জুলাই 12, 2025

একটি যুদ্ধ

একটি পাখির জীবন বাঁচাবো বলে প্রাণ দিয়েছিলাম

একজন তরুণী নিরাপদ রবে বলে মান দিয়েছিলাম।

একটি নতুন সকাল আনবো বলে ঘন কালো রাত পাড়ি দিয়েছিলাম

ভরা জোছনা দেখবো বলে অমাবস্যাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম

একটি নতুন ব্রীজ বানাবো বলে বড় রাস্তার ব্রীজটা ভেঙ্গেছিলাম।

টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফোটাবো বলে গ্রেনেডের পিন খুলতে শিখেছিলাম,

বকুলের গন্ধে ঘুম ভাঙবে বলে বারুদের গন্ধ ছড়িয়েছিলাম

মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাবো বলে সেদিন মায়ের অবাধ্য হয়ে ঘর ছেড়েছিলাম

বাবার হাত ধরে স্কুলে যাবো বলে এক নিশ্চুপ রাতে অশ্রুহীন চোখে বাবাকে বিদায় দিয়েছিলাম

সংঘাতহীন এক মাতৃভূমি উপহার দিব বলে একটি যুদ্ধে জিতেছিলাম।

অথচ আজ সেই মাতৃভূমি প্রতিনিয়তই সংঘাতমুখর,

এখানে এখন প্রতিদিনই মায়েরা অশ্রুসিক্ত নয়নে সন্তান বিদায় দেয়

পিতারা প্রতিদিনই সন্তানের কফিন বয়ে বেড়ায়

সংবাদপত্রের পাতাজুড়ে খুন,ধর্ষণ আর আরো কত ভয়ঙ্কর খবর।

এখন আর একটা বিজয়ের খবর শোনার অপেক্ষাও আমরা করি না।

আমরা এখন প্রতিদিনই যুদ্ধ দেখি

যুদ্ধের মধ্যেই বেঁচে থাকি,

কোন জয় পরাজয় নিয়ে আমরা আর ভাবি না।

শুধু মৃত্যুর ভয় আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।

এখন কেবলই চারিদিকে ভাঙনের গান,

আমারা এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙ ও ভুলে গেছি,

ভুলে গেছি বকুলের গন্ধ কেমন হয়।

ভরা জোছনাও আমাদের কাছে এখন ঘোর তমসাচ্ছন্ন।

তবে কি আমরা অমাবস্যার জন্যই যুদ্ধে গিয়েছিলাম?

নাজিয়া তাসনিম
শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশনঃ ২০১৭-১৮

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp

আরও লেখা সমূহ