fbpx

সম্পাদকীয় – এপ্রিল ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আজ (১৮ এপ্রিল ২০২৪) প্যাপাইরাসের অনলাইন সংস্করণের ৫ম বর্ষপূর্তি। আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে, তাদের সবাইকে অভিনন্দন।

গাজায় ইসরায়েলের প্রলম্বিত ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞে যখন সবাই ক্ষুব্ধ ও হতাশাগ্রস্ত, তখন বিপরীতধর্মী এক টুকরো সংবাদ তৈরি করেছে ইরান। গত ১৪ এপ্রিল শনিবার রাত আটটায় ইরান ৩০০ টির বেশি ড্রোন আর মিসাইল ব্যবহার করে ইসরায়েল আক্রমণ করেছে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা স্থায়ী এই আক্রমণে ১৭০ টি ড্রোন, ১২০ টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ৩০ টির বেশি ক্রুজ মিসাইল ব্যবহৃত হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স আর জর্ডানের সহায়তায় ইসরায়েল অধিকাংশ প্রোজেক্টাইল প্রতিহত করেছে, তারপরও কমপক্ষে নয়টি প্রোজেক্টাইল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েল তাই কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

কতিপয় দেশ ও জাতিসংঘ এই হামলার নিন্দা করেছে। কিন্তু, যে ঘটনার কারণে ইরানের এই হামলা – গত ২ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলায় ১৩ জন ইরানীর মৃত্যু – সেই ঘটনার নিন্দা জানানোর এরা প্রয়োজন মনে করেনি। আন্তর্জাতিক আইনে ইরানের দূতাবাসে হামলা ইরানের মাটিতে হামলার সমতুল্য।

শিশুহত্যায় দক্ষ ইসরায়েলের পৈশাচিকতায় মুগ্ধ একটি পক্ষ ইরানের এই প্রচেষ্টাকে হাস্যকর বলে মনে করছেন। আবার, কেউ কেউ শিয়া-সুন্নী বিতর্ক উসকে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের বোঝা উচিত, গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সন্তানের লাশ খুঁজতে থাকা মায়েদের কাছে শিয়া-সুন্নী বিতর্ক অর্থহীন। এই মায়েদের কাছে ইরানের প্রোজেক্টাইলগুলো আবাবিল পাখির সমতুল্য।

এমন তো হতে পারে, একদিন ইসরায়েলের আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং বা অ্যারো-থ্রি ঠিক মতো কাজ করবে না। ইরান ও তার মিত্রদের মিসাইলগুলো হয়তো সেদিন নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানবে। তখন কি ইসরায়েলি মায়েরা একই রকম কষ্টের ‍শিকার হবে না?

রক্তের এই উন্মাদনা বন্ধ হোক।

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সেশনঃ ১৯৮৩ - ৮৪

জাফর আহমেদ খান

প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনঃ ১৯৮৩ - ৮৪