fbpx

ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স্‌‌ টু ডাই

ছয়

যে কোন কারণেই হোক, রাতে ভেরোনিকার ভয় লাগতে লাগলো। কিছু ঘুমের ওষুধ খেয়ে দ্রুত মরে যাওয়া এক জিনিস; আর মৃত্যুর জন্য পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা অন্য জিনিস, তার উপর সে ইতিমধ্যে একটা ঝড়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।

ভেরোনিকা সব সময়ই কিছু না কিছুর জন্য অপেক্ষা করেছে: কখনো তার বাবার বাড়ি ফেরার অপেক্ষা, কখনো কোন প্রেমিকের কাছ থেকে প্রেমপত্র পাওয়ার অপেক্ষা যেটা কখনোই আসেনি, বছর শেষে পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা, ট্রেনের বা বাসের অপেক্ষা, ফোনের অপেক্ষা, ছুটির দিনের অপেক্ষা, ছুটির দিন শেষের অপেক্ষা। আর এখন তাকে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে, মৃত্যু তার সাথে দেখা করতে আসবে।

একমাত্র আমার জন্যই এমন দিনক্ষণ ঠিক করে মৃত্যু, সাধারণত মানুষ অপ্রত্যাশিত কোন দিনে মারা যায়। ভেরোনিকা ভাবছিলো ।

সে যদি এখান থেকে বের হতে পারতো তাহলে আরো কিছু ঘুমের ওষুধ খেতে পারতো; কিংবা সে ল্যুবল্জানা’র কোন উঁচু ভবন থেকে যদি ঝাঁপ দিতে পারতো; তার মা-বাবা হয়তো অনিবার্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেন। কিন্তু এখন তার কোন উপায়ই নেই।

সে চারদিকে তাকালো। সবগুলো বিছানায় ঘুমন্ত লোক, তাদের কেউ কেউ আবার জোরে নাক ডাকাচ্ছে। জানালাগুলো আর্গল দেয়া। ওয়ার্ডের শেষ মাথায় একটা ছোট বাতি জ্বলছে যেটা পুরো জায়গাটায় একটা অদ্ভুত আবছায়ার সৃষ্টি করেছে। এ বাতিটা পুরো ওয়ার্ডটাকে একটা সার্বক্ষণিক পাহাড়ায় রেখেছে। বাতিটার কাছে একজন ভদ্রমহিলা একটা বই পড়ছেন।

ভেরোনিকার মনে হলো, এদের নার্সরা খুবই পরিশীলিত, তারা বই পড়ে তাদের জীবন পার করছে।

ভেরোনিকার বিছানাটা ছিলো দরজা থেকে সবচেয়ে দূরে, তার আর ঐ ভদ্রমহিলার মধ্যে প্রায় বিশটি বিছানা রয়েছে ওয়ার্ডে। সে খুব কষ্ট করে উঠে বসলো। তার মনে পড়লো, ডাক্তার বলেছিলো সে প্রায় তিন সপ্তাহ যাবৎ হাঁটা চলা করেনি। নার্স তার দিকে তাকালো এবং দেখলো মেয়েটি স্ট্যান্ডে ঝোলানো স্যালাইন প্যাক নিয়ে এগিয়ে আসছে।

অন্য পাগলদের ঘুম না ভেঙ্গে যায় এ ভয়ে ভেরোনিকা ফিসফিস করে বললো, “আমি টয়লেটে যেতে চাই।”

ভদ্রমহিলা দরজার দিকে ইশারা করলো। ভেরোনিকা দ্রুত ভাবছিলো আর পালানোর কোন পথ, বা ফাঁক আছে কি না তা খুঁজে দেখছিলো। দ্রুত কিছু একটা খুঁজে বের করতে হবে। যতক্ষণ তারা আমাকে দুর্বল ভেবে কিছু করতে অক্ষম মনে করবে তার মধ্যেই কিছু একটা খুঁজে বের করতে হবে।

সে তীক্ষ্ন দৃষ্টিতে নার্সের দিকে তাকালো। টয়লেটটা কিউবিকলের মতো চারকোনা একটা খোপ, কোন দরজা নেই। এখান থেকে পালাতে চাইলে তাকে নার্সের উপর জোর খাটিয়ে চাবি নিতে হবে, কিন্তু সেটা এ দুর্বল শরীরে সম্ভব নয়।

“এটা কি কয়েদখানা?” সে নার্সটিকে জিজ্ঞেস করলো। নার্সটি পড়া বন্ধ করে তাকে খুব ভালো করে লক্ষ্য করলো।

“না, এটা একটা মানসিক হাসপাতাল।”

“কিন্তু আমি তো বিকারগ্রস্ত না।”

নার্সটি এ কথায় হেসে উঠলো।

“এটা এখানে যারা রয়েছে তারা সবাই-ই বলে।”

“ঠিক আছে, আমি বিকারগ্রস্ত, কিন্তু এর মানে কী?”

নার্সটি তার প্রশ্নের কোন উত্তর দিলো না। তাকে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে নিষেধ করে তার বিছানায় ফেরত যেতে বললো।

“কিন্তু বিকারগ্রস্ত হওয়ার মানে কী?” ভেরোনিকা আবারো জানতে চাইলো।

“সেটা কাল ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করো। এখন ঘুমাতে যাও, নয়তো আমি তোমাকে চেতনানাশক ওষুধ দিবো সেটা তোমার ভালো লাগুক বা না লাগুক।”

ভেরোনিকা আর কথা বাড়ালো না। বিছানায় ফেরার পথে সে অন্য কোন বিছানা থেকে একজন ভদ্রমহিলার চাপা কণ্ঠ শুনতে পেলো: “তুমি কি জানো না বিকারগ্রস্ত হওয়ার মানে কী?”

সে একবার ভাবলো পাত্তা দিবে না: সে এখানে কোন বন্ধু বানাতে চায় না, কোন সামাজিক চক্র তৈরি করতে চায় না, এবং বড় ধরনের বিপ্লবের জন্য কোন জোটও তৈরি করতে চায় না। তার একটাই চাওয়া: মৃত্যু। যদি এখান থেকে সে পালাতে না পারে, তবে যে কোন উপায়ে নিজেকে শেষ করে দেয়ার একটা পথ সে যত তাড়াতাড়ি পারে খুঁজে বের করবে।

কিন্তু সে নার্সটিকে যে প্রশ্ন করেছিলো ভদ্রমহিলাটি সে প্রশ্নটি তাকে আবার করলো, “তুমি কি জানো না বিকারগ্রস্ত হওয়ার মানে কী?”

“আপনি কে?” ভেরোনিকা জানতে চাইলো।

“আমার নাম জেডকা। এখন তোমার বিছানায় যাও। যখন নার্স ভাববে তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো তখন চুপিচুপি এসো আমার কাছে।”

ভেরোনিকা তার বিছানায় ফিরে গিয়ে নার্স-এর বই পড়ায় ডুবে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। বিকারগ্রস্ত বা পাগল বা উন্মাদ হওয়ার মানে কী? তার ন্যূনতম ধারণা নেই, কেননা এ শব্দটি সম্পূর্ণ অরাজক পন্থায় ব্যবহৃত হয়। যেমন কোন খেলোয়াড় যখন কোন রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলতে চায় তখন বলা হয় সে পাগল; কখনো কখনো কোন কোন শিল্পীকে বলা হয় বিকারগ্রস্ত কারণ তারা অদ্ভুত, অনিরাপদ এবং সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন জীবন যাপন করে থাকে। এরা ছাড়াও ভেরোনিকা প্রায়ই শীতকালে ল্যুবল্জানা’র রাস্তায় জোব্বা-জাব্বা কাপড় করে কিছু উন্মাদ লোককে হেঁটে যেতে দেখে যারা সুপারমার্কেটে প্লাস্টিক ছেড়া ব্যাগ ভর্তি ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে চিৎকার করতে থাকে যে পৃথিবীর আয়ু শেষ।

তার ঘুম আসছিলো না। ডাক্তারের কথা মতো সে প্রায় এক সপ্তাহ ঘুমিয়েছে যা আবেগহীন একজন মানুষের সাধারণ টাইমটেবিল বিচারে যথেষ্ট বেশি।

বিকারগ্রস্ত মানে কী? খুব সম্ভবতঃ একজন পাগলকে তার জিজ্ঞেস করা উচিত ছিলো।

ভেরোনিকা হাতের সুঁই খুলে বিছানা বেয়ে নেমে আসলো। একটা পেট গুলানো ভাব হলো তার, যেটা অগ্রাহ্য করেই সে জেডকার বিছানার দিকে এগিয়ে গেলো। সে বুঝতে পারছিলো না তার দুর্বল হার্টের কারণে, না কি নড়াচড়া করতে যাওয়ার কারণে একটা বিতৃষ্ণার ভাব ছড়িয়ে পড়লো তার শরীর জুড়ে।

“আমি জানি না বিকারগ্রস্ত মানে কী,” ভেরোনিকা ফিসফিসিয়ে বললো, “তবে আমি বিকারগ্রস্ত নই, আমি শুধু আত্মহত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছি।”

“যে নিজের জগতে বসবাস করে সেই বিকারগ্রস্ত; অনেকটা সিজোফ্রেনিক, উন্মাদ বা প্রলাপকারী ব্যক্তি; অর্থাৎ আমি তাদেরকেই বোঝাচ্ছি যারা অন্যদের থেকে ভিন্ন।”

“আপনার মতো?”

ভেরোনিকার কথা শুনতেই পায়নি এভাবে জেডকা বলতে লাগলো, “আবার মনে করো যেমন, আইনস্টাইন বললো সময় ও স্থান বলতে কিছু নেই, যা আছে সেটা এ দুই-এর সমন্বয়; অথবা কলম্বাসের কথা ভাবো যে কি না বললো যে পৃথিবীর উল্টো পাশে অতল গহ্বর নয় বরং একটা মহাদেশ রয়েছে; কিংবা ধরো এডম্যান্ড হিলারি যে কি না বিশ্বাস করেছিলো যে এভারেস্ট-এর চূড়ায় পৌঁছানো সম্ভব; অথবা বিটল্স্ যে কি না সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটা সুরের ধারা তৈরি করলো এবং অন্য সময়ের মানুষের মতো পোষাক-পরিচ্ছদ পরে বেড়াতো। এসব লোক এবং পৃথিবীর আরো হাজার হাজার লোক নিজেদের জগতে বসবাস করে।”

পাগলী তো ভালো কথা বলেছে, ভেরোনিকা ভাবছিলো। ভেরোনিকার তার মা’র বলা গল্পগুলো মনে পড়লো যেখানে সাধুরা শপথ করে বলতো যে তাদের সাথে যিশুর অথবা কুমারী মেরির কথা হয়েছে। তারা কি ভিন্ন জগতে বাস করতো?

“একবার আমি এক মহিলাকে দেখেছিলাম একটা ছোট-খাটো পোশাক পরা; চোখে এক মাতাল দৃষ্টি নিয়ে সে হাঁটছিলো ল্যুবল্জানা’র রাস্তা দিয়ে যখন তাপমাত্রা হিমাংকের পাঁচ ডিগ্রি নীচে। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো সে পুরো মাতাল। আমি তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলাম, কিন্তু আমি যখন আমার জ্যাকেটটা তাকে ধার দিতে গেলাম সে তা ফিরিয়ে দিলো। সম্ভবত তার জগতে তখন গ্রীষ্ম এবং তার জন্য অপেক্ষারত মানুষটার কামনায় তার শরীর হয়তো উষ্ণ। যদি এমনও হয় যে, সে শুধুমাত্র তার চিত্তবৈকল্যে রয়েছে, তবুও তো তার বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়ার নিজস্ব অধিকার রয়েছে, তোমার কি তাই মনে হয় না?”

ভেরোনিকা বুঝতে পারছিলো না কী বলবে, কিন্তু পাগলীর কথা তার মাথায় ঢুকছে। কে জানে, ল্যুবল্জানা’র রাস্তায় এ মহিলাকেই হয়তো অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাগলামি করতে দেখা যায়।

“আমি তোমাকে একটা গল্প বলি,” জেডকা বললো। “এক রাজ্যে এক শক্তিশালী জাদুকর ছিলো। তার একবার পুরো রাজ্য ধ্বংস করে দিতে মন চাইলো। সে একটা জাদুকরী বিষ রাজ্যের কুয়ার জলে মিশিয়ে দিলো যেটা থেকে সবাই জল পান করতো। রাজ্যের যে লোক এ কুয়া থেকে জল পান করলো সেই পাগল হয়ে গেলো।

“পরদিন সকালে রাজ্যের সবাই ঐ কুয়া থেকে জল পান করে পাগল হয়ে গেলো, শুধুমাত্র রাজা ও তাঁর পরিবার রক্ষা পেলেন। কারণ রাজা ও তাঁর পরিবার অন্য একটা কুয়া থেকে জল পান করতেন যেটাতে জাদুকর বিষ মেশাতে পারেনি। রাজা রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন এবং রাজ্যের জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের সুশাসন রক্ষায় ক্রমাগত নানা ধরনের আদেশ-নির্দেশ জারি করতে লাগলেন। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কুয়ার জল পান করেছিলো। ফলে তারা রাজার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে মনে করতে লাগলো এবং রাজার নির্দেশে কোন কর্ণপাতই করলো না।

“রাজ্যে অধিবাসীরা যখন রাজার এ সকল সিদ্ধান্ত শুনছিলো, তখন তারা মোটামুটি বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, রাজা পাগল হয়ে গিয়েছেন এবং এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। তারা দল বেঁধে রাজ দূর্গের দিকে গেলো এবং রাজাকে সিংহাসন ত্যাগ করার দাবি জানালো।

“চরম হতাশ হয়ে রাজা সিংহাসন ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিলেন, কিন্তু রাণী তাঁকে বাঁধা দিয়ে বললেন, “চলো আমরা জনগণের ঐ কুয়ার জল পান করি। তাহলে আমরাও তাদের মতো হয়ে যাবো।”

“তাঁরা তাই করলেন। রাজা ও রাণী বিকারগ্রস্ত জল পান করলেন এবং দ্রুতই তাঁরা অবুঝের মতো কথা বলতে শুরু করলেন। তাদের জনগণ তখন অনুশোচনা করলো। কেননা তারা তাদের রাজাকে আগের মতোই প্রজ্ঞাবান হিসেবে দেখতে পাচ্ছিলো, তাহলে রাজার রাজ্য চালাতে আর বাঁধা কোথায়?

“রাজ্যের সবকিছু শান্তিপূর্ণ ভাবে চলতে লাগলো, তবে তাদের আচরণ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর তুলনায় ছিলো যথেষ্ট অস্বাভাবিক। রাজ্যের রাজাও তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজ্য শাসন করে গেলেন।”

ভেরোনিকা হেসে উঠলো।

“আপনাকে কিন্তু আদৌ পাগল বলে মনে হচ্ছে না,” সে বললো।

“না, আমি বিকারগ্রস্ত। আমার একটা নির্দিষ্ট রাসায়নিক দ্রব্যের ঘাটতি থাকায় আমার চিকিৎসা চলছে। আমি আশা করছি এ রাসায়নিক দ্রব্য আমাকে আমার দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্নতা দূর করবে। তবে আমি বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকতে চাই, আমি যেমন স্বপ্ন দেখি তেমন ভাবে বাঁচতে চাই; অন্যদের বেঁচে থাকার মতো বাঁচতে চাই না। তুমি কি জানো ভিলেট-এর প্রাচীরের ওপাশে বাইরে কী রয়েছে?”

“বাইরে তারাই রয়েছে যারা একই কুয়া থেকে জল পান করেছে,” ভেরোনিকা উত্তর দিলো।

“একেবারে ঠিক বলেছো,” জেডকা বললো। “তারা মনে করে তারা স্বাভাবিক কারণ তারা একই রকম আচরণ করে থাকে। আমিও এমন হবো ভাবছি, যেন তাদের মতো আমিও একই কুয়ার জল পান করেছি।”

“আমি তো এরই মধ্যে তা করেছি, আর ঠিক সেটাই আমার সমস্যা। আমি কখনো বিষণ্ন হইনি, কখনো খুব আনন্দিত বা দুঃখিত হইনি, অন্ততঃ দীর্ঘদিনের জন্য তো নয়ই। সবার মতো আমারও একই সমস্যা রয়েছে।”

জেডকা একটু চুপ থেকে বললো, “ওরা বললো তুমি মরতে যাচ্ছো?”

ভেরোনিকা এক মুহূর্তের জন্য দ্বিধা করলো। এই মহিলাকে কি সে বিশ্বাস করতে পারে? অবশ্য তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে ঝুঁকি তো নিতেই হবে।

“হ্যাঁ, প্রায় পাঁচ বা ছয় দিনের মধ্যে। আমি অবশ্য চেষ্টা করছি যদি দ্রুত মারা যাওয়ার কোন উপায় থাকে। যদি তুমি বা অন্য কেউ আমার জন্য কিছু ঘুমের ওষুধের ব্যবস্থা করে দিতে পারো, তাহলে আমি নিশ্চিত যে এবারে আমার হার্ট আর কুলাতে পারবে না। তুমি নিশ্চয় বুঝতে পারছো যে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করাটা কতোটা বিশ্রী একটা ব্যাপার; তোমার আমাকে সাহায্য করা উচিত।”

জেডকা উত্তর দেয়ার আগেই তাদের আলাপের মধ্যে একজন নার্স একটা ইনজেকশন নিয়ে হাজির হলো।

“আমি ইনজেকশনটা নিজেই তোমাকে দিতে পারি,” নার্স বললো, “অথবা নির্ভর করে তুমি কীভাবে চাও, আমি বাইরের গার্ডদের আমাকে সাহায্য করার জন্য ডাকতে পারি।”

“অযথা তোমার শক্তিক্ষয় করো না,” জেডকা ভেরোনিকাকে বললো। “তুমি আমাকে যে সাহায্যের জন্য বললে তা পেতে তোমার শক্তি সঞ্চয় করা প্রয়োজন।”

ভেরোনিকা উঠে তার বিছানায় ফিরে গেলো এবং নার্সকে তার দায়িত্ব পালন করতে দিলো।

রোকনুজ্জামান

সদস‍্য, সম্পাদনা পর্ষদ, প‍্যাপাইরাস প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশন:১৯৯৯-২০০০