fbpx

সেই হাসি

শশীর ষাট পাক পরে কভু দেখি যদি তারে
রাবির পদ্ম পুকুর কিংবা সন্ধ্যা নদীর তীরে।
নড়ীতে তার তুলে দিবো কাঠ গোলাপ চারা,
যার মূলে নীর ঢেলে, আমি হটাই হৃদয় খরা।
সেইদিন আমি তাকাই রবো দেখিতে সেই হাসি
ঐ চঞ্চুর তাল করে মাতাল, বাজায় হৃৎ বাঁশি।

সাদা ধূলিজালে যদি খেলে লুকোচুরি-
নীলগিরির খগোলে উড়াবো এ প্রেমের ঘুড়ি।
ভূমিতে চরণ ফেললে ধোয়াবো সাঙ্গুর জলে,
বিশ্রাম নিলে আসন দিব মম তিন্দুর কোলে।
যদি কভু আঁখি মেলে তাকায় আমার গাঁয়,
টিকইল হবে, ছেয়ে যাবে আঁখি আলপনায়।
যদি সে কানামাছি খেলে সকাল বা সন্ধ্যায়;
তারে নিয়া হারায় যাবো ঐ বাংলাবন্দায়।
চোখ মেলে অবাক নয়নে দেখে কাঞ্চনজঙ্ঘা!
আমি তারে দেখি, অপলক যেমন মাছরাঙা।
ইনানী, হিমছড়ি কিংবা শাহপরী মোরে
নাহি টানে, চারিধারে কেবল দেখি তারে।

আমি শত পাক ধরে দিয়াছি যে কত পাক
দেখেছি বহু পালক, শুনেছি যে বহু ডাক;
কোনো কিছুতেই এ হৃদয় যেন নাহি টলে
খুঁজিয়া চলিতেছি নভ-স্থলে-জলে।
আমি ক্লান্ত এক প্রান, খুঁজে খুঁজে দিশে বঙ্গ
আমি ক্ষান্ত হবো দেখে সেই হাসির তরঙ্গ।

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়