fbpx

পালা বদলের সংলাপ

ঋতুরাজ: ওরে, শুনছিস গ্রীষ্ম।তুই আসবি যখন, আমি হবো গত।

[গাল ফুলিয়ে]

গ্রীষ্ম: এহ! বললেই হলো।

ঋতুরাজ: আমি বললে হবে না?

গ্রীষ্ম: কেন হবে? ঠিক কিছু কি বলেছো তুমি? আমি কী করেছি যে আমার নামে এমন অপবাদ দিচ্ছ?

ঋতুরাজ: কী করিস নি তাই বল! আমি কতো যত্নে রঙ বেরঙে সাজিয়েছি চারপাশ; সুন্দর করে ফুল ফুটিয়ে সবাইকে শান্তি দিলাম। কিন্তু তুই গরমের কষ্ট দিয়ে ফল পাকাবি। এ কষ্ট যে আমি চোখে দেখতে পারব নারে…

গ্রীষ্ম: এহ! ঢং কত!!!

ঋতুরাজ: তুই ঢং বললি আমার এই কষ্টকে! তুই পারিস তো শুধু তাপ দিয়ে ফল পাকাতে। পারবি কি আমার মতো হরেক রকম ফুলের সুবাসে মাতিয়ে রাখতে চারপাশ?

গ্রীষ্ম: আমি যা পারি তুমি তা পারো নাকি? আমাকে যে বলছো? পাকিয়ে দেখাও তোমার ঐ সৌন্দর্যে আম-কাঁঠাল।

[গলা উঁচিয়ে]

ঋতুরাজ: কি বললি! দিনকে দিন তুই সীমা লঙ্ঘন করে ফেলছিস। ফল পাকিয়ে আমার কাজ নাই। কমলা, চেরি খেতে খেতেই চোখের শান্তি খোঁজে মানুষ..

গ্রীষ্ম: তুমি তো শুধু মানুষের চোখের শান্তি দাও; আমি তো তাদের গ্লুকোজের ব্যবস্থা করি। নয় হেঁটে তোমার সৃষ্টি দেখবে কীভাবে? আবার এসেছে আমাকে জ্ঞান দিতে। আরে যাও যাও….

ঋতুরাজ: কী বললি পাপিষ্ঠ!!!!

চোখ পাকিয়ে চিৎকার করল ঋতুরাজ।

তাড়াহুড়ো করে লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে ঋতুরাজের কাছে গেল কালবৈশাখী। চারপাশ যত সৌন্দর্যে সাজিয়েছিল বসন্ত, আর মানুষের গ্লুকোজের খনি বানাতে চেয়েছিল গ্রীষ্ম, সব এক নিমিষেই শেষ!

কালবৈশাখী: ক্ষমা চাই, রাজামশাই।আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। পণ করছি আর এভাবে ঘুমাব না। আপনার সেবাই করব। কিরে গ্রীষ্ম, তুই কি করিস এখানে? আপনাকে এই নচ্ছারটাই জ্বালাতন করছিল, তাই না?

ঋতুরাজ: ওরে অপদার্থ, কী করলি তুই? সব শেষ করে দিলি…

এ বলে কপাল চাপড়াতে লাগলো বসন্ত।অন্যদিকে হাত পা ছড়িয়ে সজোরে কাঁদছে গ্রীষ্ম। মাঝে আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে কালবৈশাখী…

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১ম বর্ষ

নুঝাত নাজিয়া

১ম বর্ষ