কবিতা

এই তো সেদিনযখন ইচ্ছা হলেইছুটে যেতাম তোমার কাছে;যখন একলা হলেইরাজ্যের গল্প জুড়ে দিতাম তোমার সাথে;যখন রাগ হলেইখুব করে বকে দিতাম

টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলমুজিব নামের ছেলেতার ছোঁয়াতে মুগ্ধ হতোশ্রমিক, চাষা, জেলে। ন্যায়ের কথা বলতো সদাঅটল ছিল তাতে।স্বাধীন দেশের স্বপ্ন মনেবুনত দিনে রাতে।

সামনে যে শীত—সাহসের অভাবে সংকোচ আজও কমেনি কিছু,কানে কানে শুনি শুধু ঝরে পড়ার গীত।ঝরা পাতা আর কতদূর যায়?যেখান থেকে মাড়ানোর

যামিনীর কোলে শায়িত আমি চারিধারে বইয়ের মেলা,নিভু-নিভু চোখে দেখি তাহাকে জানলায় করিছে খেলা।ফুলের শাড়িতে মুড়িয়া চরণ চলিছে আগালি পানে,সেই পথ

নতুন রঙে, নতুন আঙ্গিকেসেজেছে এই প্রাঙ্গণ নবীনদের আগমনে,চিরচেনা প্রাঙ্গণে পদধ্বনির আওয়াজেস্পন্দনের ঢেউ বয়ে চলছে ক্ষণে ক্ষণে।স্বপ্নীল নয়নের কৌতূহলী দৃষ্টিতে,চঞ্চল মনের

যে পদচারণায় মুখরিত ছিল এই প্রাঙ্গণ,সে প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যাচ্ছবহুদূর এক গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।গন্তব্যের এই সুবিশাল পথেআলিঙ্গন করতে যাচ্ছ এক নতুন

খুব ভোরে ঘুম ভেঙে উঠে দেখলামচারিদিকে অন্ধকার হয়ে আছে।এক তুমুল ঝড়ের আগমনী সংকেত,ঠিক আমার মনের ভেতর যেমন ঘূর্ণি চলে। মেঘের

যান্ত্রিক এই শহরের কোনো কিছুই লাগেনা ভালো,মন চায় চলে যাই দূর বহুদূর অজানা কোনো গ্রামে,গ্রামের দিগন্ত-বিস্তৃত ধানের মেঠো পথ ধরে

নুরের ছটায় ঝলমলালো ঘরের ছোট তারা জানলা ছেড়ে দেখছি তাকে, আনন্দে আজ আত্মহারা। ইচ্ছে হলেই খাচ্ছি চুমু, টানছি ধরে গাল

শুনছি এখনক্ষতবিক্ষত মনের না বলা কথন;যে মন পড়ে ছিল অবহেলায়ছিল না কোনো যতন। হাজারো কণ্ঠের ভীড়ে,ক্লান্তি – অবসাদকে ঘিরে,এই মন

যদি বেলাশেষে একদিন; কুয়াশায় নিষিক্ত আলো মেখে দুটো জুঁই হাতে এসে বলি—ফিরে আসো রাক্ষসী, প্রেয়সী হয়ে আবার;গতদিনের ফেলে যাওয়া চুম্বন