fbpx

ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স্‌‌ টু ডাই

দশ

ওয়ার্ডের ছাদ থেকে জেডকা দেখলো নার্স একটা সিরিঞ্জ হাতে এগিয়ে আসছে। মেয়েটি এখনো পাশে দাঁড়িয়ে তার শূন্য দৃষ্টির দিকে ভীত চোখে তাকিয়ে তার দেহটার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। খুব সামান্য সময়ের জন্য জেডকার মনে হলো কী ঘটেছে তা মেয়েটাকে বলবে, কিন্তু পরক্ষণেই এ চিন্তা বাদ দিলো। মানুষ কখনোই শুনে কিছু শিখে না, নিজে করে শিখে।

নার্স জেডকার বাহুতে সুঁই দিয়ে গ্লুকোজ ঢুকিয়ে দিলো। যেন একটা শক্তিশালী বাহুর টানে জেডকার আত্মা ছাদ থেকে দ্রুত একটা অন্ধকার টানেলে ঢুকে গেলো ও তার দেহে ফিরে এলো।

“হ্যালো, ভেরোনিকা।”

মেয়েটিকে ভীত দেখাচ্ছিলো।

“তুমি ঠিক আছো?”

“হ্যাঁ, আমি ভালো আছি। সৌভাগ্যবশতঃ আমি এ বিপজ্জনক চিকিৎসায় টিকে গেছি, তবে এটা আমাকে আর নিতে হবে না।”

“তুমি কী করে জানলে? এখানে রোগীর ইচ্ছাকে কেউ সম্মান করে না।”

জেডকা জানতো কারণ মহাজাগতিক ভ্রমণে সে ডা. ইগোর-এর অফিসে গিয়েছিলো।

“আমি জানি না কীভাবে জানলাম, কিন্তু আমার মন বলছে। তোমার কি মনে আছে আমি তোমাকে প্রথম কী প্রশ্ন করেছিলাম?”

“হ্যাঁ, তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে বিকারগ্রস্ত মানে কী আমি জানি কি না।”

“ঠিক বলেছো। এবারে আমি তোমাকে কোন গল্প বলবো না, আমি শুধু বলবো বিকারগ্রস্ততা হচ্ছে তোমার ধারণাগুলো মধ্যে যোগাযোগ করতে পারার অক্ষমতা। এটা অনেকটা এমন যে, তুমি একটা ভিন্ন দেশে রয়েছো এবং তোমার চারপাশে যা দেখছো ও ঘটছে তা তুমি বুঝতে পারছো কিন্তু তোমার যা জানা দরকার অথবা যে বিষয়ে সাহায্য দরকার তা ব্যাখ্যা করে বলতে পারছো না, কারণ যে ভাষায় কথা বলতে হবে তা তোমার জানা নেই।”

“আমাদের সবারই এমন মনে হয়।”

“আর তাই আমরা সবাই-ই কোন না কোন ভাবে বিকারগ্রস্ত।”

রোকনুজ্জামান

সদস‍্য, সম্পাদনা পর্ষদ, প‍্যাপাইরাস প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশন:১৯৯৯-২০০০