Author: জগন্নাথ পাল

জীবনের গান হয়ে অবসানথমকে দাঁড়ায় এই কোলাহলেব্যস্ত পথের বাক গুলো তাইসোজা হয়ে যায় ক্ষনিকের পানেদূর দৃষ্টিতে সীমারেখা তারসরল পথের একটু

ফাগুনের রিরংসু বাসনায়ভ্রাম্যমান সমীরণের পরশ যেনশীতাতপ যন্ত্রে নিষ্পেষিতঅথচ অকৃত্রিমতার চাদরে মোড়া প্রকৃতির প্রসাদ!মুকুলের কাঁচা স্বাদের প্রস্রবণ,মাধুকরী হয়ে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে পৌঁছেশীতের আড়মোড়া

সে যে উঁকি মারে, একা একাদেয়ালের ঐ বাঁকেহলুদের রঙে রঞ্জিত হয়েকার পানে চেয়ে থাকে!কাজলের আঁচে টানাটানা চোখেকার পথ ছুয়ে চলে!হাসির

প্রেম এসেছিলোতোমার ঐ কালো মুখের স্নিগ্ধ চোখেএসেছিলোশুকনো খেজুরের ন্যায় তোমার অধরেএসেছিলোউত্তপ্ত রোদে নির্লিপ্ত সলজ্জ চাহনিতেএসেছিলোতোমার মাথার জটলা ধরা ঐ কুন্তলেএসেছিলোভৈরবের

ঐ নতুন ঝাড়বাতিতে যখন সন্ধ্যা নামেনৈঋত কোণে তখন কুয়াশার চড়ুইভাতি।দৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে আসা ঐ ছোট্ট সবুজ বিন্দু,বিশ্বাসের প্রতি কিণাঙ্কে চলেছে

এক পশলা বৃষ্টি শেষে মাঘের শীত নামে জ্যৈষ্ঠের ভরদুপুরেবুনোলতার শীতল ছুরিতে দগ্ধ হয় উত্তপ্ত শরীরপিচঢালা রাস্তাগুলো নবযৌবনের হাওয়ায় ঝলসে ওঠে

রিক্ততার আঁচলে পেচিয়ে ওঠা সাফল্যবুভুক্ষু সত্ত্বায়ঘোর জাগে অতলে হারিয়ে যাওয়ারঅদৃষ্টে সুস্পষ্ট কিণাঙ্কের অস্ফুট চাহুনিতেঅবারিত কতই না কথকতা!সহিষ্ণুতার দিগন্ত ক্রমেই হচ্ছে

শব্দগুলো আটকে পড়েছে চিলেকোঠার অন্তপুরে;ধোয়াসা হয়ে ভেসে ওঠে আর্তচিৎকার।তীব্র দহনে জ্বলতে থাকা মাংসপিন্ডবদ্ধ ঘরের মাঝে শব্দহীন অশ্রুপুড়ে হয় ভস্ম!সদ্যজাতের চোখে

কনা গুলো বৃষ্টিতে নামেএ শীতল ঝরনা ধারায়বৃষ্টির জলে মিশে একাকারভূগর্ভের এই সলীলধারায়।কখনো তারা শুকিয়ে ওঠেকাক ফাটা কোনো ভরদুপুরেপড়ন্ত কোনো বিকেলের

রৌদ্রদাহ চলছে জোরেঘামছে মানুষ, যাচ্ছে দুরে,পথের মাঝে ক্লান্ত হয়েছটফটিয়ে শ্রান্ত কায়ে।বাতাসগুলো ঘুপটি মেরেরয়েছে বসে আরাম করে,বেবাক মানুষ, যায় মরে যায়তাতে

অসিতবরণ সর্পের ন্যায় ঢেউ খেলানো পথের এক চিলতে ফালিপবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আঘাত হেনে শো শো শব্দে বিদারিত করে ছুটছে গাড়ি।অংশুমালীর

প্রাপ্তিযোগের ভাটার টানে চর জেগেছে মনেনিত্য নতুন পলল শাখা জমছে সেথায় থেমেনতুন পলি, নতুন বালি গড়েছে ঢিবির ঝাঁকিপুরাতনের দাবিগুলোই হয়নি