জুন ১৮, ২০২৫

নৈরাত্রি (পর্ব-২)

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

নিতিস সেন অনবরত ঘামছে। এখন তার ভেতরে এক ভয়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। ঘরের ভেতরে থাকা বাতির হলুদ আভা হুট করে কমছে আর বাড়ছে। যেন বন্ধ হতে হতেও হচ্ছে না। গুমোট হাওয়াটা ঘরের ভেতর যেন বন্দি হয়ে গেছে। একটু শীতল পরশও গায়ে এসে লাগছে না। কীভাবে এই ঘরে প্রণব লোকটা এভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে হেসে খেলে বেড়াচ্ছে নিতিস সেন বুঝতে পারছে না। কী আছে সিঁড়ির উপরে? যদি বের হবার রাস্তা হত তাহলে মাংসের বাটি আনার সময়ে হালকা করে হলেও শীতল বাতাস ঢুকত। কিন্তু এ যে একেবারেই বদ্ধ।    

প্রণব ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় নিতিস সেনের কাছে। সে কিছুটা মাথা ঝুঁকিয়ে এনে নিতিস সেনকে বলে,”কী  নিতিস বাবু? তোমাকে এক পিস জামা বানিয়ে দেই? “

নিতিস সেন কী বলবে বুঝে উঠতে পারে না। সে আমতা আমতা করতে থাকে। তার ভেতরে আবার ক্লান্তি দেখা দিতে থাকে। কতক্ষণ চোখ খোলা রাখতে পারে কে জানে! সে বুঝতে পারছে জীবন নিয়ে বের হওয়া সম্ভব নয়। এখনো তার পা বাঁধা। সে কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রণব এসে তার হাত শক্ত করে ধরে চেয়ারের সাথে আবার দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়।

“আরে এ কী? আপনার কী দরকার বলবেন? আমার সাথে করছেন টা কী?”,  নিতিসের কণ্ঠ শুকিয়ে কাঠ, সেই কণ্ঠ দিয়েই কোন এক ভাবে কথাটা বের করে সে।

“সে কী বাবু? এতক্ষণ না তুই করে বলছিলে? এখন আপনি তে কেন?”, প্রণব খিক খিক করে হেসে উঠে।

“দয়া করুন আমার উপর প্লিজ। প্লিজ আমাকে যেতে দিন।”

“তুমি নিজেই কি নিজের উপর দয়া করেছ এতদিন? কতবার তো নিজেকে নিজেই মারতে চেষ্টা করেছ? করো নি বলো?”, বেশ কড়া করে নিতিস সেনের চোখের দিকে তাকায় প্রণব। 

এই পর্যায়ে নিতিস চুপ করে যায়।

নিতিস দেখতে পায় প্রণব হুইস্কিতে চুমুক দিতে দিতে পকেট থেকে এক ফিতে বের করে। তারপর তার হাতের আর বুকের মাপ নিতে থাকে। নিতিস কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছে না কোন কিছুর। মাথার উপরের বাতিটা থাকায় তার অসহ্য রকম মাথা ব্যথা শুরু করেছে গরমে। বাতিটা থেকে ছুটে আসা হলুদ আভাগুলি যেন আগুনের ফুলকি। তার সমস্ত দেহ যেন গিলে গিলে খাচ্ছে সেই আগুন।

“সাদা রংটা কেমন লাগে তোমার, নিতিস? “

“ভা ভা ভালো… “, নিতিস সেন আমতা আমতা করে বলে।

“সাদা রংটাই আমার তোমার গন্তব্য জানো? সাদা রঙেই এক সময় আমরা সবাই রাঙাবো নিজেদের।”

“মা… মানে?”

“এই যে তুমি মৃত্যুর জন্য এত চেষ্টা করে যাচ্ছিলে, নশ্বর জগত ছেড়ে দূরের সে পথে যাত্রা করবার কত চেষ্টা। যেদিন সত্যিই যাত্রায় সফল হবে তখন তো রক্তকণিকার থেমে যাবার পর তোমার শরীরকে ঐ সাদা রঙেই রাঙাতে হবে নিজেকে, তাই না?”    

“হাতে ওটা কী? কী ওটা?”, নিতিস ভয়ে চিৎকার করে উঠে,” প্লিজ না, না! “

“আরে আরে ভয় পাচ্ছ কেন? এটা তো একটা সাধারণ সাদা কাপড় মাত্র।”, প্রণব কোথা থেকে যেন বের করে আনে এই কাপড়,” একদিন তো আমাদের এই কাপড়েই জগতকে বিদায় জানিয়ে যেতে হবে, কেন আগে আগেই এই কাপড়কে নিজেদের পরিধেয় করে রাখি না তবে?”     

প্রণব এবার সাদা কাপড়টা নিয়ে নিতিসের সামনে এসে বসে। টেবিলে রাখা সেলাই মেশিনে মাপমত নিতিসের জন্য কাপড় বানাতে শুরু করে। নিতিস দেখতে পায় কতটা নির্বিকার ভাবে ঠাণ্ডা মাথায় এক মনে কাজ করে যাচ্ছে প্রণব। কী অদ্ভুত! তার খুব খারাপ লাগছে এখন। কেঁদে দিতে ইচ্ছা করছে। খুব করে ইলা, অপু আর খেয়ার কথা মাথায় আসছে। সেলাই মেশিনটা বোধ হয় বেশ পুরনো দিনের। কেমন এক ঘট ঘট শব্দ করে যাচ্ছে। নিতিসের মাথা ব্যথা আরও বাড়ছে। মাথার উপরের হলুদ বাতির সাথে তাল মিলিয়ে যেন শব্দটা বেজে যাচ্ছে। শব্দের সাথে সাথে বাতির আভা কমছে আর বাড়ছে। নিতিসের দম বন্ধ হয়ে আসছে। চোখ খোলা রাখতে পারছে না সে। এক সময় তার চোখ বন্ধ হয়ে গেল।  

*****

সময় সকাল ৯টা বেজে পনেরো। থানায় রাকিবের সামনে নিতিস সেনের স্ত্রী বসে আছে। তার মুখে সে আঁচল চেপে রেখেছে। কিছুক্ষণ পর পর চোখ মুছে যাচ্ছে। সাব ইন্সপেক্টর ফজলুর সাহেব পাশে দাঁড়ানো।  হাতে একটি কাগজ। উনি বার বার কাগজের দিকে তাকাচ্ছেন আর মুখে চুক চুক করে খুব হতাশা মিশ্রিত এক শব্দ করছেন।   

আপনার নাম ইলা?

জি।

দেখুন নিতিস বাবুর নিখোঁজ হবার পিছনে অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। আমরা এখনো বুঝতে পারছি না তিনি নিজে থেকেই কিছু উল্টো পাল্টা করে বসেছেন নাকি উনাকে কেউ ধরে নিয়ে আটক করে রেখেছে। আপাতত ঢাকার বেশ কিছু জায়গায় লোক লাগানো হয়েছে খোঁজ নেয়ার জন্য। এই মুহূর্তে আপনার সহায়তা বেশ দরকার।

নিজে থেকে উল্টো পাল্টা মানে? আপনি ঠিক কী বলতে চাচ্ছেন? কিছুটা রাগ নিয়ে তীক্ষ্ণ চোখে ইন্সপেক্টরের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে ইলা।

রাকিব ইশারা দিতেই ফজলুর সাহেব কাগজটা এগিয়ে দেন ইলার দিকে। ইলা কিছু সময় তাকিয়ে থেকেই আঁচলে মুখ ঢেকে ফোঁসফোঁস করে কাঁদতে শুরু করে।

আমরা গত রাতেই আপনাদের বাসায় গিয়েছিলাম তল্লাসি করতে। তখন উনার টেবিলের উপরে এই কাগজটা পড়ে  থাকতে দেখি। এটা কি উনারই হাতের লিখা?

জি। ইলা আবার কাঁদতে শুরু করে।

উনি ঠিক কী কারণে এমন চিন্তা করেছেন বলতে পারেন? মানে সুইসাইড করতে চাওয়ার পেছনে কারণগুলি জানা খুব দরকার। যদিও আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত। তবুও আমার জানাটা এখন নেসেসারি।

ইলা কিছু সময় চুপ করে থাকে। তারপর বলতে আরম্ভ করে। নিতিস সবসময়ই খুব সাদা সিধে মানুষ ছিল। নিজের সংসার, নিজের চাকরি আর নিজের শখ এই নিয়েই থাকতো। কখনো উচ্ছৃঙ্খল কিংবা উগ্র মেজাজে তাকে দেখিনি। খুব শান্ত।

সরি টু ইনটেরাপট কিন্তু উনার চাকরি তো এখন নেই শুনছি। কথা কি সত্যি?

জি, কিশোরগঞ্জে একটা সরকারি চাকরি করত সে। একদিন কোন এক অফিসার তার সৎ হওয়াকে ইউজ করে ঘুষের মামলায় ফাসায় দেয়। সে চাইলে বের হইতে পারত। আমি হাজার করে বলসিলাম একটু সিস্টেম এর সাথে মানায় চলো। তবুও সে নিজের মতই থাকল। কথা এইটুক বলেই আবার জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করে ইলা।

তারপর? রাকিব গলা খাঁকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করে।

তারপর আর কী? আমার কথা না শুনে যখন চাকরিটা গেল আমি বেশ রাগারাগি করে চলে গেলাম বাপের বাড়ি। থাকবই বা কেন? খাওয়াতে পারতো ঐ ঘটনার পর আমাদের কে? খুব যে ইনকাম করত এমন তো না। খালি নিজের শখ আর চাকরি!

উনার শখ নিয়ে জানতে পারি কি?

অন্যান্য সবার মত বেশ বই পড়ত। সংসার তো বলতে গেলে আমি ই চালাতাম। রান্না থেকে শুরু করে রহস্য, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে কবিতা। কোন বই বাদ রেখেছে নাকি? দুনিয়ার সব কাজ করে সময় পার করেছে আর আমি একাই হাল টেনে গেছি। মাঝে আবার শখ জাগায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে কি না কি করে আসছিল! সব ঢং। এসব দিয়ে সংসার চলে?  

আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি শান্ত হন।

আমি ঠিকই আছি। আপনি এখন কী করতে পারবেন করেন। মানুষটা বেশ সহজ সরল। এজন্যই ভয় বেশি। ইলা চোখ মুছতে থাকে এই কথা বলে।

জি, আপনি একদম ঘাবড়াবেন না। আমি দেখব। এবার আপনি আসতে পারেন।

আঃ

ইলা চলে যেতেই ফজলুর সাহেব ফিসফিস করে বলতে থাকে। উনার মুখ বেশ হাসি হাসি। যেন খুব মজা পেয়ে গেছেন।

দেখসেন স্যার? এই জামাই বউ এর কাইজ্জা গুলান! জামাই নাই লগে, মরসে নাকি জিন্দা আসে ঠিক নাই তাও ক্যামনে দোষ দিয়া জাইতাসে।

উফফ, আপনি আমাকে একটু ভাবতে দিন তো।

ভাব্বার আর কী আসে স্যার? মাথা ঠিক হইলেই জামাই দেখবেন আইয়া পরব। মাইয়া মাইনসের মতন অভিমান কইরা বাড়ি ছাড়সে।

আপনি প্লিজ চুপ করেন।

*****    

এ কী? আমার চোখে কাপড় কেন? নিতিস চিৎকার করে উঠে। তার হুট করে হুশ ফিরে আসে। এখনো তার হাত বাঁধা। চেয়ারের সাথে শক্ত করে পা বেঁধে রাখা আছে। সে মাথার উপর থেকে বাতির ঝলকানি অনুভব করতে পারে। হলুদ আভা এসে পড়ছে চোখে। কিন্তু কিছুই স্পষ্ট করে দেখতে পায় না। বেশ কয়েকবার মাথা ঝাঁকায়। এক পর্যায়ে কাপড় এর ফাঁক দিয়ে সে হালকা করে দেখতে পায়। সে আছে নতুন এক ঘরে। তার সামনে যতদূর চোখ যায় শুধু ভাঙ্গা আসবাবপত্র দেখা যাচ্ছে। এই ঘরের বাতির তীব্রতা কিছু বেশি। দরজা চোখে পড়ছে না। বোধ হয় আসবাবপত্রের আড়ালে। সেদিকে চোখ যাচ্ছে না তার। এই ঘরে অবশ্য গরম কিছুটা কম। মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে। তবুও নিতিসের শরীর বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে। সে কাঠ হয়ে থাকা গলা দিয়েই ডাক দিতে থাকে। কে আছ? আমি এখন কোথায়? এই তুই আমাকে কই রাইখা গেসস? বাঁচা আমাকে প্লিজ। আমাকে বাঁচা। কোন লাভ হয় না। ঘরের আসবাবপত্রগুলির মাঝেই সেই সব শব্দ আটকা পড়ে যায়। সে একাই যেন জগতে বিচরণ করছে। তার সকল কথা শুধু তার মাঝে। কেউ তার কণ্ঠ শুনার নেই। কেউ কাছে এসে সাহায্য করবার নেই।  

হঠাৎ তার চোখে পড়ে এক কোনায় থাকা টেবিলের উপর। তার উপরের দেয়ালে জুড়ে লাল কালিতে অনেক কিছু লিখে রাখা। চোখে চশমা না থাকায় সে সব লেখা স্পষ্ট দেখতে পায় না। কিছু কিছু লেখা তার চোখে পড়ে। যেমন এক জায়গায় বড় করে লেখা “আমরা সঙ্গী”। তারপর পাশেই লিখে রাখা “মৃত্যুর পথে আমার সাথে যাবে?” নিতিস ঝরঝর করে ঘামছে। মেরে ফেললে একেবারেই মেরে ফেলতে পারতো। এতদিন তাকে বাঁচিয়ে রাখা কেন? জোরে জোরে প্রণব বলে চিৎকার করতে তাকে নিতিস। এই অন্ধকার ঘরে হলুদ বাতির নিচে যেন সে এক লাশ হয়ে বেঁচে আছে। প্রণব তুমি কোথায়? প্লিজ আসো। প্লিজ! আমাকে মুক্তি দাও প্রণব। আমাকে মুক্তি দাও। আমি বাঁচতে চাই। 

নিতিসের ঠিক মুখ বরাবর যে দেয়াল সেটা জুড়ে অনেক বড় এক আয়না। নিতিস আয়নায় সামনে বসে থাকা নিজেকে দেখতে পায়। তবে স্পষ্ট ভাবে নিজের চেহারা কিংবা অবয়ব কিছুই সে বুঝতে পারছে না। তবে তার পিছনের দিকে কেবল অন্ধকার দেখায়। এই ঘরটা বেশ বড় বুঝতে পারে সে। বাতির আলো কিছু বেশি থাকলেও ঘরের অনেকখানি অন্ধকার রয়ে গেছে। আবার নিতিসের চোখ যায় দেয়ালের দিকে। সেখানে বড় করে এক জায়গায় লেখা “সিলিকন”। কী অদ্ভুত! মৃত্যুর সাথে সিলিকনের কী সম্পর্ক? নিতিস ভাবতে থাকে। তবে তার মাথা কিছুতেই কাজ করছে না। এই লেখার নিচে আবার ইংলিশে লিখা “রিভার্স”। আশ্চর্য! এগুলি কি আসলেও কোন অর্থ বহন করে? নাকি নিছক এক বিকারগ্রস্ত মানুষের আবোল তাবোল বুলি? নাহ, নিতিসের পক্ষে কোন কিছুর সাথেই এগুলি মিলানো সম্ভব হচ্ছে না। নিতিসের আবার মাথা ব্যথা শুরু করে। সে বুঝতে পারছে না কোনভাবেই তার সাথে কী ঘটছে। সে বারবার দেয়ালের দিকে তাকাচ্ছে। সবকিছুই যেন তাকে গিলে খাচ্ছে। ইলা? এই ইলা? কোথায় তোমরা? একবার দেখা কর প্লিজ। তোমাদের মুখগুলি আবার দেখতে ইচ্ছা করছে যে। নিতিস গোঙাতে গোঙাতে কাঁদতে শুরু করে।  

তার কান্না থেমে যায় দেয়ালে একদম নিচের দিকে এক লেখা দেখে। সেখানে বড় করে লেখা ” পায়ের কাছে ডান দিকে তাকাও”। নিতিস এতক্ষণ ঐ দিকে সেভাবে খেয়াল করেনি। সে ডান দিকের আসবাবপত্রগুলির দিকে ভাল করে তাকাতে থাকে। সেদিকটা খুব অন্ধকার। বলতে গেলে কিছুই দেখা যায় না। তার উপরে আবার চোখে নেই চশমা। বারবার চোখ মেলে ভাল করে লক্ষ্য করার চেষ্টা করে নিতিস।  

তার চোখ যেন থমকে যায় হঠাৎ। সে আর্তনাদ করে উঠে। সমস্ত ঘর কেঁপে উঠে তার চিৎকারের শব্দে। তার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না নিজের চোখকে। তার দিকে তাকিয়ে মেঝেতে শুয়ে আছে প্রণব। প্রণবের শরীর আসবাবপত্রের ভিড়ে অন্ধকারে অস্পষ্ট হয়ে আছে। শুধু তার চেহারা দেখা যাচ্ছে। এবং মুখ থেকে বের হওয়া ফেনাগুলি! সাদা সাদা ফেনা এখনো তার মুখ থেকে গড়াচ্ছে। প্রণব তার নিথর পরে থাকা দেহ নিয়েই তার দিকে চেয়ে আছে চোখ বড় করে। বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে নিতিসের। 

নিতিসের গায়ে হঠাৎ গরম লাগতে শুরু করে। এমন তো হবার কথা না। যদিও সে বেশ ঘামছে তবে মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে এই ঘরে। এত গরম লাগছে কেন তার? মুখ ঘুরিয়ে ঘরের দিকে আবার তাকাতেই দেখতে পায় আগুন। আসবাবপত্রের আড়ালে যেদিকে দরজা আছে ভাবছিল সেদিকে আগুন লেগে গেছে!   

*****

বাস্তবতা কী? সত্য কী? যা দেখা যায় তাই কী সত্য?

Hasin Ishraqs photo
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (IUT)

সেশনঃ ২০১৮-২০১৯

Facebook
Threads
LinkedIn
Telegram
X
Reddit
Email
WhatsApp

আরও লেখা সমূহ