fbpx

স্বপ্ন

যামিনীর কোলে শায়িত আমি চারিধারে বইয়ের মেলা,
নিভু-নিভু চোখে দেখি তাহাকে জানলায় করিছে খেলা।
ফুলের শাড়িতে মুড়িয়া চরণ চলিছে আগালি পানে,
সেই পথ আমি করিতে বরণ, চলি পাথার-গিরি-রণে।

পিছু নিয়া তার হইয়াছি দাঁড়, সম্মুখে মোর শহিদ মিনার!
সোপান চড়িতে খতরায় পড়িতে, দেখি শোণিতের সমাহার!
“হে নওজোয়ান করিও মনন, কভু ভুলিও না এই রং,
যদি করো মোচন হইবে হরণ হারাইবে হৃদয়ের সাং!”
শুনাইয়া বদন করিলো লুকন, খুঁজে আমি দিশে হারা;
হঠাৎ মঞ্চের ধারে দেখিয়া তাহারে, ফের জ্বলিছে হৃৎ তারা।
ঐ মঞ্চের উপর দাঁড়ায়ে যুবক। হায়, কী যে তার প্রতিভা!
যদি জ্বলে দ্যুতি (যাকেরের খ্যাতি), ঘরে যে মোর বাতি নিভা!
মঞ্চের দূরে দাঁড়িয়ে কে? কোনো চিন্তনজন করিছে মনন?
বিস্ময় হাতে আধি মাথে! ‘কেমনে করিবে নিরসন এই নিরশন।’
‘হাজার বছর ধরে’ বাংলার তীরে, দাঁড়ায় আরেক বিস্ময় বালক।
তাহার দিকে তাকাই আছি, মাছ রাঙ্গা তাকায় যেমন অপলক!
তাঁর কিছু দূরে কে যন খনন করে,কবরের ভিতর কবর!
অদ্ভুদ এ প্রতিবাদ,মানাবে হার, আছে যত বিস্মিত খবর।
ইমতিয়াজ নামের যুবক মুকুর মতন মুখ, ডেকে বলে মোরে-
“হে জ্ঞান পিপাসু, জ্ঞান রাখিও কিছু; চেয়ে নিও প্রভুর তরে।”
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”, অবাক মনে শুনি;
পবন পরে, বলে মোরে, ইহা রক্ষিত এক বজ্র ধ্বনি।
বিস্মিত আমি, সত্যি বিস্মিত; বিস্মিত হবো কত আর?
কূলে কাজল নামের ছেলে, এক হাতে বিকার অন্যতে মসি তার।
যেই কালির আলপনায় সারা বাংলা মাতায়, সেই কালি তার হাতে।
সেই কালি থেকে কিছু কালি পেতে, চলিবো তোমার সাথে।

ফের যদি সে চায়; কোনো জোৎস্না রাতে হাঁটিবো তোমার সাথে
ফের বিস্মিত হবো, যেমনি বিস্মিত শিশু শশীর সাক্ষাতে।
হে অপরূপা তোমার পিছু নিয়া, দাঁড়িয়েছি এই মঞ্চে।
স্বপনের স্ব-পণ; কালো জামদানিতে উঠাবো বিশ্ব মঞ্চে।

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়