fbpx

তোমার রায়

রবের কদম চুমি পবিত্র তুমি, করিতেছো মোনাজাত?
“ধৈর্য্য দাও মোরে, বাতি দাও ঘরে, হয় যেন যথা সাক্ষাত!”
আমারে ভুলিতে কুণ্ঠায় দুলিতে বুঝি দিয়াছো এ রায়;
জেনে রাখো তবে অচিরে আমার হবে,পরম এ প্রণয়।
সেদিন করিও স্মরণ, (হয়তো) স্বামীর মনন: এ প্রণয় নিশ্চিত!
দুজন মিলে চলিবো শ্যামল-ঝিলে; ছিরে সমাজ জাল কিঞ্চিৎ।

যদি কোনো শ্রাবণ দুপুরে, যদি হে ঝুম ঝুম বৃষ্টির মাঝে
যদি তোমার এ রায় ক্ষান্ত হয়, যদি রে শুনি নুপূর বাজে
যদি পাখিরা নীড়ে ফিরে; তবে যে রাজুক থেকে নীলক্ষেত;
মম মনন তুমিতে বিলীন করে, হাঁটিবো তোমার সমেত।
কিংবা বসেন্তের দিগন্ত সকালে দেখি যদি তোমারে,
আমার মেঠো পথ বেয়ে চলো আপন মনে, ডাকো আমারে;
পথের দুই তীর করিয়া অধীর, কবরীর ঐ শিউলি গন্ধে।
সেদিনও প্রণয় স্থির রয়, এই কনীনিকা কিংবা হৃৎরন্ধ্রে।
হে সংসারী, যদি চৈত্র দুপুরে আমার ঘরে হও ক্লান্ত;
সেদিনও প্রণয় স্থির রয়, প্রণয় পবনে করিব শান্ত।
যদি বৈশাখ ঝড় দুপুরে, আম বগানে, তোমার নয়ন পালায়;
হয়তো সেদিন পাশে পাবে না, মগ্ন এষণে পাবে নিশ্চয়।
যদি কভু শরৎের দুপুরে ছুটো মেঘের ছায়া তলে
ওপথ জুড়ে পাইবে মোরে হয়তো সাদা মেঘ, নয় কাশফুল ছলে।
যদি হেমন্তের দুপুরে ছুটো পুলকে, কৃষকের মাঠে;
খুঁজে পাবে মোরে সোনালী ধানে, তোমার এ কোমল মুঠে!
যদি শীতের ভোরে মুক্ত পায়ে চলো গাঁয়ের ও পথ ধরি,
শষ্পের শিরে শীকড় রূপে রবো, কিংবা খেঁজুর রসের হাড়ি!

হে রাগিণী, যদি ইচ্ছে হয়,রেগে মেজাজ করিও তীক্ষ্ণ ;
তখন এ দিলের গভীর রন্ধ্রে তোমার হৃদয় করিবো মগ্ন!
যেমতি চাবির বক্রতা আর তালার কুহরে খুলে যায় দোর;
তেমনি দু’হৃদয় মিলিয়া খুলিবো মোরা স্বর্গ সুখের দোর!
আজও মম চাহনি রহিয়াছে নিম্নগামী, থাকিবে সেদিন অবধি
সেদিন দেখিবো, কেবল তোমায় দেখিবো,দু’সর্গে যেন তোমাকেই লব্ধি!
স্বপন জুড়িয়া তুমি নয়ন জুড়িয়া তুমি; সব যে তোমা ঘিরে,
যদি রায় ক্ষান্ত হয়, আসিও কীর্তনখোলা কিংবা সন্ধ্যার তীরে।

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়