University of Dhaka লেখা টি-শার্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনের ফুটপাতটার শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে আছি। সামনে রেলক্রসিং। বেল্টওয়ালা জুতা পড়ছি পায়ে, বেশ ফিটফাটভাবে চেপে আছে। আঁটসাঁট স্কাই-ব্লু কালারের প্যান্ট। ধূসররঙের টি-শার্ট, মোটামুটি স্পষ্টভাবেই University of Dhaka লেখাটা পেছনে ফুটে ওঠার কথা। শরীরে আলগা একটা ভাব আসছে। ডিপ ব্লু কালারের সলিড জ্যাকেটটা কাধে ফেলে আনমনে একহাতে ফোন টিপছি, আরেকহাত প্যান্টের পকেটে ঢুকানো। কানে এয়ারফোন। অবচেতনে গান শুনলেও সচেতন মনে নিজেকে মনে হচ্ছে যেন রসগোল্লা! ভনভন আওয়াজ পাচ্ছি—নিশ্চয় স্ত্রী-লিঙ্গ মৌমাছিরা আমারে ঘিরে ধরছে। কেউ কেউ হয়ত বলাবলি করছে ‘একটা সেলফি নিব নাকি’, ‘দেখসস ভাইয়া ঢাবিতে পড়ে, ওয়াও’ ইত্যাদি ইত্যাদি!
![University of Dhaka লেখা টি-শার্ট 12 1004 মোহাম্মদ ইকরাম University of Dhaka](https://www.thepapyrus.org/wp-content/uploads/2023/04/1004-মোহাম্মদ-ইকরাম-University-of-Dhaka.jpg)
আমি মূর্তিমান দাঁড়িয়েই আছি। সেলিব্রিটি সেলিব্রিটি ফিল পাচ্ছি—কিন্তু কেউ কাছে আসছেনা ক্যান; তাজ্জব বনে যাবার মত ব্যাপার।
অবশেষে এক বহুল প্রত্যাশিত ডাক এলো, ‘এই যে শুনছেন?’
আমি এতক্ষন চেতনে-অবচেতনে বাস্তব কিংবা কল্পনার মিশেলে এক অদ্ভুত জগতে বিচরণ করছিলাম। সেই সুমধুর আহ্বান, সেই নরম সুরে মনোহারি ডাক—এই যে শুনছেন; মুহূর্তেই স্বর্গরাজ্যের সুবিশাল অট্টালিকার পাশে বয়ে চলা শীতল নহরে হৃদপিণ্ডটা চুবিয়ে ভেতরটা কেমন যেন ঠাণ্ডা করে দিল—আহা! আমি হুশে ফিরলাম। কান থেকে এয়ারফোনটা খুলতে খুলতে বললাম, ‘জ্বি বলুন’।
ভদ্রমহিলা ধমকের সুরে বললেন, ‘এভাবে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন কি জন্যে? একটু সরে দাঁড়ান।’
.
. তারপর আমার সত্যিকারের হুঁশ হল এবং ভনভন আওয়াজে নিশ্চয় এতক্ষন কত গালি খাইছি আন্দাজ করতে করতে বাসার উদ্দেশ্যে অটোতে ওঠে পড়লাম!
![University of Dhaka লেখা টি-শার্ট 13 1004 মোহাম্মদ ইকরাম University of Dhaka লেখা](https://www.thepapyrus.org/wp-content/uploads/2023/04/1004-মোহাম্মদ-ইকরাম-University-of-Dhaka-লেখা.jpg)