fbpx

অক্টোবর ১৬, ২০২৪

৭২ বরণে ৬৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের ৭২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ০৫ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, নবীনবরণ আয়োজন কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ডুসডা’-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আহমেদ রেজা চৌধুরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইকরা মুন নেছা-এর নবীনদের উদ্দেশ্যে বরণপত্র পাঠের মাধ্যমে। দেশাত্মবোধক গানের পর বক্তব্য রাখেন নবীনবরণ কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক লুৎফর রহমান স্যার। এরপর বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় পরিসংখ্যান গ্রাজুয়েট বৃত্তি, অমিয় অন্নদা মেমোরিয়াল ফান্ডের বৃত্তি,  এস এন মিত্র গ্রাজুয়েট বৃত্তি,  নূর জাহান আমাতুন স্কলারশিপ ফান্ডের বৃত্তি, অধ্যাপক খালেদা বানু স্কলারশিপ ফান্ডের বৃত্তি,  ডুসডা স্কলারশিপের বৃত্তির মতো কিছু বৃত্তি যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের পড়াশোনাসহ আরও ভালো ফলাফলের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারে। এরপর শিক্ষার্থীদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ‘ডুসডা’ ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আহমেদ রেজা চৌধুরী,  প্রধান অতিথি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বিশেষ অতিথি ড. মো: আব্দুস ছামাদ।

Photo 1

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাজার অর্থনীতির যুগে ডাটা সায়েন্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এক্ষেত্রে পরিসংখ্যান শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং কল্যাণের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। এজন্য শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে ব্যবহার করে উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন এবং উদ্ভাবন ও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। স্যার তার বক্তব্যের মাঝে শিক্ষার্থীদের “জুনিয়র স্কলার” হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন সক্রেটিসের সেই বিখ্যাত উক্তি “Strong minds discuss ideas, average minds discuss events, weak minds discuss people”। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফুলের যেমন সুবাস রয়েছে তেমন রয়েছে কাঁটা। কাঁটায় নিজেকে বিদ্ধ না করে নিজের সুবাসে চারদিক মুখরিত করতে উৎসাহিত করেন নবীনদের।

এরপর বক্তব্য রাখেন সম্মানীয় শাহাদাৎ আলি মল্লিক স্যার, ড. মতিউর রহমান স্যার। সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ড. জাফর আহমেদ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

দুপুরের খাবারের আয়োজনের পর শুরু হয় সকলের প্রতীক্ষিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২য় পর্বের শুরুতে নবীন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা ইসলাম শাহেলী এবং প্রথম বর্ষের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেয় এম.এস শ্রেণীর সায়েবা। এরপর একে একে শুরু হয় সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের নাচ,  গান,  নাটক ও আবৃত্তি। পুরো সময় জুড়ে যেমন সব শিক্ষার্থী মেতে ছিল লোকাল বাস,  লে পাগলুর মতো গানের তালে নাচে তেমনভাবে গলাও বেঁধেছিল প্রেমাতালের মতো গানে। হুমায়ূন আহমেদের কোথাও কেউ নেই” থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে “এখানে সবাই আছে”-এর মতো নাটকের সাথে ছিল “ফেরিওয়ালা”-র মতো কষ্ট ফেরির কবিতা আবৃত্তি,  ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় দাসের বাঁশির সুরে এম.এস শ্রেণীর ঐশ্বর্য বসাকের নৃত্যনাট্য। এম.এস শিক্ষার্থী সামা জামিলা রহিম ও হুমায়ুন কবির মঞ্চায়িত করেন “দ্যা বাইনমিয়াল পডকাস্ট” এবং বরাবরের মতো এবারও “স্ট্যাটিসটিকস গট ট্যালেন্ট: মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস” ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে করে তুলেছে মনোরম ও আনন্দদায়ক।

ফারহানা ইসলাম শাহেলী (১ম বর্ষ)
ঋষিমা আনজুম ঋষা ( ১ম বর্ষ)
নুঝাত নাজিয়া (২য় বর্ষ)
মো: মুহেব্বুল ইসলাম ( ২য় বর্ষ)