fbpx

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ইনোভেশন মেলা/শোকেসিং-এ পরিসংখ্যান বিভাগের অংশগ্রহণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের উদ্যোগে প্রথমবারের মত গত ০৪/০৩/২০২৪ তারিখে সিনেট ভবনে ইনোভেশন মেলা/শোকেসিং অনুষ্ঠিত হয়। ইনোভেশন মেলাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Science Faculty-র মধ্যে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে মোট ০৮টি ইনোভেশন জমা পড়ে। পুরো ইনোভেশন মেলাতে Product Based এবং Service Based ইনোভেশন জমা পড়ে ১০০-র বেশী। ইনোভেশন এর ধারনাটিকে কিছুটা ব্যাখ্যা করা যায়। বিশেষতঃ পাবলিক সেক্টরে উদ্ভাবন/(Innovation) বা নতুন প্রবর্তন বলতে সেবার মানোন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করাকে বুঝায়। সেবা গ্রহীতাদের বিড়ম্বনা ও ব্যয় হ্রাস এবং তুলণামূলকভাবে কম সময়ে একটি সেবা নিশ্চিত করাকে উদ্ভাবন/(Innovation) বা নতুন প্রবর্তন বলা যেতে পারে। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কোন সমস্যার গতানুগতিক বা রুটিন সমাধানের পরিবর্তে বিকল্প বা নতুন সমাধান বের করা, যা সেবাগ্রহীতাদের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য। পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে যে ৮টি ইনোভেশন জমা পড়ে সেগুলোর হলো:

(১) “Innovation Use of unique student identification number for Under-graduate and post-graduate program at DU”, অধ্যাপক ড. মোঃ বেলাল হোসেন

(২) “Digitalizing Students Attendance System and Exam Mark Processing for Efficient Academic Management”, ড. এনামুল হক সজীব ও জনাব বিকাশ পাল

(৩) “শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন পরীক্ষার পারিশ্রমিকের বিল পেশ ও প্রাপ্তি সহজিকরণ”, ড. মোঃ মতিয়ার রহমান ও জনাব বিকাশ পাল

(৪) “ভার্সিটির বাস সংক্রান্ত সমস্যা নির্মূলকরণ”, জনাব মোঃ মুদ্দাসির হোসেন আকিব, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী: তন্ময় দাস ও আব্দুর রব

(৫) “জরুরি প্রয়োজনে রক্তদাতাদের তথ্য প্রাপ্তিতে সমস্যা সমাধানের উদ্ভাবনী আইডিয়া”, জনাব মোঃ মুদ্দাসির হোসেন আকিব, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী: তন্ময় দাস ও আব্দুর রব

(৬) “কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের আসন বুকিং সমস্যা নিরসনে লাইব্রেরি সিট বুকিং অ্যাপ্রোচ চালুকরণ”, আফসানা মিমি, শিক্ষার্থী: অনসূয়া কর্মকার ও আদনান করিম চৌধুরী

(৭) “স্টুডেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ক্যাশলেস ব্যাংকিং সিস্টেম”, নৌশিন তাবাচ্ছুম সোহানা, শিক্ষার্থী: আব্দুল্লাহ বাদশাহ এবং

(৮) “মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও প্রতিকার”, নৌশিন তাবাচ্ছুম সোহানা, শিক্ষার্থী: আশিক আজিম, ইকরা মুন নেছা ও মোঃ জুবায়ের হোসাইন

1003 2 c

ইনোভেশন এর মাধ্যমে যেটা ঘটে তা হচ্ছে: পদ্ধতিগত জটিলতা কমবে, সেবার মানোন্নয়ন ঘটবে, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সম্পৃকতা বাড়বে ও সেবা গ্রহীতাদের জন্য তা অধিক ফলপ্রসু হবে।

বিভাগ থেকে ইনোভেশন মেলার জন্য বিভাগীয় একাডেমীক কমিটির মাধ্যমে আমাকে Convenor হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এই মেলাতে অংশগ্রহণের জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাফর আহমেদ খান অনেক পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর কর্মকর্তাদের সাথে অনেক যোগাযোগ করতে হয়েছে। ইনোভেশন মেলার বিষয়টা আমাদের জন্য নতুন ছিল। যদিও বিভাগ কোনও পুরস্কার পায় নাই। কিন্তু বিজ্ঞান অনুষদ থেকে জমা পড়া মোট ১০টি Innovation এর মধ্যে ৮টি Innovation পরিসংখ্যান বিভাগের হওয়াতে আমাদের কর্মতৎপরতা উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। ইনোভেশন মেলাতে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক এবং ছাত্র/ছাত্রীরা যে উদ্যোগ নিয়েছে এবং কাজ করেছে তাতে তাদের প্রত্যেকের দক্ষতা বেড়েছে নি:সন্দেহে। Convenor হিসেবে কাজ করতে যেয়ে আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।

1003 3 c

পরিশেষে যেটা বলতে চাই, ইনোভেশনের প্রত্যাশিত ফলাফল যেন বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করতে পারে, এই দেশ যেন এগিয়ে যায়, সেবার মান উৎকর্ষের শীর্ষে আরোহন করে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

অধ্যাপক | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সেশন : ১৯৯২ - ৯৩

মুরশীদা খানম

প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশন : ১৯৯২ - ৯৩