জুন ২০, ২০২৫

বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগ

গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হলো দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষ। ২১ আগস্ট শুরু হওয়া আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ মোট ১১ জেলা। ৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি, নিহতের সংখ্যা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৭১।

দেশের এমন দুর্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, এলামনাই, সাবেক এবং বর্তমান সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, দাঁড়িয়েছেন বন্যাকবলিত মানুষের পাশে। বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ থেকে শুরু করে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া ও উদ্ধারকাজ পরিচালনা পর্যন্ত নানা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল জাতীয় সংকটময় এমন মুহূর্তে।

শুরুতেই পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে তৈরি করা হয় বন্যার্তদের সহায়তায় ত্রাণ তহবিল। বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক, এলামনাই, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সকলের নিরলস পরিশ্রম, প্রচার ও প্রচেষ্টায় ত্রাণ তহবিলে মোট জমা হয় ৫ লাখ টাকা।

২৩ আগস্ট পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে ৭ জনের একটি রেস্কিউ টিম কুমিল্লার বুড়িচং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনায় ৬ জনের আরও একটি টিম কুমিল্লার বুড়িচং এ উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। ২টি বোটে টানা ৫ দিনের উদ্ধার অভিযানে বুড়িচং উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের বানশিমুল, যদপুর, বাতেন বাড়ি ইত্যাদি গ্রামের ৪০ এর অধিক পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। ইছাপুর উত্তর পাড়া মসজিদকে হাব ধরে এ উদ্ধার অভিযান চলে। এছাড়াও এই এলাকার শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ প্রদান করা হয়।

২৯ আগস্ট পরিসংখ্যান বিভাগের আরও একটি টিম প্রায় ৩৬০ বস্তা ত্রাণ নিয়ে লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বন্যার্তদের কাছে পোঁছে দেওয়া হয় চাল, ডাল, আলু, মোমবাতি, দেশলাইসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্যানিটারি ন্যাপকিন।

আগস্ট ২০২৪ বন্যার মতো ভয়াবহ বিপর্যয়ে মানুষের পাশে থাকার মহৎ ব্রত নিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের সকলে অবিরাম পরিশ্রম করে গেছে। জনকল্যাণমূলক এমন উদ্যোগ হবে ভবিষ্যতে আমাদের অনুপ্রেরণার জায়গা।

প্রতিবেদক: ঋষিমা আনজুম ঋষা

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp