সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে যিনি সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন, তিনি দলনেতা, তিনিই পথিকৃৎ। অন্যভাবে বললে তাকে শিক্ষকও বলা যায়। একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের জন্য পথ প্রদর্শক, একজন অভিভাবক। ইদানিং পত্রপত্রিকার পাতায় বড় বড় অক্ষরে সচিত্র প্রতিবেদন দেখতে পাই শিক্ষকদের নিয়ে। এর অধিকাংশই শিক্ষকদের জন্য নেতিবাচক, যেমন-চুল কেটে দেওয়ার জন্য শিক্ষক গ্ৰেফতার, শিক্ষার্থীকে পেটানোর জন্য শিক্ষক বহিষ্কার ইত্যাদি । বাদী হন শিক্ষার্থীর বাবা/মা অথবা ভাই। শিক্ষার্থীদেরকে তার প্রতিষ্ঠানের কিছু লিখিত-অলিখিত নিয়ম মেনে চলতে হয়।
যখন একজন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের নিয়মকে তোয়াক্কা করেনা, চলতি ফ্যাশনের ছেঁড়া প্যান্ট, টাইট জামা পরে বাবড়ি চুল, বাবুই পাখির বাসার মতো ছাঁটা চুল নিয়ে স্কুলে/কলেজে আসে, তখনই বাধে বিপত্তি। একজন সত্যিকারের শিক্ষক শিক্ষার্থীর এমন ড্যামকেয়ার ভাব সহ্য করতে পারেন না। কিছু শিক্ষার্থীর শরীরি ভাষা ও অশালীন হয়। তখনই শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে প্রহার করেন বা করতে বাধ্য হন। শিক্ষক যখন শিক্ষার্থী কে প্রহার করেন তখন কিন্তু শিক্ষার্থীকে প্রতিপক্ষ/শত্রু মনে করেন না। বরং নিজেকে একজন অভিভাবক হিসেবে/পিতা হিসেবে মনে করেন। শিক্ষক তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করেন। কিন্তু বিপরীত অবস্থা দেখে তিনি বিরক্ত হন এবং ফলাফল বেত্রাঘাত! হয়তো তিনি আরও একটু ধৈর্য ধরতে পারতেন কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। একজন পিতা ও কিন্তু তার সন্তান কে প্রহার করেন এবং কখনো কখনো তা নির্মম হয়ে উঠে। তখন সেই বাবা কি করেন? তাহলে শিক্ষক প্রহার করলে তোলপাড় করেন কেন? এটা কি একজন বাবা, অভিভাবকের জন্য ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয়?
অনেকেই হয়তো বলবেন,পরের ছেলের জন্য এত দায়বোধের দরকার কি? ক্লাসে যাবো,বই হাতে নিয়ে পড়াবো,ঘন্টা পরলে চলে আসবো। এটা ঠেকা চালানো কিন্তু শিক্ষকতা নয়। শিক্ষকতা একটা ব্রত। এর সাথে নীতি নৈতিকতা জড়িয়ে আছে। মানুষ কে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সব দিকই আছে শিক্ষকতার মধ্যে। ইসলাম ধর্মের বইয়ের নাম “ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা”। নিশ্চয়ই নৈতিকতা কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই এমন নাম করণ করা হয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই, শিক্ষক একজন অভিভাবক, একজন পিতা, একজন পথ-প্রদর্শক সর্বোপরি তিনি এ সমাজের একজন মানুষ।
তাঁর ও ভুল হতে পারে যেমন একজন বাবারও হয়। শিক্ষার্থীদের মন ও মানসের গঠনে তাঁর ভূমিকাই মূখ্য। তাই একজন শিক্ষক কে মূল্যায়ন করতে হবে বিশেষ ভাবে, সমাজের আর দশজনের মতো করে নয়। একজন অপরাধীর মতো হাতকড়া পরিয়ে কোর্টে বা থানায় নেওয়া কোন নৈতিকতায় পরে? অতিতে অভাব অনটন সত্ত্বেও শিক্ষকের আত্মমর্যাদা ও সন্মান ছিল আকাশ ছোঁয়া। অধিকাংশ মানুষ ছিল অশিক্ষিত কিন্তু শিক্ষকদের প্রতি ছিল ভক্তি ও শ্রদ্ধা। কিন্তু বর্তমানে কি ধনী কি গরীব,অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বললেই চলে। সমাজের অবক্ষয়ের ফলে চারিদিকে শুধু বুদবুদের মতো দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাই, প্রতিকারের কথা শিক্ষক ছাড়া তেমন কাউকেই বলতে শুনিনা।
সমাজে বোবা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সমাজের জন্য এটা একটা অশনিসংকেত।
- মো: সাবিত আল-সাবা রিয়নhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%ae%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8/বৃহস্পতিবার, জুলাই ৯, ২০২০
- মো: সাবিত আল-সাবা রিয়নhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%ae%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8/বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১২, ২০২১
- মো: সাবিত আল-সাবা রিয়নhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%ae%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8/বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
- মো: সাবিত আল-সাবা রিয়নhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%ae%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8/বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৪, ২০২১
- মো: সাবিত আল-সাবা রিয়নhttps://www.thepapyrus.org/author/%e0%a6%ae%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8/বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২২