জুন ২০, ২০২৫

সম্পাদকীয় – সেপ্টেম্বর ২০২৩

পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র আনোয়ার হোসেন নাঈম (যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) সম্প্রতি রমনা থানার এডিসি হারুন ও তার অনুগত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রচণ্ড আঘাত করায় নাঈমের মুখের উপরের সারির কয়েকটি দাঁত পড়ে গেছে। এমন পৈশাচিক নির্যাতন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।

জানা যায়, নাঈমের এক বড় ভাই আজিজুল (যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও রাষ্ট্রপতির এপিএস) এর অনুরোধে নাঈম কয়েকজন ছাত্রসহ বারডেমে যায়। আজিজুলের স্ত্রী সেখানে এডিসি হারুনের সাথে অবস্থান করছিলো। এপিএস আজিজুলের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এই ব্যক্তিগত ঘটনার জেরে পরবর্তীতে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে নাঈমের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

দু’একজন ব্যক্তি এডিসি হারুনের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বলেছেন, নাঈম ও তার সঙ্গীরা বারডেমে হারুনকে মেরেছে। এটা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। হারুনের মুখে বা শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। যদি আলোচনার স্বার্থে ধরে নেয়া হয়, নাঈমের সাথে হারুনের হাতাহাতি হয়েছে, তাহলেও কোনও লিখিত অভিযোগ বা গ্রেফতার না করে নাঈমকে থানায় মধ্যযুগীয় নির্যাতন করা কোনও পুলিশি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না। এটা স্রেফ গুন্ডামি। এক হিসেবে রাস্তার গুন্ডার চেয়েও এডিসি হারুন বেশি ঘৃণ্য। রাস্তার গুন্ডাকে সরকার বেতন দেয় না, কিন্তু এডিসি হারুন সরকারের (জনগণের) বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করছে। তাছাড়া, রাস্তার গুন্ডা কাউকে নির্যাতন করলে পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে থাকে (পুলিশ নিজে মামলা করে বা ভুক্তভোগীকে দিয়ে মামলা করিয়ে নেয়)। কিন্তু, প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রতীয়মান হবার পরেও এডিসি হারুনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

বিনয়ী ও ভালো মনের অধিকারী নাঈম পরিসংখ্যান পরিবারে একটি প্রিয় মুখ। তার উপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

IMG 6678

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশনঃ ১৯৮৩ - ৮৪

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp

আরও লেখা সমূহ