তস্নাত হয়ে যায়।
নিস্তেজ, নিথর, চোখ জমে বরফ শীতল ভয়ে—
সংকীর্ণতার শৃঙ্খলে জড়িয়ে পড়ে স্পন্দনহীন প্রাণ।

ভোর হলে সভ্যতা জাগে, কিন্তু জাগে না কারো বিবেক।
প্রশ্নবিদ্ধ সমাজ ছুটে চলে অপরাধীর শিকারের গায়,
অপরাধীর হাতে নয় কেন? এ নরক কি শেষ হবে না?
প্রশ্ন করে, “বাইরে কেন সে? পোশাক এমন কেন?”
অথচ ঘাতকেরা জানে, পাপ রচিত হয় পশুর অন্তরে।
বলো, তবে বাদ যায়নি কেন আট থেকে আশি?
প্রশ্ন করো, কেন সভ্যতার শিরদাঁড়া এত নত, এত করুণ?

অশ্রু শুকিয়ে যায়, অপরাধীরা হেসে ওঠে।
তবে মনে রেখো, এই অশ্রুও একদিন ভেবে দেখা হবে।
সবার এই নিরবতাও একদিন কেঁদে উঠবে,
আর প্রতিটি অপরাধের জন্য বিশ্ব শোকে ডুবে যাবে।

0411 নাফিসা সামিহা মায়িশা new writer
শিক্ষার্থী | মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়