পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল আর মনি দুই জানের দোস্ত। দুইজনই বেড়াতে পছন্দ করে খুব, দু’জনেরই পছন্দ পাহাড় পর্বত। দু’জনের স্বপ্ন ছিলো একবার নেপাল যাবে এভারেস্ট দেখতে। শেষ পর্যন্ত দু’জনের স্বপ্নই সত্যি হলো একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করে প্রথম হওয়ার মাধ্যমে। এ নেপাল ভ্রমণেই রাসেল ও মনিকে নিয়ে যাওয়া হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম বাঞ্জী জাম্পিং সাইটে। রাসেল আর মনি কাঠমুন্ডু থেকে প্রায় তিন ঘন্টার বাস ভ্রমণ করে নেপালের পূর্বাংশে তিব্বতের সীমান্তের প্রায় ১২ কিলোমিটার আগে অবস্থিত সাইটটিতে পৌঁছালো। বাঞ্জী জাম্পিং সাইটটি নেপালের খরস্রোতা নদী ভোত কোশির প্রায় ১৬০ মিটার (প্রায় ৫০০ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। বাঞ্জী জাম্পটির কারিগরি দিকটি নিউজিল্যান্ড-এর কনসালটেন্ট দ্বারা প্রস্তুতকৃত। এখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি বাঞ্জী জাম্পিং- এ অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করে থাকে। নেপালের দ্য লাস্ট রিসোর্ট এমনই এক প্রতিষ্ঠান। রাসেল আর মনি দু’জনই খুব উত্তেজনা নিয়ে বাঞ্জী জাম্পিং সেন্টারে গেলো বিভিন্ন তথ্য জানতে। তথ্য কেন্দ্রে আলাপ করে জানা গেলো যে, জাম্পিং এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়, ফলে দুর্ঘটনার হার খুবই কম। রাসেল জানতে চাইকো দুর্ঘটনার হারের কোনো হিসাব রয়েছে কি না। তথ্য কেন্দ্রের মেয়েটি জানালো যে, দশ লক্ষ ব্যক্তির মধ্যে মাত্র দুইজন এ ধরনের জাম্পিং-এ মৃত্যুবরণ করেন। এ তথ্য পেয়ে রাসেল আর মনি দু’জনই তাদের পরিসংখ্যান বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে হিসাব কষতে বসলো যে, এই জাম্পিং কি আদৌ নিরাপদ। এক্ষেতেএ প্রাপ্ত তথ্যকে কোন ধরনের স্ট্যাটিসটিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশন এ হিসাব করা যায়?
পাঠকদের কাছে প্রশ্ন – পরিসংখ্যানের হিসাবে এটি কোন ডিস্ট্রিবিউশনের আওতায় পড়ে এবং সে হিসেবে এটি কি নিরাপদ?