fbpx

প্যাপাইরাসকে খোলা চিঠি

প্রিয় প্যাপাইরাস, 

জানো, আজ সেপ্টেম্বরের এক তারিখ, আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস। ভাবছি তোমাকেই আজ লিখব চিঠি। কিন্তু কিভাবে লিখতে হয় চিঠি? জানি না তো!

“ডাকবাক্সগুলো আজ ফাঁকা পরে রয়,
মনের কোণে কিছু কথা এমনি জমে রয়।”

আমি এই ছোট্ট হতে থাকা জগতের একজন। দেখি নাই ডাকটিকিট। জানি না কেন মানুষের আবেগের সাথে মিশে ছিল ডাকবাক্স, আর ডাক পিয়নের হাঁক। মাঝেমাঝে ভাবি কিভাবে আগে মানুষ একটা চিঠির জন্য এতো অপেক্ষায় দিন কাটাত। সত্যিই কি কথা জমে থাকত এভাবে? অনলাইনের যুগে থাকায়  মনে হচ্ছে মেসেজ, মেইল বাদ দিয়ে যোগাযোগ- অসম্ভব!

তোমার সাথেও আমার এই অনলাইনের সুবাদে পরিচয়। সকলের সুখ -দুঃখের পাঁচালি  তুমি। কত মানুষের আবেগের কেন্দ্রবিন্দু তুমি। কিন্তু জানো কি, ক’দিন আগে যখন ১৯৯৯-২০০০ এর ম্যাগাজিন “প্যাপিরাসকে”  হাতে পেলাম; কেমন যেন অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করল। কেন যেন মনে হলো ম্যাগাজিনটার প্রতিটা লিখা আমার জন্য। আমাকে কিছু বলছে। ওখানের একটা অংশই তো পেলাম চিঠির জন্য। কত মানুষের কত আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ওখানে। কখনো কারো অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে সুন্দর একটা উত্তরে, আনন্দ-উল্লাসে; কখনোবা বুক ভরা কষ্টে। কিন্তু সব মিলিয়ে সুন্দর ছিল প্রতিটা মুহূর্তের বর্ণনা। এভাবেই সেজে থাকতে তখন তুমি। তাই না?

কথা কি আদৌ ওভাবে জমে থাকত? আমি তো আজ বলে ফেললাম তোমাকে আমার ভালোলাগাগুলো। আমার ভাবনাগুলো। আচ্ছা, এইটাকে কি চিঠি বলবে?

আমাকে তোমার উত্তরটা জানিও। অপেক্ষায় থাকব।

ইতি,

তোমাতে মেতে থাকা একজন

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১ম বর্ষ

নুঝাত নাজিয়া

১ম বর্ষ