ফুটবল। এই নামের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে অগণিত মানুষের অশেষ উন্মাদনা। এ খেলাকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির রক্তের সাথে মিশে আছে অকৃত্রিম আবেগ-অনুভূতি। এই অনুভূতিকে বুকে ধারণ করেছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি শুধু আমাদেরই নন, পুরো বিশ্বের গর্ব। তিনি আর কেউ নন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিবার ছিল একটি অনন্য এবং নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। কেননা একই পরিবার থেকে এতজন ক্রীড়াপ্রেমীর আবির্ভাব সচরাচর দৃষ্টিগোচর হয় না বললেই চলে। পিতা শেখ লুৎফর রহমানের হাত ধরেই মুজিবের ফুটবলের হাতে খড়ি। শেখ লুৎফর রহমানের খেলাধুলার প্রতি ছিল ভীষণ ঝোঁক। তিনি গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, প্রায়শই পিতার দলের বিপক্ষে তাঁদের খেলা হতো।
ফুটবল ছিল শেখ মুজিবের প্রিয় খেলা। কাঁধে নিয়েছিলেন স্কুল টিমের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব। এলাকায় নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন ফুটবল টিম। পরবর্তীতে তিনি যোগদান করেন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে এবং তার নেতৃত্বেই ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাবিনেটে উঠে গোল্ডকাপ শিরোপা।
এক সময় তিনি ফুটবলের দায়িত্ব ছেড়ে নিজেকে সঁপে দেন দেশের হাল ধরতে। তাঁর নেতৃত্বেই তৎকালীন আন্দোলনগুলো নতুন মোড় নেয়। তিনি ছিলেন এক উজ্জীবনী শক্তির অপর নাম। দেশের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সরে আসেন ফুটবল জগত থেকে। অতঃপর উনার হাত ধরেই স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্ম হয়। কারাবাস শেষে শেখ মুজিব দেশে ফিরে এলে একের পর এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তিনি। বাংলাদেশ নামক সদ্য জন্ম নেয়া নতুন ভূখণ্ডকে নিজ হাতে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ। এর মাঝেও তিনি ভুলে যাননি তাঁর ভালোবাসার খেলাটিকে। হয়ত তখনও তিনি অন্য একটি স্বপ্ন দেখে যাচ্ছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন, বিশ্বের সামনে বাংলাদেশও হয়তো কখনো ফুটবল এর মধ্য দিয়ে উজ্জ্বল করবে এই প্রাণের মাটিকে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি গঠন করেন ক্রীড়া সংস্থা। তাঁর হাত ধরেই স্বাধীন বাংলায় প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সূচনা হয় বিকেএসপির।
ফুটবল বরাবরই একটি ভালোবাসায় জায়গা। আর সেখানে যদি জড়িত থাকেন আমাদের প্রাণের মানুষ তাহলে তা রূপ নেয় এক অস্তিত্বে। ফুটবল বেঁচে থাকুক আমাদের মনে ঠিক তেমন ভাবে, যেমন ভাবে বঙ্গবন্ধু রয়েছেন আমাদের সর্বস্ব জুড়ে। বেঁচে থাকুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর চেতনা।
- রাফিইউ হোসেন অর্নবhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%87%e0%a6%89-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%ac/শনিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২০
- রাফিইউ হোসেন অর্নবhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%87%e0%a6%89-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%ac/বৃহস্পতিবার, জুন ১১, ২০২০
- রাফিইউ হোসেন অর্নবhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%87%e0%a6%89-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%ac/বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১