fbpx

নীলমণি লতা

নীলমণি একটি চিরসবুজ  লতানো গুল্ম শ্রেণীর উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম: Petrea volubilis । এই আরোহী লতাটি Verbenaceae পরিবারের Petrea গণের  অন্তর্ভুক্ত।

ইংরেজিতে  নীলমণি লতা কে purple wreath, queen’s wreath বলা হয়। এর পাতা  শিরিষ কাগজের মতো   খসখসে বলে  এর আরেক নাম  sandpaper vine। নীলমণি  একটি  সপুষ্পক উদ্ভিদ। নীলমণি উষ্ণমন্ডলীয় আমেরিকার লতা।

53623364 2253203341563085 7853775084341690368 n

নীলমণি লতা উচ্চতায় প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। কাণ্ড লতানো হলেও শক্ত এবং কাষ্ঠল। ফুলের পাপড়ি গুলি দুই স্তরে সাজানো। নিচের স্তর হালকা বেগুনি রঙের এবং অপেক্ষাকৃত চওড়া। উপরের স্তরের রং ঘন বেগুনি।ফুলের বৃতি ৬ মিমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে । প্রতি স্তরে ফুলের পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি। প্রতি ডালের শীর্ষে অনেক গুলো করে ফুল ফোটে।  বসন্ত কাল ফুল ফোটার সময়। ফুল ফুটলে মনে হয় পুরো গাছে কেউ বেগুনি রঙের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে।

নীলমণি লতার বাংলা নামকরণ করেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নীলমণি লতায় বেগুনি রঙের ফুল হলেও এর নাম নীলমণি হবার কারণ নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। গল্পটির সত্য মিথ্যা আমার জানা নেই। শুনেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি লাল রং দেখতে পেতেন না। তাই বেগুনি রং কে তিনি দেখতেন নীল।  সেই কারণেই তিনি এর নাম দিয়েছেন নীলমণি লতা। 

53723659 2253203311563088 6699496662127083520 n

নীলমণি লতায় বীজ হতে দেখিনি। এর বংশ বিস্তার হয় শাখা কলম, গুটি কলমের মাধ্যমে।  

নীলমণির আদি নিবাসে স্থানীয় ভেষজ চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে বলে জানা যায়। ভেষজ চিকিৎসকেরা ডায়রিয়ার চিকিৎসায় এর ফুল এর নির্যাস ব্যবহার করেন । ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায় নীলমণির পাতার ব্যবহার  রয়েছে, ক্ষত বা পোড়ার চিকিৎসায় এর ডালের চূর্ণের ব্যবহার রয়েছে বলে জানা যায় । 

নীলমণি বহুবর্ষজীবী গাছ। বসন্তে যে কোনো পার্ক বা বাগানের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে একটি ফুলে ভরা নীলমণি লতা। বাংলাদেশের সৌখিন বাগানে আলংকারিক লতা হিসাবে এর আদর অনেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের বাগানে নীলমণি লতার  বেশ কয়েকটি সুন্দর ঝাড় আছে।  

54239229 2253203298229756 4217033362067423232 n

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশন: ১৯৯২ - ১৯৯৩

জাহিদা গুলশান

প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশন: ১৯৯২ - ১৯৯৩