মে ১৩, ২০২৫

আর্যপত্র

জানালার ওপারে রূপালি চাঁদ; মগজে স্মৃতিচারণ ভারী

কুয়াশার মখমলে চাদর হটিয়ে; এগোচ্ছে দূরপাল্লার গাড়ি।

নেত্রজোড়ায় জোয়ার ওঠেছে কিংবা ভাটার টান

সাদা জবাখান মায়া ছাড়েনা; মেখেছে কাহার ঘ্রাণ?

অলিন্দপানে সওদাপাতি, চারচক্ষুর রেশ

কখন সে এলো, কখন গেলো; কখন তাকালো বেশ।

আর্য ছেলে দুর্বার অতি; পেয়েছে ম্যাগপাইয়ের পাখা

দারুচিনি দ্বীপের কিনারে আজ নীরব স্বপ্নমাখা।

স্পিডব্রেকারে ধাক্কা কষতেই ভাঙে কিশোরীর ভ্রম

অ্যালজেবরার কাটাকুটিতে আর্য ছেলের টিশার্টেরই রঙ।

কংক্রিটের সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে এসে চারতলার জংশন

মর্মদেশে আহাজারি; যেনো প্রণয়িনীর অনশন।

ওমনি করে আর্য ছেলে এলো ঘাসফুল সেজে

ঘড়িতে সকাল আটটা তখন; ওঠলো ঘন্টা বেজে।

এইতো সেদিন এসেছিলো কেউ গুটিগুটি এলোচুলে

 আলয় তখন ছেয়ে বসেছিলো হলুদ সোনালু ফুলে।

শহরে ছিলো অক্টোবর রেইন; যেনো কার্তিকের শেষ

চায়ের কাপের চুমুকে তার রয়ে যায় খুব রেশ।

আকাশে তবে মন্থর মেঘ; আছে অযাচিত বীণা

কুহকের সুরে বেঁধেছে কেউ; তারঁ প্রিয় শামিয়ানা৷

আর্য ছেলে বজ্রপাত; বিকেলের রঙধনু

কখনো সে নিশির ঘুঙুর কখনওবা মাস্তুল।

শেষ বিকেলের গোধূলি এলো সঙ্গে পিছুটান

কিশোরী তাকায় আনমনে; ফেরারি ছেলের ঘ্রাণ।

এই ছায়াপথ, বহু ভ্রান্তি তবু শিহরণ

লিখে দেই তবে এই গল্পের শেষ অক্ষর?

তুমি আর্য ছেলে; নীল রক্তের সন্তান;

আমি অনার্য জাতি; গায়ে ফসলের ঘ্রাণ।

0512 Faria writers photo
শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়