fbpx

শিরোনামহীন

১১.০৮.২০২৩
আজ, মোটামুটি বছর ছয় পর দাদু বাড়িতে আসলাম আমরা। ভালো লাগছে সবাইকে দেখে। ১৩তারিখ থেকে ক্লাস। কালই হয়তো চলে যাব।

১২.০৮ .২০২৩
আজ গ্রামের বাড়ি থেকে আসার সময় ট্রেন গৌরীপুর স্টেশনে থামল কিছুক্ষণ; সেখানে ক্রসিং হলো তাই। সেই কিছুক্ষণটা আসলে ছিল মাত্র সোয়া এক ঘন্টার ।
আধা ঘন্টা বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে বাবা বললো, “আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকব। যাই, একটু হেঁটে আসি।” বাবা ট্রেন থেকে নামার দশ মিনিট পর হঠাৎই ট্রেন চলতে আরম্ভ করল। বাবা জুতা খুলে খোলা হাওয়ায় একটা বেঞ্চে বসে আশপাশটা দেখছিল। ট্রেন চলতে আরম্ভ করায় তাড়াহুড়ো করে ট্রেন ধরতে গিয়ে এক পায়ে জুতা না পরেই দৌড় দিল বাবা। জানালা দিয়ে আমি বলছি, ” তোমার জুতা.. ” কোনো রকম দৌড়ে ট্রেনে তো উঠলো বাবা; কিন্তু দুই কদম এগিয়ে ট্রেন আবার থেমে গেল। মনে হলো ট্রেন যেন একটু নাড়া দিল সবাইকে যে সে আছে। যাত্রীগণ যেন না ভুলে তাকে ।পরে আর কি বাবা এক পায়ে জুতা পরে আরেক পায়ের জুতা খুঁজতে নামল ট্রেন থেকে। এরপর আর তেমন নাড়া দেয় নাই ট্রেন। দশ মিনিট পর বহু প্রতিক্ষীত ট্রেন আসলো, যা আসলে ছিল তিন বগির একটা মালগাড়ি।এরপর কান ফাটানো হুইসেল দিল আমাদের ট্রেন আর চলতে শুরু করল। কাল সারাটা রাস্তা এমনভাবেই মাত্র কিছুক্ষণ করে অপেক্ষাই করলাম আর কাব্যিক ভাষায় বললে জীবন থেকে এমনি এমনি হারিয়েছি দুই ঘন্টা। আড়াই ঘন্টার পথ যখন সাড়ে চার ঘন্টায় আসা লাগে তখন এমন হঠাৎ নাড়া দেয়া আর জুতা কাহিনী একটু করে মনে করায় যে আছি বেঁচে।

১৩.০৮ ২০২৩
চলে আসলাম আবার যান্ত্রিক জীবনে।

শিক্ষার্থী | পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১ম বর্ষ

নুঝাত নাজিয়া

১ম বর্ষ