fbpx

মুগ্ধ

বাইরে পেঁচাদের ডাক ঢেউয়ের সুরে ভেসে আসছে। মাঝে মধ্যে কুকুরের ডাক‌ও শোনা যাচ্ছে। আবার কিছুকাল পরেই তা বন্ধ হয়ে নিরবতার রাজত্ব বিরাজ করছে। এরই মাঝে আবার মনে হচ্ছে কারো হাঁটার শব্দ। কিন্তু এতো রাতে এই নির্জন অঞ্চলে কোনো মানুষ কি আসতে পারে? না এটা অসম্ভব। হয়তোবা কোনো চতুস্পদী জন্তু দৌড়াদৌড়ি করছে। তবুও মনের মধ্যে কেমন যেন একটা সংশয়। মুগ্ধ আর বসে থাকতে পারছে না। এতোদিনের অপেক্ষা, যার জন্য এতো সাবধানতা আর কষ্ট সহ্য করতে হলো তা এতো সহজেই শেষ হয়ে যাবে, শুধু একটু অসাবধানতার কারণে তা কি করে হয়‌। মুগ্ধ এবার টর্চটা হাতে নিয়ে বাইরে আসলো। টর্চের আলোতে সে দেখতে পেলো পেঁচারা তার দিকে খুব কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হয়তোবা তারা মুগ্ধর এই কাজে খুবই বিরক্ত। মুগ্ধ আশেপাশে ভালোভাবে দেখে বুঝতে পারল, না সব ঠিক আছে। হয়তোবা তখন কোনো কুকুর, বিড়াল‌ই গিয়েছিল। ঘরের ভিতর এসে মুগ্ধ চোখ বন্ধ করে আছে কিন্তু ঘুমাতে পারছে না। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ সে আজ রাতের শেষ প্রহরে করবে এখন যদি সে ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে কিভাবে হবে। তবে আজ তার মধ্যে কেমন যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে। মনে হচ্ছে সব কিছু ছেড়ে কোনো এক অজানায় চলে যেতে। কিন্তু এখন আর কোনোভাবেই তা সম্ভব নয়। সে নিজেকে এসবের মধ্যে জড়িয়ে ফেলেছে। মুগ্ধ এবার বসা থেকে উঠে একটু পায়চারী করল। মন আজ কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। একটা সংশয় বারবার মনের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে। একটু পায়চারী করে আবার সে চেয়ারে বসল। এবার চোখ বন্ধ করে সে তার অতীতকে মনে করতে থাকলো। কতটা সুন্দর ছিল তার পৃথিবী। বাবা মা, ছোট একটা ভাই, একটা বোন। এইতো তার অস্তিত্ব ছিল। কত সুন্দর দিন কাটতো তাঁদের সাথে। হঠাৎ করেই মুগ্ধ তার শৈশবে ডুবে গেল।

সময়টা তখন ১৯৯৬ এর দিকে। ছোট একটা শিশুর পৃথিবীতে আগমন। বাবা মায়ের সে কি আনন্দ। মুগ্ধ তার মায়ের মুখে শুনেছে, যখন তার জন্ম হয়েছিল তার বাবা নাকি সম্পূর্ণ গ্রামের মানুষকে মিষ্টি খাইয়েছে। এতোটা আনন্দ নাকি এর আগে কখনো তার বাবা মায়ের হয়নি। মুগ্ধর কাছে এইসব শুনতে খুব ভালো লাগতো। নব আগত ছোট মুগ্ধ বাবা মায়ের আদরে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছিল। প্রথম যেদিন মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করানো হলো, সেদিন কি ভয়টাই না সে পেয়েছিল। তবে এই ভয় তার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। নতুন নতুন বন্ধু, স্নেহশীল শিক্ষকদের ভালোবাসার কারণে মুগ্ধ স্কুলকে ধীরে ধীরে ভালোবাসতে শুরু করল। মুগ্ধর বাড়িতে লাগানো ছোট নারিকেল গাছটা যেভাবে বড় হয়ে উঠছিল, মুগ্ধ‌ও ঠিক তার মতোই বড় হচ্ছিল। তবে গাছের মতো মুগ্ধ ওতটাও বড় হতে পারেনি।

কোনো একদিনের কথা, মুগ্ধ তখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। স্বভাবতই সে খুব ভালো ছাত্র। প্রতিবছর সে ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে। ভালো ছাত্র হ‌ওয়ার কারণে সবার ভালোবাসার মধ্যমনি ছিল মুগ্ধ। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, গ্রামের মানুষেরা মুগ্ধকে একটু বেশিই আদর করত। হয়তোবা এই অতিরিক্ত আদর‌ই মুগ্ধের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই তাদের গ্রামের কয়েকজনের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল মুগ্ধর। তাদের‌ই মধ্যে মুগ্ধের গ্রামে নিরব নামের একটা ছেলে ছিল। নিরব তখন দশম শ্রেনীতে পড়তো। সমবয়সী না হলেও মুগ্ধ আর নিরবের মধ্যে ছিল খুব ভালো বন্ধুত্ব। নিরব কিছুটা দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে ছিল। ইদানিং যখন‌ই মুগ্ধ তার সাথে থাকে, সার্বক্ষণিক সে শুধু একটু অন্যরকম কথা বলে। নিরবের এইসব কথা মুগ্ধ কিছুই বুঝতো না। নিরব ছোট একটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। মাঝেমধ্যেই নিরব আর মুগ্ধ এই মোবাইলে গান শুনতো। এই মোবাইলে গানের ভিডিও দেখা যেতো। নিরব একদিন মুগ্ধের বাড়িতে মুগ্ধের সাথে দেখা করতে এলো। মাঝেমধ্যেই নিরব মুগ্ধর বাড়িতে আসতো। তবে বিগত দিনগুলোতে নিরব যেই উদ্দেশ্যে মুগ্ধর বাড়িতে আসতো সেদিন কিন্তু তার ব্যাতিক্রম ছিল। সেদিন মুগ্ধের বাড়িতে কেউ ছিল না। নিরবের মোবাইলে একটা ভিডিও ছিল, সে সেটা মুগ্ধকে দেখানোর জন্যই মুগ্ধের বাড়িতে এসেছিলো। ভিডিওটা চালু করার আগে নিরব মুগ্ধকে বারবার বলেছিল, ভিডিওটা দেখার শুরুতে মুগ্ধর একটু খারাপ লাগবে তবে কিছুক্ষন দেখার পর তার অনেক ভালো লাগা কাজ করতে শুরু করবে। কিন্তু ভিডিওটা একটু দেখেই মুগ্ধ ভিডিও থেকে তার চোখ সড়িয়ে নিল। এতো অশ্লীল ভিডিও এর আগে কখনো সে দেখেনি। নিরব তাকে বারবার বলছিলো আর একটু দেখলে তার এই ভিডিও দেখতে ভালো লাগবে। কিন্তু মুগ্ধ সেই ভিডিও আর দেখলো না। কিন্তু পরবর্তীতে যখন‌ই সে আর নিরব একসাথে থাকতো নিরব শুধু তাকে এইসব গোপন বিষয়ে কথা বলতো। প্রথমে মুগ্ধের এসব বিষয়ে শুনতে খারাপ লাগলেও একটা সময় তার খুব ভালো লাগা শুরু হচ্ছিল‌।

তার স্কুলের চারটি বন্ধু ছিল, তাঁরা সবাই এসব গোপন বিষয়ে জানতো। ক্লাসের ফাঁকে সবসময় তারা পাঁচজন বন্ধু এসব বিষয়ে কথা বলতো। মুগ্ধের তখন এগুলো শুনতেও খুব ভালো লাগতো। তার একটা বন্ধুর‌ও মোবাইল ছিল। সেই মোবাইলে তারা পাঁচজন মিলে প্রতিদিন ওইসব অশ্লীল ভিডিওগুলো দেখতো। একটা সময় এইসব ভিডিওর প্রতি মুগ্ধ আসক্ত হয়ে যায়। ভিডিও না দেখলে তার কিছুতেই ভালো লাগতো না। কেমন যেন একটা নেশার মতো এইসব ভিডিও গুলো তার মস্তিষ্কে গেঁথে গিয়েছিল।

ধীরে ধীরে মুগ্ধের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমে যাচ্ছিলো। দিনভর সে শুধু বন্ধুদের সাথে আজেবাজে আড্ডা দিতো। ক্লাস‌ও ঠিক মতো করতো না। সুযোগ পেলেই সে পর্ণগ্রাফিতে ডুবে যেতো। বাড়িতে সে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য অনেকবার বলেছে। কিন্তু তার বাবা জমসেদ আলী তাকে কিনে দেয়নি। সেইজন্য ঠিকমতো সে বাড়িতে যায় না। দিনে বের হলে রাতে বাড়িতে আসে। মাঝে শুধু দুপুরের খাবারটা খায়। জমসেদ আলী তো প্রতিনিয়ত তাকে কথা শোনায়। অতিরিক্ত রাগ হলে মুগ্ধের গায়েও হাত তুলে। কিন্তু মুগ্ধ এখন এইসব কানে নেয় না। সে তার মতোই চলাফেরা করছে। এইরকম চলাফেরা করার কারণে বিগত বছরগুলোতে সে খুব খারাপ ফলাফল করেছে। ধীরে ধীরে তাদের এলাকার মানুষজন ও তাকে অপছন্দ করতে শুরু করল। মুগ্ধর এতোটা অবনতি আর চলাফেরার এই অবস্থার জন্য সবাই মুগ্ধকে বুঝানোর চেষ্টা করতো।

কিছুদিন আগে মুগ্ধর মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে। মুগ্ধ এবং তার বাকি চারজন বন্ধু সবাই পরীক্ষাতে ফেল করেছে। মুগ্ধর বাবা এইবার তাকে খুব বেশি মেরেছে। আগে মুগ্ধ তার বাবার কথা বিনা প্রতিবাদে শুনলেও এখন আর সে সেরকম করছে না। তার বাবার মুখে মুখে তর্ক করা শুরু করে দিয়েছে। রাগে জমসেদ আলী মুগ্ধকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলায় মুগ্ধ‌ও এবার বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। মুগ্ধর মা রাহেলা খাতুন দিনভর শুধু কেঁদেই যায়। কি ছিল তার মুগ্ধ আর এখন কি হয়ে গেছে। মুগ্ধ কয়েকদিন তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গেলো। কিন্তু নানার বাড়িতে গিয়ে তার মন টিকছিল না। ভিডিও না দেখতে পেয়ে সে মরিয়া হয়ে উঠছিলো। বাড়িতে এসে সে আবার‌ও বন্ধুদের সাথে পর্নোগ্রাফিতে মেতে উঠল। প্রতিদিন পর্ণোগ্রাফি দেখা এবং মাস্টারবেশন করার কারণে মুগ্ধের শরীরের কাঠামো ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছিলো। দু একবার সে অসুখেও পড়েছিল। জমসেদ আলী তখন‌ও তাকে কথা শুনাতো কিন্তু সে এগুলো কানেই দিতো না। আর রাহেলা খাতুন সবসময় চেষ্টা করতো মুগ্ধকে তার বাবার কাছ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে। 

মুগ্ধের অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এখন সে নিয়মিত সিগারেট খায়। গ্রামের বড় ভাই এবং তার বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যে গাঁজাও সেবন করে। মেট্রিক পরীক্ষায় ফেল করার পর আর সে পড়াশোনা করেনি। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর সিগারেট, গাঁজা সেবন ছাড়া আর কোন কাজ করে না। জমসেদ আলী এখন মুগ্ধকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মুগ্ধ সুযোগ পেলেই তার বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে। এছাড়া মুগ্ধ ও তার বন্ধুরা মিলে গভীর রাতে অন্য গ্রামে গিয়ে ডাব চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে। সুযোগ পেলে ছাগল বা হাঁস-মুরগি চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে সিগারেট, গাঁজা সেবনের টাকার ব্যবস্থা করে। 

দিনটা ছিল বুধবার। মুগ্ধ এবং তার বন্ধুরা মিলে গ্রামের একটা রাস্তার পাশে বসে সিগারেট খাচ্ছিল। হঠাৎ করে তারা একটি মেয়েকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখলো। মেয়েটির পড়নে একটি পাতলা টি-শার্ট এবং ছোট একটা স্কার্ট যা মেয়েটার হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রেখেছিলো। পাতলা টি-শার্ট পড়ার কারনে মেয়েটার শরীরের সবকিছু বুঝা যাচ্ছে। কোনো ওড়না না থাকার কারণে বুকের অংশটা উঁচু হয়ে আছে। তাছাড়া গাঢ় সাজগোজ, ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক থাকার কারণে মেয়েটাকে দেখতে অনেকটা সিনেমার নায়িকাদের মতো লাগছিলো। ছোট মোবাইলে যাদের দেখে মুগ্ধ ও তার বন্ধুরা নিজেদের উত্তেজনা কন্ট্রোল করতে না পেরে মাষ্টারবেশন করতো, সেই রকম একটা মেয়েকে দেখে তারা স্বাভাবিকভাবেই বাক্যহীন হয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইবার মুগ্ধ মাষ্টারবেশন করে ফেলেছে কিন্তু আজকে তার উত্তেজনা কিছুতেই কমছে না। বারবার মেয়েটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে আর তার উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে। কি করবে মুগ্ধ এখন। 

বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলো‌ মেয়েটা শহর থেকে গ্রামের কোন এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। এখন তারা সার্বক্ষণিক সেই বাড়িতে নজর রাখে। দুইদিন পর ঠিক দুপুর বেলা তারা দেখতে পেল মেয়েটা একা একা বাড়ি থেকে বের হয়েছে এবং আজকেও তাকে সেই সিনেমার নায়িকাদের মতো লাগছে। মুগ্ধ এবং তার বন্ধুরা এবার মেয়েটাকে দেখে আর নিজেদের কন্ট্রোল করতে পারল না। তারা সবাই মিলে গিয়ে মেয়েটাকে জোর করে তাদের আস্তানায় তুলে নিয়ে আসলো। এতদিন তারা মোবাইলে যা দেখেছে আজ তারা সেটা সত্যি করতে যাচ্ছে। প্রথমেই মুগ্ধ মেয়েটার উপর ঝাপিয়ে পড়লো এবং এতোদিনের কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ করল। এরপর তার বাকি চারজন বন্ধুও এক‌ই কাজ করল। তারা পাঁচজন মিলে মেয়েটাকে ধর্ষন করে, সন্ধ্যার দিকে সেই বাড়ির সামনে রেখে চলে আসলো। তারা সবাই ভেবেছিল মেয়েটা তো এখানে নতুন, হয়তোবা তাদের কাউকে চিনতে পারবে না। যদিও তাদের অনেক ভয় করছিলো তবু তারা কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিল।

দুইদিন ধরে মুগ্ধ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। যদি মেয়েটি তাকে দেখে চিনে ফেলে তাহলে অনেক ঝামেলা। দুইদিন পর্যন্ত যেহেতু কোনো সমস্যা হয়নি মুগ্ধ ভেবেই নিয়েছিল আর কোনো সমস্যাই হবে না। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন কিছু লোক লাঠি নিয়ে মুগ্ধের বাড়িতে এসে মুগ্ধ কে মারতে লাগলো। মুগ্ধ বুঝতে পারছিল কেন তাকে মারা হচ্ছে, কিন্তু সে এটাই বুঝাতে পারছিলো না কিভাবে এই খবরটা জানাজানি হলো। চার-পাঁচজন মিলে তাকে জখম করে ফেলল। তারা যেভাবে মুগ্ধকে মারতে শুরু করেছিলো হয়তোবা তারা তাকে একেবারে মেরেই ফেলতো আর না হয় তাকে পঙ্গু বানিয়ে ছাড়তো, যদি না রাহেলা খাতুন এসে সেই চার-পাঁচজন লোককে আটকাতো। জমসেদ আলী আর রাহেলা খাতুন কিছুই বুঝতে পারছিলা না। কি এমন হলো যে তারা মুগ্ধকে এভাবে মারছে? জমসেদ আলী মুগ্ধকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করায় সেই চার-পাঁচজন লোকের মধ্যে একজন জমসেদ আলীকেও মারতে আসছিল। বাকিরা তাকে পরবর্তীতে থামিয়ে দেয় এবং তারা জমসেদ আলীকে বলে আমাদের সাথে বিচারের মধ্যে চলুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আপনার ছেলে কি করেছে। জমসেদ আলী রাগে মুগ্ধকে মারতে শুরু করল আর বারবার জিজ্ঞেসা করছিলো

-কি করেছিস তুই? বল, না হয় আজ তোকে মেরেই ফেলবো।

রাহেলা খাতুন এসে কোনো রকমে জমসেদ আলীকে আটকালো। 

এরপর গ্রামে বিচার বসল। বিচারের মধ্যে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ উপস্থিত ছিল। সবাই মুগ্ধ ও তার বন্ধুদের দিকে ঘৃনা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে। যেই মেয়েটাকে তারা ধর্ষণ করেছে, সেই মেয়েটাও সেখানে ছিল। বিচারের মধ্যে আরও একবার মুগ্ধ ও তার বন্ধুদের খুব মারা হলো। জমসেদ আলী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। জমিলা খাতুন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে। সবাই এখন অবগত কি করেছে মুগ্ধ ও তার বন্ধুরা। বিভিন্ন রকম কথা বার্তার পর অবশেষে বিচারের রায় দেওয়া হলো। রায়ে বলা হলো,তাদের সবাইকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে এবং এতো খারাপ ছেলেদের কিছুতেই গ্রামে রাখা যাবে না।

মুগ্ধর বাবার অবস্থা খুব খারাপ। ছেলের কারণে আজ তাকে এতো অপমান সহ্য করতে হচ্ছে। সে নিজেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো মুগ্ধকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে। এরকম ছেলে থাকার চেয়ে না থাকাই অনেক ভালো। রাহেলা খাতুন এইবার আর কোন কথা বলতে পারলো না। ছেলের এতো বড় অপরাধ আর কি করে সহ্য করা যায়। 

বিচারের মধ্যে মুগ্ধ জানতে পারল যে তার এক বন্ধুকে সেই মেয়েটি দেখে চিনে ফেলেছিল। তারপর তার বন্ধুকে অসহ্য রকমের অত্যচার করলে মুগ্ধ ও তার বাকি বন্ধুদের কথা বলে দেয়। এই ঘটনার পর মুগ্ধ ও তার বন্ধুদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মুগ্ধর সাথে তার পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। মাঝে মধ্যেই মুগ্ধর তার পরিবারের কথা মনে পড়ে, কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে তার আর বাড়ি ফেরা হয় না।

হঠাৎ করেই মোবাইলে এলার্ম বেজে উঠল। মুগ্ধ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলো তিনটা বেজে গেছে। এখন তাকে বেড়িয়ে পড়তে হবে। মুগ্ধ গোডাউনে গিয়ে সব কিছু ভালো করে দেখে নিলো। দেখলো ৩০ টা মেয়েই আছে। মেয়েগুলো ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু কিভাবে তারা এতো নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে? কিছুক্ষণ পর তাদের বিদেশে পাচার করে দেওয়া হবে। যেখান থেকে তারা আর কোনোদিন বাড়িতে ফিরতে পারবে না। সবাইকে দেখে মুগ্ধ একটু হেসে উঠলো। মুগ্ধ আজ এই অবস্থানে আসার পিছনে প্রধান কারন ধর্ষণ। সমাজে সে ধর্ষক হিসেবে পরিচিত। আর এই সবগুলো মেয়েকে সে ধর্ষণ করেছে। তার মূল কাজ ধর্ষণ করা। কিন্তু তবুও সিগারেট খাওয়া বা গাঁজা সেবনের জন্য তাছাড়া জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করা প্রয়োজন হয়। আর তাকে বড় সাহেব বিশ্বাস করে মেয়ে পাচারের কাজটা দিয়েছে। যখন তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তখন এই বড় সাহেব‌ই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। শুধু মুগ্ধকে না মুগ্ধর বন্ধুদেরকেও বড় সাহেব আশ্রয় দিয়েছিল। বড় সাহেব তাদের পাঁচজনকে প্রশ্ন করেছিলো,

-তোরা কি বিদেশে গিয়ে আমার কারখানায় কাজ করবি নাকি দেশে নারী পাচারের কাজ করবি? 

মুগ্ধর বাকি বন্ধুরা বিদেশে চলে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিলেও মুগ্ধ দেশে থেকে মেয়ে পাচারের কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। সে একটা ধর্ষন করার পর ধর্ষনের প্রতি তার এতো আসক্তি আসে যে, সে ধর্ষণ ছাড়া জীবনে আর কিছুই চিন্তা করতে পারছিলো না। মুগ্ধর বন্ধুরা মুগ্ধকে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলেও সে দেশে থাকবে বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।

বড় সাহেব মুগ্ধকে ছয় মাস সময় দেয় এবং এই ছয় মাসে খুব সাবধানতার সাথে ৩০ টা মেয়েকে অপহরণ করতে বলে। তারা মেয়েগুলোকে বিদেশে পাচার করবে বলে জানায়। বড় সাহেব দেশের একজন স্বনামধন্য মানুষ হিসেবে পরিচিত। বিদেশে তার বড় বড় কারখানা আছে মানুষ শুধু এইটাই জানে। সে সেরা কর দাতা হিসেবে একবার পুরুস্কার‌ও পেয়েছে। সবাই জানে বড় সাহেবের এতো টাকা মূলত বিদেশের কারখানা থেকেই আসে। কিন্তু বড় সাহেবের যে কত অসৎ ব্যবসা আছে সেটা একটা কাকপক্ষীও জানেনা। এবার সে তার বাকি অসৎ ব্যবসার সাথে মেয়ে পাচারটাও‌ যুক্ত করলো এবং এই দায়িত্বটা সে মুগ্ধকেই দিলো। তার এতো যশ, খ্যাতির কারণে সে বারবার মুগ্ধকে সাবধান করেছিলো যেনো একটা কাকপক্ষীও জানতে না পারে। মুগ্ধ এতো কঠিন দায়িত্বে একটু ভিত সন্ত্রস্ত হলেও ধর্ষণ করতে পারবে এইটা ভেবেই আনন্দিত ছিলো।

মুগ্ধ এখন বেড়িয়ে পড়েছে মেয়ে জোগাড় করার কাজে। প্রথমে সে একটা মেয়েকে কায়দা মোতাবেক পেয়ে যায় এবং সেই মেয়েটিও সিনেমার মডার্ন নায়িকাদের মতোই ছিল। মুগ্ধ আশেপাশে ভালোভাবে দেখে মেয়েটার মুখে রুমাল চেপে মেয়েটাকে অজ্ঞান করে ফেলল এবং গাড়িতে উঠিয়ে ফেললো। খুব দ্রুত আর কাজের সূক্ষ্মতার কারনে একটা কাকপক্ষীও বুঝতে পারলো না। তারপর মেয়েটাকে গোডাউনে নিয়ে প্রথমে ধর্ষন করল এবং গোডাউনে রেখে দ্বিতীয় মেয়ে খোঁজার কাজে লেগে পড়ল। এবার‌ও ধর্ষণ করে তার অনেক ভালো লাগলো এবং মরিয়া হয়ে উঠছিলো কখন আবার নির্জনে মেয়ে পাবে। প্রথম প্রথম মুগ্ধ সিনেমার মডার্ন মেয়েদের মতো দেখতে মেয়েদেরকেই ধর্ষণ করতো এবং গোডাউনে রেখে আসতো। গোডাউনে মেয়েগুলোর খাওয়া দাওয়া বা যাবতীয় ব্যবস্থা বড় সাহেবের অন্য লোকেরা করতো। মুগ্ধ শুধু মেয়ে জোগাড় করে তাদেরকে ধর্ষণ করে গোডাউনে রেখে আসতো। ধর্ষণ করার অনুমতিটা সে আগেই বড় সাহেবের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছিলো।

প্রথম প্রথম মুগ্ধ তাদের গ্রামের মেয়েদের মতো কোনো মেয়ে দেখলে কায়দা মতো পেলেও তাদের গোডাউনে আনার জন্য কোনো ব্যবস্থা করতো না। কিন্তু অনেক বেশি ধর্ষণ করার কারণে মুগ্ধের সব মেয়েকে এক রকম লাগতো। এখন সে যে মেয়েকেই তার কায়দা মতো পায়, সেটা হ‌উক তার গ্রামের মেয়েদের মতো মেয়ে অথবা সিনেমার মডেলদের মতো, প্রত্যেককেই গোডাউনে নিয়ে আসে এবং ধর্ষণ করে। এভাবে দেখতে দেখতে ৬ মাসে ৩০ টা মেয়ে জোগার হয়ে গেলো। কাজের সূক্ষ্মতা দেখে বড় সাহেব মেয়েগুলোকে বিদেশে পাচারের কাজটাও মুগ্ধকে দিয়েছে।

মুগ্ধ ট্রাকটাকে গোডাউনের সামনে আনতে বলল ড্রাইবারকে। মুগ্ধকে সাহায্য করার জন্য আরও পাঁচজন তার সাথে ছিল। তারা সবাই বড় সাহেবের লোক। একে একে ৩০ টা মেয়েকে গাড়িতে নেওয়া হলো। মেয়েগুলোকে অনেক মারা হয়েছে, সেইজন্য তাদের সাথে কোনো জোরাজুরি করতে হয়নি। মেয়েগুলোর শরীর এতোই দুর্বল, যে কথা বলার মতো ও শক্তি পাচ্ছে না তারা। 

মুগ্ধ এখন ট্রাক নিয়ে সোজা বন্দরে চলে যাবে। সেখানে জাহাজ তাদের জন্য অপেক্ষা করবে। মেয়েগুলোকে জাহাজে তুলে দিতে পারলেই তাদের কাজ শেষ। রাতের শেষ প্রহরে এই কাজ করার মূল কারণ হচ্ছে পুলিশের ভয়। পুলিশ সারারাত ডিউটি দিয়ে রাতের শেষ প্রহরে ঘুমাতে যায়। তাছাড়া শীতকালে কুয়াশার কারনে রাতের শেষ প্রহরে কোনো কাকপক্ষীও জানতে পারবে না। আর ৩০ মিনিটের মধ্যেই হয়তো তারা বন্দরে পৌঁছে যাবে। মুগ্ধর আজ কেমন যেনো অপরাধবোধ কাজ করছে। কি ছিলো সে আর এখন কি হয়ে গিয়েছে। কেন‌ই বা সে পর্ণোগ্রাফি দেখতে গেলো, কেনই বা সেই মেয়েটাকে ধর্ষন করলো আজ মুগ্ধর বড়‌ই আফসোস হচ্ছে। সেও তো একটা স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারতো। পরিবার নিয়ে সুখে-শান্তিতে বাঁচতে পারতো। কি অপরাধ ছিল তার। এ সমাজ তো তাকে ধর্ষক হ‌ওয়ার সকল সুযোগ করে দিয়েছে। রাগ হয় মুগ্ধর এই নোংরা সমাজ ব্যবস্থার প্রতি। 

হঠাৎ করেই ট্রাক থেমে গেল। মুগ্ধ একটা বড় ঝাঁকি খেলো। সামনে সে কি দেখছে। রীতিমত সে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো। এত সাবধানতার পর‌ও কিভাবে সম্ভব। সামনে পুলিশের চেকপোস্ট। কিন্তু আজ সকালেই তো তারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছে। কিন্তু তখন তো কোনো চেকপোস্ট ছিলো না। পুলিশ মুগ্ধকে ট্রাকের তালা খুলে দিতে বলে, তারা ট্রাক চেক করবে। মুগ্ধ পুলিশকে অনেকবার বলেছে এখানে কাঁচামাল আছে যেগুলো তারা বিদেশে সাপ্লাই করবে। কিন্তু পুলিশ কোনো কথাই শুনছে না। ট্রাক চেক করা ছাড়া তারা কিছুতেই যেতে দিবে না। কোনো উপায় না পেয়ে মুগ্ধ পুলিশকে মোটা অংকের টাকা অফার করে এবং পুলিশকে জানায় ট্রাকে কিছু অবৈধ জিনিস আছে। এ কথা শুনার পর পুলিশ মুগ্ধ ও তার সাথে যারা ছিলো তাদের মারতে মারতে জখম করে ফেলে। তারপর মুগ্ধর পকেট থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে দেখতে পায় অনেকগুলো মেয়ে সেখানে পড়ে আছে। অবশেষে একজন পুলিশ বলে উঠে, মিশন সাকসেস।

আজ ১২-০৪-২০২৩ তারিখ। আদালতের রায় অনুসারে আজ মুগ্ধর ফাঁসি হবে। শেষ বারের মতো তার বাবা মা ও ছোট ভাই বোনদের দেখতে তার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। আজ শেষ বারের মতো তার পরিবার তার সাথে দেখা করতে আসবে এইটা সে নিশ্চিত ছিল‌। কতদিন পর সে তার বাবা মাকে দেখবে। তার ছোট ভাই-বোন দুটি না জানি কত বড় হয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর আগে তাদের সাথে একবার দেখা করতে পারবে এটা ভেবেই মুগ্ধ কিছুটা আনন্দিত ছিল। হঠাৎ করেই মুগ্ধ কয়েকজন পুলিশকে বড় সাহেবের কথা বলতে শুনলো। মুগ্ধতো পুলিশের কাছে বড় সাহেবের সম্পর্কে কিছু বলেনি, তবে বাকি যারা ছিল তারা কি বলে দিয়েছে?

সেদিন মুগ্ধ ও তার সাথের পাঁচজনকে ধরে আনার পর পুলিশ তাদের অনেক মারধোর করেছে। আর তাদের সবাইকে জেলখানার এক রুমেই বন্দি করে রেখেছিলো। কিন্তু যখন সেই মেয়েগুলো পুলিশদের বলেছিলো যে, মুগ্ধ‌ই তাদের সবাইকে অপহরণ করেছে এবং সবাইকে ধর্ষণ করেছে তখন মুগ্ধকে আলাদা রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। তারপর তাকে বেশ কয়েকবার রিমান্ডে দিয়েছিলো। কিন্তু তবুও মুগ্ধ কোনো কথা বলেনি। পুলিশরা এক সময় বিরক্ত হয়ে মুগ্ধকে টর্চার করা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে মুগ্ধ জানতে পেরেছিলো তারা যেই ৩০ জনকে অপহরণ করেছে তার মধ্যে কয়েকজন পলিটিশিয়ান এবং অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীদের মেয়ে ছিলো। আর ৩০ জন মেয়ের পরিবার‌ই নাকি থানায় মামলা করেছে, তাই পুলিশ বুঝতে পেরেছিল এইটা কোন একটা চক্রের কাজ। তাই তারা বিভিন্ন সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো যেখান দিয়ে বিদেশে মালামাল পাঠানো যায় সেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারি করতো। আর রাতের বেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে দিতো। আর এভাবেই তারা মুগ্ধকে ধরতে পেরেছিলো।কিছুক্ষনের মধ্যে সে পুলিশের কথাবার্তা শুনে বুঝতে পারে বড় সাহেবের সব কিছু ফাঁস হয়ে গেছে। তাকে পুলিশ আটক করেছে। সাথে তার সকল কারবার পুলিশ জব্দ করেছে। এসব শুনে মুগ্ধ শুধু বুঝতে পারছিলো, পাপের শাস্তি সবাইকেই পেতে হবে। 

কিছুক্ষণ পর‌ই মুগ্ধর ফাঁসি হবে। এখন‌ও তার বাবা মা তার সাথে দেখা করতে আসেনি। কোনো উপায় না পেয়ে মুগ্ধ একজন পুলিশকে এই ব্যপারে প্রশ্ন করলে জানতে পারে, পুলিশ মুগ্ধর ফাঁসির খবর তার পরিবারকে জানিয়েছিলো, কিন্তু তারা মুগ্ধর মুখ দেখতে চায়না বলে জানিয়ে দেয়‌। এই কথা শুনার পর মুগ্ধ একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়। সে এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে মৃত্যুর আগে একবার তার সাথে দেখা করা যেতো না? সে সবসময় শুনতো বাবা মা নাকি সন্তানের সব ভুল ক্ষমা করে দেয়। তবে তার বাবা মা কেন করলো না। ফাঁসির কাষ্ঠে যাওয়ার আগে মুগ্ধর চোখ বেয়ে দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। মুগ্ধ অবাক হয়ে যায় সেই জল দেখে। জীবনে কত কষ্ট‌ই না সে পেয়েছে কিন্তু কোনো দিন তো চোখে জল আসেনি। তবে আজ কেন চোখে তার জল। মৃত্যু ভয় তো তার অনেক আগেই চলে গিয়েছে। তবে কি প্রিয় মানুষদের অবহেলা আর তাদের প্রতি মূল্যহীন ভালোবাসার কারনেই তার চোখে এই জল। জানা নেই তার। মুগ্ধ নামের ধর্ষক‌ও আজ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। দেখবে না আর কেউ তাকে। কত শত কবিতা লেখা হবে পৃথিবীর বুকে। কত শত গান রচনা হবে। তার সেই নিশ্চিন্তপুর গ্রামে কত নতুন প্রান আসবে। কিন্তু মুগ্ধ আর পারবে না তা দেখতে। হয়তোবা তার মতোই অনেকে ধর্ষক হ‌ওয়ার পথে হাঁটবে কিন্তু মুগ্ধ আর পারবে না তাদের আটকাতে। তার এই ছোট্ট জীবনটা সম্পূর্ণ মূল্যহীন এবং অর্থহীন হয়েই শেষ হবে।

মৃত্যুর পর কি বাবা মা আমাকে শেষ বারের মতো দেখতে আসবে? ভাবনা গুলো আটকে গেল…