fbpx

শুভ জন্মদিন প্যাপাইরাস!

যখন লকডাউনের বদ্ধতা মনের মাঝে নিয়ে কিছু মুক্ত বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করছি ঠিক তখনই লেখালিখির ইচ্ছা মাথায় ভর করে বসে। শুরুও করে দেই। জীবনের প্রথম থ্রিলার। অন্যরকম এক উৎসাহ। জীবনে এর আগে লিখলেও সময় ঢালতে কিপটেমিই করেছি বেশ! তবে লকডাউনে সেই লেখালেখির শুন্য নদে নতুন জোয়ার এসে নিত্য নতুন আনন্দে সিক্ত করে মনের পলি। 

লেখালিখি শুরু করবার পর যে চিন্তা মাথায় সবচেয়ে বেশি আসলো সেটা ছিল এসব লিখা পড়বে কে? এত কষ্ট করে লেখার পর যদি পাঠক ই না পাই তাহলে লেখাগুলো বেশ একাকীত্বে ভুগবে। হঠাৎ একদিন ঢাকা ভার্সিটির একজন কাছের মানুষ এসে জানান দেয় প্যাপাইরাস নামের এক অনলাইন ম্যাগাজিন থেকে নাকি লেখা নিচ্ছে। এবার আবার অন্য ভার্সিটির থেকেও লেখা জমা দেয়া যাবে। মেইল করে দেই নিজের লেখা থ্রিলারের প্রথম পর্ব। মনের মাঝে সংশয় কাজ করতে থাকে। আদৌ এই লেখা কেউ পড়বে তো? নাকি ইনবক্সে অবহেলায় ফেলে রাখা এক মেইল-ই এর শেষ পরিণতি হবে?!

যখন নিজের মেইলের জবাবে প্যাপাইরাস থেকে নতুন এই মেইল পাই, তখন বেশ আগ্রহ নিয়ে চোখ রাখি মুঠোফোনে। আমাকে অবাক করে দিয়ে সেখানে নিজের লেখার এক গাদা অসংগতি আর বেমানান বিষয়বস্তুর এক দীর্ঘ তালিকা ভেসে আসে। নিজের ভুলের পরিমাণ এত বেশি দেখে কষ্টের চেয়ে সেদিন আনন্দ কিছু বেশি-ই হয়েছিল। কারণ কেউ তো পড়েছে! তাও আবার এত খুঁটিনাটি খেয়ালে রেখে।

তারপর যতই প্যাপাইরাসে নিজের লেখা দিতে থাকি ততই মুগ্ধ হতে থাকি এর সম্পাদক এবং সমালোচকদের কাজ দেখে। বাংলা সাহিত্যকে, সাহিত্যের ছোট বড় শাখা থেকে শুরু করে বাংলার প্রতিটি শব্দকে যেখানে এতোটা গুরুত্ব দেয়া হয়, সেখানেই একজন লেখকের লেখা তৃপ্তি খুঁজে পায়। নিজের লেখা কেউ এত সময় নিয়ে পড়ছে এই অনুভূতিটা অসম্ভব সুন্দর।

শুভ জন্মদিন প্যাপাইরাস। একজন নবীন লেখককে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি সামনের দিনগুলি আরও সুন্দর হয়ে দেখা দিবে। প্যাপাইরাসের হাত ধরে অজস্র লেখক এবং কবি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করবে। 

কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা রইলো।    

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (IUT)

সেশনঃ ২০১৮-২০১৯

হাসিন ইশরাক

সেশনঃ ২০১৮-২০১৯